হইয়া বাচু বনের রুদ্ধশ্বাস রহস্য -

ছবি -অডেন জনসন

হইয়া বাচু বনের রুদ্ধশ্বাস রহস্য

বনের মধ্যে ঢুকে অদৃশ্য,ইউএফও, কঙ্কালের মতো গাছ….

পৃথিবীর অন্যতম রহস্যঘন হইয়া বাচু অরণ্য রোমানিয়ার ট্রানসালভেনিয়ার কাছে।২৫০ হেক্টর নিবিড় অরণ্য আশ্চর্য ইউএফও দর্শন ,অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর রহস্যে ঘেরা।এই রহস্য ঘন অরণ্যকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অফ ট্রানসালভেনিয়া আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এই অরণ্যের নামকরণ হয়েছে এক মেষপালক কিশোরের নামে যে নাকি ২০০ ভেড়া সমেত এই বনের মধ্যে ঢুকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল,আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।কিন্তু শুধু এই ঘটনায় নয়,একজন মিলিটারি প্রযুক্তিবিদ এমিল বার্নিয়া একটি ইউএফওর ছবি তুলেছিলেন বলে খবরে প্রকাশ।অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় হল যে জায়গায় ওনার বর্ণিত ইউএফও (বংকুবাবুর বন্ধু মনে পড়ছে ?) নেমেছিল সেইস্থানে তার পর থেকে আজ অবধি কোনো গাছ গাছড়া ,লতা পাতা জন্মায়নি যার জন্য এই রহস্যেঘেরা জায়গাটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্লিয়ারিং’।

এই অঞ্চলের ২০০ বছরের পুরনো গাছেদেরকে দেখলে ভয়ানক শিহরণ জেগে ওঠে,মনে হয় শীর্ণ কঙ্কালেরা যেন জড়ামরি করে একের পাশে একজন দাঁড়িয়ে আছে ।

ছবি –আই স্টক

এর সঙ্গে চারিদিক ঘিরে  হাড় হিম করা নিস্তব্ধতা।একে মোস্ট হন্টেড ফরেস্ট নাম দেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে ।

স্থানীয় মানুষদের দৃঢ় বিশ্বাস ঐ বনের গাছেদের ভেতরে ভূত প্রেতের আনাগোনার জন্য নিস্তব্ধতার মধ্যে মাঝে মাঝে  অশৈলী আওয়াজ,কান্না শোনা যায়।শোনা যায় এই বনের গভীরে যারা ঢুকেছে তারা ভয়ঙ্কর মাথা ব্যাথা,চর্মরোগ এবং প্রবল জ্বর নিয়ে অসুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল এত কিছু সত্ত্বেও এখানে সাইকেল ট্ৰেকিং রুট আছে আর ভ্রমণার্থীরা নাকি এই বনের বাইরের দিকে বেড়াতেও আসেন এবং তাতে কোনো দুর্যোগের মুখোমুখি হন নি।

বিজ্ঞানীদের ধারণা ঐ বনের গভীরে ইউরেনিয়াম থাকার কারণে তার সংস্পর্শে আসার কারণে অসুস্থতা কিন্ত তা সত্ত্বেও এই মনের ভয়ঙ্কর রহস্যের সম্পূর্ণ কিনারা আজও হয়নি।

সূত্র –  অ্যাটলাসঅবস্কিউরা

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *