অ্যাপলোতে চিলড্রেন্স ডে -

অ্যাপলোতে চিলড্রেন্স ডে

সাড়ম্বরে সারা দেশ জুড়ে চিলড্রেন্স ডে উদযাপিত হল যেখানে শিশু কল্যাণ,বিকাশ শিক্ষার বিষয়ে সচেনতনতা বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নেওয়া হল। এই উপলক্ষে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত হেলথকেয়ার গ্রূপ অ্যাপলো হসপিটালস শিশুস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ মনোযোগের জন্য ভারতের নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপলো হসপিটালসে চিলড্রেন ডে স্পেশাল ইভেন্টের আয়োজন করেছিল। অ্যাপলো পরিবারের শিশুদের কাউকে পেশেন্ট, ডক্টর,নার্স ,পেডিট্রিশিয়ান সাজিয়ে একটি সুন্দর সাজানো স্থানে নানা মজার গেমস আর শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে সারাদিন আনন্দে কাটল।

নিজের অভিভাবকদের সঙ্গে এই কচি কাঁচারা এদিন এক অন্য হসপিটালের রূপ প্রতক্ষ্য করল যা বিশেষ করে চিলড্রেন্স ডে উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছিল। এমন গেমস খেলা হয়েছিল যা শুধু খেলা নয় খেলার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের সচেতনা । ফোর কর্নার্স কিডস পার্টির গেমসের মতন  ‘নো ইয়োর অর্গানস’ খেলা র আর প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে হার্ট, লাংস, হাড়, মাংসপেশি,চোখ,কান,ব্রেনের বিষয়ে জানাশোনার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। এই দিন পেডিয়াট্রিশিয়ানরাও অভিভাবকদের শিশুদের সুস্থ্য ও প্রাণচঞ্চল রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেন।

এই দিনে বাচ্চাদের ও তাদের বাবা মা দের প্রাণোচ্ছল খুশি আর আনন্দ ছিল নজরকাড়া কারণ শুধু মজা নয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছিল শিশু স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান সঞ্চার।এই শিশুরা একটি স্পেশাল বোর্ডে স্টিকি নোটসে তাদের আনন্দ ও খুশির প্রকাশ করে। এই মজার ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের পরে মুখরোচক অথচ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স আর গিফট হ্যাম্পার পেয়ে তারা খুব খুশি ছিল।অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ডাক্তারবাবু আর কর্মচারীদের সঙ্গে গ্রূপ ফটো তোলা হল এই অভিনব অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় রেখে দেওয়ার জন্য।

এই উপলক্ষ্যে অ্যাপলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালসের মেডিকেল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ডঃ সুরিন্দর ভাটিয়া বলেন,’শিশুরাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।আমাদের দায়িত্ব তাদের সমস্ত সুযোগ সুবিধে সুন্দর ভাবে  বড় করা যাতে বড় হয়ে দেশের ও দশের কল্যাণে কাজ করতে পারে। আমরা আনন্দিত যে শিশুদের স্বাস্থ্যের কল্যাণে ও বিকাশে কাজ করতে পারছি।এই অনুষ্ঠান সেই অভিবক আর শিশুদের জন্য একটা টোকেন অফ থ্যাঙ্কস যারা আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছিল।এদের প্রাণচঞ্চল স্বতঃস্ফূর্ত হাসিই আমাদের পুরস্কার। অ্যাপলোতে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি প্রত্যেক শিশুর শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যসেবা আর সুখাদ্য আশ্রয় আর শিক্ষার অধিকার।‘

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *