ডায়াবেটিস -ডায়েট,কী করবেন ,কী করবেন না Diabetic Diet -

ডায়াবেটিস -ডায়েট,কী করবেন ,কী করবেন না Diabetic Diet

বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট,নেফ্রোলজিস্ট, ডায়াটেশিয়ানদের অ্যাডভাইস ।

ডায়াবেটিসে কী খাবেন এটা জেনে নেওয়ার আগে আপনার ওজন কত,কী ধরণের কাজ করেন,কতটা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করেন, আপনার বি এম আই কত  জানা দরকার। সাধারণত –

১) ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।

২)সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান।শশা,পালং,কলমি মেথি শাক প্রভৃতি।

৩)ময়দার তৈরী খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪)ফ্রুট জ্যুস না খেয়ে টাটকে ফল খাওয়া ভালো।

৫) তেল মশলাদার রিচ খাওয়ার যত কম হওয়া যায় তত ভালো।

৬) লো ফ্যাট দুধ,টকদই,ছানা,পনির,  ডায়েটে রাখতে পারেন।

৭) প্রোটিনের মধ্যে চানা,সয়াবিন,ডিম,চিকেন খেতে পারেন।

৮) আইসক্রিম ,চিজ,ঘি,মধু,সফ্ট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন। তবে ডায়াবেটিক আইসক্রিমও আজকাল পাওয়া যাচ্ছে।

৯)প্রচুর জল খান।

১০)মিষ্টি বর্জন করুন ,তবে মাঝে মধ্যে এক আধটা চলতে পারে।

১১) খাবার কখনো একবারে বেশি খাবেন না।

১২)গ্রিন টি ডায়াবেটিসের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

১৩) পেঁপে, ডাল,ক্যাপসিকাম,আমন্ডস,স্প্রাউটস,বাদাম খান।

কী করবেন, কী করবেন না

১) খাবারের গ্লাইসেমি ইনডেক্স বা জি আই জেনে খান। আমরা যা খাই শরীর তার কিছু অংশ গ্লুকোজে পরিণত করে। গ্লাইসেমি ইনডেক্স হল সেই মাপকাঠি যাতে আমরা জানতে পারি কোন খাবার কতটা তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ তৈরী করছে। যেমন রিফাইন কার্বোহাইড্রেট ও সুগার। আবার অন্যদিকে লো ডি-আই খাবার যেমন সবজি,ফল ইত্যাদি বেশি খেলে গ্লুকোজ রক্তে মিশতে সময় নেবে।

২) সময়ে খাবারের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়। নিয়ম করে প্রতিটি মিল খান। বিশেষ করে সারারাত খালিপেটে থাকার পর ব্রেকফাস্ট মাস্ট। মিল বাদ দিলে অসময়ে খিদে পেয়ে ভুল সময়ে বেশি খাওয়া  হয়ে যায় যা ক্ষতিকর

৩) আর একটি ভ্রান্ত ধারণা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ভাত রুটিকে বিদায় জানানো। জেনে রাখেন ডায়াবেটিক হলে কার্বোহাওড্রেট বাদ দেয়াও কিন্তু বড় ভুল।ব্যালেন্সড ডায়েটে কার্বোহাই ড্রেট থাকবে।

৪) শুধু ঠিকঠাক ডায়েট নয় ,নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখতে হবে,এক্সারসাইজ করতে হবে।

বিশেষজ্ঞ টিম – ডঃ তীর্থঙ্কর চৌধুরী-MD ,MRCP (UK ),ডঃ সুবীর রায় – MD ,MRCP (UK ) ,নিউরোলজিস্ট ডঃ অমিতাভ ঘোষ,নেফ্রোলজিস্ট ডঃ অভিজিৎ তরফদার -MD ,DM ,ডায়াটেশিয়ান ডঃ ববিতা জি হাজারিকা। 

বিশেষ নিবেদন- এটি একটি জনসচেতনতা মূলক প্রতিবেদন যা অভিজ্ঞ ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী লিখিত।এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *