শ্যামসুন্দরের আর্ট ডেকর মেলা -

শ্যামসুন্দরের আর্ট ডেকর মেলা

শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর উপস্থাপনায় আইসিসিআর- (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল  রিলেশন)- এ ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত কলকাতা আর্ট ফেয়ার-এর আসর বসে।

সারা দেশের মধ্যে শহর কলকাতা বিভিন্ন সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসাবে সমাদৃত।  শহর কলকাতা বিদ্বজন ও সংস্কৃতিবান মানুষদের বাস। ‘কলকাতা  আর্ট ফেয়ার’এর মাধ্যমে মহানগরীর সেই  ঐতিহ্যকে, শহরের পুরোনো সেইসব শিল্পকে আবারও সবার সামনে তুলে ধরা হয়, যাতে এই শহরের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়। ‘কলকাতা  আর্ট ফেয়ার’ শিল্পের এক অনন্য প্রদর্শন।

এবারের কলকাতা আর্ট ফেয়ার, ২০২৩ হল শিল্পীদের নিজস্ব সৃষ্টির প্রদর্শনের তৃতীয় সংস্করণ।৪ দিন ধরে চলা শিল্পের এই উৎসবে সারা দেশের ৪০০’র বেশি শিল্পী তাঁদের ১০০০ বেশি শিল্পকলা নিয়ে হাজির হন। চিত্রকলা, ভাস্কর্য, সিরামিক, আলোকচিত্র, গ্রাফিক্স  সহ সব ধরনের  শিল্পের নজির তুলে ধরা হয়।

এর জন্য  শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস ( আইসিসিআর)- এর  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেন্টারের চারটি গ্যালারি এই অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইন্ডিয়ান আর্ট গ্যালারি উদ্যোগ নেয়।

১৭ এপ্রিল ‘কলকাতা আর্ট ফেয়ার ২০২৩’ – এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে ছিলেন যোগেন চৌধুরী, সমীর আইচ এবং বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র এবং শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ডিরেক্টর অর্পিতা ও রূপক সাহা । অনুষ্ঠানটি শহর কলকাতা এবং শিল্প সম্পর্কিত অনেক গান এবং নাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল।

 এদিন শিল্পী যোগেন চৌধুরী বলেন, “কলকাতা আর্ট ফেয়ারের অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি। কারণ এটি সত্যিই শিল্পের এক অনন্য প্রদর্শন বা বলা যেতে পারে সিগনেচার এক্সিবিশন।”

অন্যদিকে, সঙ্গীত রচয়িতা দেবজ্যোতি মিশ্র জানান, “এই উৎসবের কোর টিমের একজন সদস্য হিসেবে এবং শেষমেষ কলকাতা আর্ট ফেয়ার ২০২৩ হতে দেখে আমি আনন্দিত। আমরা খুবই  আশাবাদী ছিলাম যে শেষ দুটি সংস্করণের মতোই এবারও এই উদ্যোগ সফল হবে।” এদিকে, সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্রও একটি গ্যালারিতে তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেছেন৷ শিল্পী সমীর আইচ বলেন, “কলকাতা আর্ট ফেয়ার হল সত্যিকারের এক সুসংবাদ এবং সেই কারণেই আমি মনের আনন্দে গান গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি নিজের দলের সঙ্গে পারফর্ম করেন৷

কলকাতা আর্ট ফেয়ার এর সম্পাদক ও আয়োজক মেহতাব মোল্লা জানান, “এই  কলকাতা  আর্ট ফেয়ার এর প্রধান  উদ্দেশ্য হল শহর কলকাতা তার শিল্প, কৃষ্টি, সংস্কৃতিতে কতটা পরিপূর্ণ তা সকলকে একবার মনে করিয়ে দেওয়া। এছাড়া চিত্রকলা, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, গ্রাফিক্স নিয়ে যে সব নতুন নতুন অভাবনীয় কাজ হচ্ছে তা জানানোর জন্যই এই আর্ট ফেয়ার। এছাড়া এখন থেকে শিল্পীদের রোজগারেরও ব্যবস্থা করা হয়। শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে যেসব নতুন শিল্পীরা উঠে আসছেন তাঁদের জন্য এটা একটা প্ল্যাটফর্ম। এই আর্ট ফেয়ারের মাধ্যমে আমরা তাঁদেরকে সাহায্য করতে পারি এবং তাঁদের ভবিষ্যতকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে গিয়ে যাতে কোন বাধা না পেরোতে হয় সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।”

শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, “আমরা সবসময় আমাদের জুয়েলারি শোরুমের চার দেয়ালের মধ্যে আটকে না থেকে  উৎকর্ষের সাধনা করে চলেছি । আমাদের  ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতিনীতি যেগুলো সোনার মতোই মূল্যবান তা উদযাপন করে চলেছি।  এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে কলকাতা আর্ট ফেয়ার- এর সূচনা থেকেই এর সঙ্গে আমরা যুক্ত আছি। এই অনন্য প্রদর্শনী আমাদের এই শহরের পুরনো সব ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।” অন্যদিকে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের আরেক ডিরেক্টার রূপক সাহা বলেন, “কলকাতা আর্ট ফেয়ারের এই তৃতীয় সংস্করণটি উপস্থাপন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই উদ্যোগ মানুষের থেকে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে। সেই সঙ্গেই এই বহু প্রতীক্ষিত বার্ষিক প্রদর্শনীটি ইতিমধ্যেই শহরের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তার নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। একইসঙ্গে এটি শিল্পের জগতে  একটি বড় ঘটনা হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে গিয়েছে।”

বাংলা শিল্প সংস্কৃতি জগতে শ্যামসুন্দর জুয়েলার্স তথা কর্ণধার শ্রী রূপক সাহার ধারাবাহিক পৃষ্টপোষকতা নবীন প্রবীণ শিল্পীদের উৎসাহ দিতে ও নিজের সৃষ্টিশীলতার বিকাশে দৃষ্টান্তস্বরূপ ও অমূল্য এ কথা অনস্বীকার্য।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *