১০টি পর্যটকদের স্বর্গরাজ্যে গরমের ছুটিতে বেড়ানো -

১০টি পর্যটকদের স্বর্গরাজ্যে গরমের ছুটিতে বেড়ানো

পাহাড় ঘেরা সবুজ অরণ্য,দুর্গ,জঙ্গল ট্রেকিং,রক ক্লাইম্বিং,রোপওয়ে, পাখিরালয়….

কথায় আছে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে কারণ বাঙালি অথচ বেড়াতে ভালোবাসেনা এমন খুঁজে পাওয়া দুর্লভ।যে বাঙালিকে সারাজীবন ‘ঘরকুনো’ অপবাদ শুনতে হয় সেই বাঙালি বেড়াতে যেতে এক পায়ে খাড়া।এই আসন্ন গরমের ছুটিতে মন প্রাণ জুড়োতে-

আউলি – শীতকালীন স্কিইং ডেস্টিনেশন গ্রীষ্মেও দারুণ মনোরম।এই সময়ে সবুজ উপতক্যার ব্যাক ড্রপে শ্বেতশুভ্র পাহাড়ের নৈসর্গ অসাধারণ বলে ভ্রমণার্থীদের কাছে গরমের ছুটির অন্যতম সেরা জায়গা।

কি করবেন– এখানকার অনাবিল প্রাকৃতিক দৃশ্যেই স্তম্ভিত হয়ে যাবেন।এছাড়া রোপওয়েতে করে যোশীমঠ,ট্ৰেকিং করুন গরসন আর কুয়ারি পাসে,আউলি আর্টিফিসিয়াল লেকের অপরূপ সৌন্দৰ্য্য,নন্দাদেবী ন্যাশনাল পার্ক,ত্রিশূল পিক।

কোথায় থাকবেন – অ্যাপল ফার্ম স্টে,কানাসার ইকো লজ,হিমালয়ান অ্যাবোড হোম স্টে।

কোথায় খাবেন– সাকেত রেস্টুরেন্ট ,হোটেল সান মাউন্ট,কৈলাশ ফুডস।

কিভাবে যাবেন – দেহরাদূনের জলি গ্রান্ট এয়ারপোর্ট থেকে কাছে,হরিদ্বার থেকে ২৮৫ কিলোমিটার।

মহাবালেশ্বর – মহারাষ্ট্রের সামার ক্যাপিটাল বলা যেতে পারে।এই মনোরম হিল স্টেশনের নিরালা সৌন্দর্য্য অপরূপ অনন্য ।সহ্যাদ্রি পাহাড়শ্রেণীর অন্তর্গত অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিরহরিৎ প্রকৃতি মন্দির,লেক,দুর্গ,ঝর্না সমৃদ্ধ।

কি করবেন – ১৬৫৯ সালে ছত্রপতি শিবাজী আর বিজাপুর সুলতান আফজল খানের সঙ্গে যুদ্ধজয় স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক  প্রতাপগড় দুর্গ ট্রেকিং ,ভেন্না লেকে মনোরম বোটিং,মাপরো গার্ডেন, তাপোলা জঙ্গল ট্রেকিং,লিঙ্গমালা ফলস,মহাবালেশ্বর মন্দির,উইলসন পয়েন্টে সূর্যাস্ত,ব্যাবিংটন পয়েন্টে পাখি দেখা,রাজপুরী কেভস,আর্থার্স সিট ।

কোথায় থাকবেন– সাইট্রাস চেম্বার্স,ট্র্যাংকুইল রিসোর্ট,সহ্যাদ্রি ফার্ম,লা মেরিডিএন রিসোর্ট,কোর্টয়ার্ড ম্যারিয়ট।

কোথায় খাবেন -ফার্মহাউস বিস্ট্রো,মেঘদূত রেস্টুরেন্ট,বারবিকিউ বে ।

কিভাবে যাবেন – পুণা এয়ারপোর্ট থেকে ১৩০ কিমি,ওয়াথার রেল স্টেশন থেকে ৬০ কিমি,মুম্বাই আর পুণার মাঝামাঝি অবস্থিত।

আরও পড়ুন –

লোনাভালা – মুম্বাই পুণের মধ্যবর্তী। ভারতের সুপারহিট সামার হলিডে ডেস্টিনেশনের অন্যতম।এই সময়ের জন্য আদর্শ তো বটেই এছাড়া বর্ষায় লোনাভেলার অপূর্ব প্রাকৃতিক নৈসর্গে সবুজে শ্যামলে ভেসে ওঠে।

কি করবেন – ঘুরে দেখুন ইতিহাস বিজড়িত ছত্রপতি শিবাজীর করিগাদ দুর্গ,কার্লা কেভস,ভাজা কেভস,দেল্লা অ্যাডভেঞ্চার পার্ক,পাভনা লেক,লোহাগড় দুর্গ, লায়ন্স পয়েন্ট ,সেলেব্রিটি ওয়াক্স মিউজিয়াম।

কোথায় থাকবেন – মেরিটাস অ্যাডোর রিসোর্ট ,লেক ভিউ রিসোর্ট,আপার ডেক রিসোর্ট,ফারিয়াস রিসোর্ট।

কোথায় খাবেন – পার্সি ধাবা,ক্যাফে 24 ,কিনারা ভিলেজ ধাবা।

কিভাবে যাবেন – মুম্বাই থেকে ১ ঘন্টার ড্রাইভ ।  

মাথেরান – প্রাকৃতিক সবুজ নৈসর্গের রূপমাধুর্য অনুভব করার জন্য এখানে মোটর গাড়ি চলে না।এর প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হয় /শান্ত নিস্তব্ধ প্রকৃতির সবুজ আশ্রয়ে অপার শান্তি।

কি করবেন– চার্লট লেক, রায়গড় হেরিটেজ ফোর্ট, মাথেরান হেরিটেজ ট্রেন সফর,লুইসা পয়েন্ট, আলেকজান্ডার পয়েন্ট,প্রবাল ফোর্ট,ঈর্ষাগাদ ফোর্ট,পর্কুপাইন পয়েন্ট।

কোথায় থাকবেন – রাধা কটেজ হেরিটেজ রিসোর্ট,উষা অ্যাসকট,ডিউন বার,হর্সল্যান্ড হোটেল।

কোথায় খাবেন– কুমার প্লাজা,কোঁকান কাট্টা, কেতকার রেস্টুরেন্ট।

কিভাবে যাবেন– মুম্বাই থেকে ৮০ কিমি এছাড়া মাথেরানের রেল স্টেশন আছে।

মালশেজ ঘাট – মালবেরি অরচার্ড,নিবিড় সবুজ প্রকৃতি,বিখ্যাত ওয়েস্টার্ন ঘাট পাহাড়শ্রেণী,বার্ড স্যাংচুয়ারি, অ্যাডভেঞ্চার ট্রেকিং এই সব মিলেমিশে একাকার।

কি করবেন– ঘুরে দেখবেন নয়নমুগ্ধ পিম্পলগাওঁ যোগা ড্যামে পাখি দেখার দুর্দান্ত স্পটে বে ব্যাকড শ্রায়িক,কমন স্টোনচ্যাট,লিটল রিংড প্লোভার আরো অজস্র পাখিদের ভিড়,আজোবা হিল ফোর্টে রক ক্লাইম্বিং, হরিশ্চন্দ্রগড় ফোর্ট ট্রেকিং,মালশেজ ফলস,পওনা লেক ক্যাম্প।

কোথায় থাকবেন– সাজ বাই দ্য লেক,জনদায়াল ফার্ম হাউস,বিটিআর মালশেজ।

কোথায় খাবেন – ফ্ল্যামিংগো রেস্টুরেন্ট,হোটেল পটোবা,হোটেল বিকাশ ধাবা।

কিভাবে যাবেন – পুণে এয়ারপোর্ট থেকে  ১১৫ কিমি,কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৮৫ কিমি,মুম্বাই ,পুণে দু দিক থেকেই ১৩০ কিমি।  

পঞ্চগনি – পাঁচটি পাহাড়- দান্ডেঘর,গোদাবলি, আমব্রাল,খিঙ্গার,তাইঘাট দিয়ে ঘেরা।মুম্বাইকরদের খুব পছন্দের উইকেন্ড স্পট। এর শীতল আবহাওয়ার জন্য ব্রিটিশদের সময় তৈরী গ্রীষ্মকালীন বেড়াবার ও থাকার জায়গা হিসেবে পরিচিত। ১৮৯৫ সালের  একমাত্র মেয়েদের বোর্ডিং স্কুল কিমিন্স হাই স্কুলের মতন ঐতিহ্যশালী বোর্ডিং স্কুলগুলির জন্য প্রসিদ্ধ।

কি করবেন– চামড়ার জিনিসপত্রে আগ্রহী ও হস্তশিল্পের কেনাকাটার আদর্শ। বিভিন্ন সুস্বাদু মার্মালেড আর জ্যামের জন্য বিখ্যাত,টেবল ল্যান্ড,ধূম ড্যাম,কেট’স পয়েন্ট,পার্সি পয়েন্ট।

কোথায় থাকবেন– হোটেল মিলেনিয়াম পার্ক,রেভাইন হোটেল,রাভাল রিসোর্ট

কোথায় খাবেন– জাফর ভাই দিল্লি দরবার,হোটেল রেইনফরেস্ট

কিভাবে যাবেন–  ওয়াথার রেল স্টেশন আর পুণের কাছে।      

কুর্গ – (স্থানীয় নাম কোডাগু)কর্ণাটকের বিখ্যাত হিল স্টেশন যা অপরূপ পাহাড় ,উপত্যকা,গভীর অরণ্যের   প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে সাজানো।সবুজ গাছপালা ঘেরা পাহাড়,মশলা আর কফি চাষের জন্য প্রসিদ্ধ।

কি করবেন – অ্যাবে ফলস,রাজাস সিট,দুবারে এলিফেন্ট ক্যাম্প,মণ্ডলপট্টি পিক।

কোথায় থাকবেন– ক্লাব মাহিন্দ্রা মাদিকেরি,হেরিটেজ রিসোর্ট, কুর্গ হেভেন,ivolv ব্যাক।

কোথায় খাবেন – রেনট্রি,গ্রিন কার্ডামম,কুর্গ কুইজিন

কিভাবে যাবেন – ম্যাঙ্গালোর এয়ারপোর্ট থেকে ১৬০ কিমি,কাছের রেল স্টেশন মহীশূর।ব্যাঙ্গালোর থেকে ২৩৭ কিমি।

কুন্নুর – ১২হেক্টর এলাকা জুড়ে সিমস পার্কে ১০০০ এর  বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির সংগ্রহ রয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনটি আংশিকভাবে জাপানি শৈলীতে তৈরী,মে মাসের বিশেষ আকর্ষণ ফ্রুট আর ভেজিটেবল শো বিখ্যাত ও অত্যন্ত জনপ্রিয়।

কি করবেন– সিম’স পার্ক,ডলফিন নোজ পয়েন্ট,ল্যাম্বস পার্ক।

কোথায় থাকবেন -সানভ্যালি হোমস্টে,টি নেস্ট,গেটওয়ে কুন্নুর।   

কোথায় খাবেন – দ্য কালিনারিয়াম,ক্যাফে ডিএম,ওপেন কিচেন।

কিভাবে যাবেন– কোয়েম্বাটোর এয়ারপোর্ট থেকে ৪২ কিমি,কুন্নুর রেল স্টেশন,ব্যাঙ্গালোর থেকে ২৮৫ কিমি।

উটি – নীলগিরি জেলার বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভ ব্রিটিশ আমল থেকে প্রসিদ্ধ কুইন অফ হিল স্টেশন।পাহাড়ের মধ্যে রেল ভ্রমণ,সবুজ প্রকৃতি,টলটলে লেক,দুর্দান্ত ড্যাম।

কি করবেন – ডোড্ডাবেত্তা পিক,উটি লেক,পাইকারা লেক,রোজ গার্ডেন।

কোথায় থাকবেন – অ্যাকর্ড হাইল্যান্ড হোটেল,হোটেল লেকভিউ,স্টার্লিং উটি ইলক হিল,স্টার্লিং উটি ফার্ন হিল।

কোথায় খাবেন -আর্ল সিক্রেট, অ্যাসকট মাল্টিকুইজিন,পঙ্কজ ভোজনালয়

কিভাবে যাবেন –কোয়েম্বাটোর এয়ারপোর্ট থেকে ৮৫ কিমি,উটির নিজস্ব উধাগমণ্ডলম রেল স্টেশন,ব্যাঙ্গালোর থেকে ২৮০ কিমি।

মুন্নার – কেরালার মন্ত্রমুগ্ধ ট্যুরিস্ট স্পট।৩টি নদী কুণ্ডলী,মধুরাপুজা,নাল্লাথান্নির সঙ্গমস্থল,নিরালা,নির্জন,দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।ব্রিটিশদের পছন্দের ভ্রমণস্থল।

কি করবেন -টি গার্ডেন্স,টপ স্টেশন,রাজমালাই ন্যাশনাল পার্ক,মাট্টুপেট্টি ড্যাম,রোজ গার্ডেন।

কোথায় থাকবেন – দ্য লিফ মুন্নার,পারাক্কাট নেচার হোটেলস,স্যান্ডিস উইন্ডি উডস

কোথায় খাবেন -সারাভানা ভবন,রাপসি রেস্টুরেন্ট,গুরুভবন।

কিভাবে যাবেন -কোচি এয়ারপোর্ট থেকে ১১০কিমি,রেল স্টেশন আলুভা।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *