ব্লকবাস্টার পাঠানের পর জওয়ান মুক্তির প্রতীক্ষায় ছিল আপামর ভারতবাসী,না একটু ভুল হল তামাম বিশ্বের হিন্দি সিনেপ্রেমী দর্শককুল।গত ৭ই সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যে গণ উন্মাদনা চলছে ,প্রত্যেকদিন বক্স অফিস রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে চলা,শুধু ডাই হার্ড ফ্যান নয় ,আসমুদ্রহিমাচল কাঁপিয়ে দিয়ে শাখরুখ খান প্রমান করলেন:
- পাঠান আর জওয়ানের পর ওনার ধারে কাছে কেউ নেই ।
- বলিউডের শেষ সুপারস্টার।
- সে অর্থে বলিউডি বাজারি মশলা ছবিতেও প্যারালাল সিনেমার মতন রাজনৈতিক বার্তা,চেতনা দেওয়া যায় ।
- দক্ষিণী সিনেমার প্রভাবে শঙ্কিত বলিউডকে দক্ষিণী সিনেমার কলাকুশলী দিয়েই রাজ্য পুনরুদ্ধার।
- ৩০০ কোটি বাজেটের ছবির জন্য (এর আগে পাঠানের সময়তেও) কো -ন -ও পি আর প্রমোশন ছাড়া রিলিজ করার হিম্মত।শুধু ট্রেলার রিলিজ ।
- গত ৪ বছরে কোনো সাক্ষাৎকার না দেওয়া ।পারিবারিক ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ থাকা।
- একজন সুপারস্টার (পাঠানের আগে),যার আগের বেশ কিছু ছবি চলেনি বলে ভবিষ্যতে আর ফিরতে পারবেন কিনা সেই ফিসফাস,গুঞ্জনের পর পর পর ৮ মাসের ব্যবধানে পাঠান আর জওয়ানের এই আকাশচুম্বী সাফল্যতেও বিনম্র থাকতে পারার মানসিকতা।
- নিজের ‘কিং অফ রোমান্স’ রোমান্টিক ইমেজ ছেড়ে ৫৭ বছর বয়সে এরম ভয়ঙ্কর রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশন ছবি করার আত্মবিশ্বাস। এবং এটা নিয়ে অপূর্ব মজা,যখন ছবিতে নয়নতারা বলছে,’মুঝে লাগা তুম কুছ রোমান্টিক বাতে করোগে।’
- এসআরকে র সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ স্বয়ং এসআরকে।
- ডাবল রোলের কামাল।আজাদকে দর্শক যখন বেশ ভালোবেসে ফেলেছে সেখান থেকে বিক্রম রাঠোড় এসে সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাওয়া বিমুগ্দ্ধ বিস্ময়।সেই অভিনয় দক্ষতা।
এর আগে কুর্সি কি পেটি বাঁধতে বলা হয়েছিল ,এবার কোন সতর্ক বার্তা ছিলনা, প্রচন্ড ঝড়ে উড়িয়ে দিলেন।
আর ‘বেটে কো হাথ লাগানে সে পহেলে বাপ সে বাত কর’ শুধুই সিনেমার একটা হিট সংলাপ। এর সঙ্গে অন্য মানে খোঁজার মানেই হয় না,তাই না ?
জিন্দা বান্দা গান শুনুন:
শেয়ার করুন :