সিজন চেঞ্জে ইমিউনিটি বুস্টিং টিপস -

সিজন চেঞ্জে ইমিউনিটি বুস্টিং টিপস

কি খাচ্ছেন নজর রাখতে বলছেন অভিজ্ঞ নিউট্রিশনিস্টরা।

এই সিজন চেঞ্জের সময়টা বড্ড গোলমেলে। আবহাওয়ার তাপমাত্রার বদলে বসন্তের ফুরফুরে হাওয়া থেকে আসন্ন গরমকালের সময়ে সিজনাল অসুখ,সর্দিজ্বর,ফ্লুর প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ইমিউনিটি বাড়ানোর টিপস-

কি খাচ্ছেন নজর রাখুন- প্রবাদ আছে .’আপনি তাই যা খান’,অর্থাৎ আপনার শরীর স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ নির্ভরশীল আপনার খাদ্যাভাসের ওপরে এটা আমরা জেনেও বেশ উদাসীন থাকি।তাই সারাদিনে ব্যালান্স ডায়েট খুব জরুরি।এই সময়ে বেশি করে ফল মূল,শাক-সব্জি, বাদাম,আখরোট,আলমন্ড আর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখুন যা এই সময়ের ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে।এই সময় মা ঠাকুমার চিরকালীন কথা শুনে ডায়েটে যেন তেতো থাকে যেমন নিমপাতা,উচ্ছে করলা। সকালে ব্রেকফাস্টে ভেজিটেবল স্যুপ উপকারী।

প্রো-বায়োটিক খাবার- টক দই,চিজ,ছানা,পনির,ধোকলা,ডার্ক চকোলেট, আচার, আপেল,ইডলি ,ধোসা,কালো আঙুর রোজকার ডায়েটে রাখুন।ইয়োগার্টে গুড ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজমে সাহায্য করে আর খারাপ ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়।কালো আঙুরে প্রয়োজনীয় আয়রন আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

ডার্ক চকোলেট -ঘুমোনোর আগে একটু ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন,ঘুম ভালো হবে।বিকেলে গরম দুধের সঙ্গে একটু মধু খান। স্ট্রেস কমে যাবে।

স্ট্রেস ফ্রি- ইমুইনিটির সঙ্গে স্ট্রেসের সম্পর্ক আছে।মানসিক দুশ্চিন্তা,দুর্ভাবনা,চাপের সঙ্গে শারীরিক ভালো থাকা খারাপ থাকায় নির্ভর করে তাই যতটা সম্ভব স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে।আমাদের শরীর মানসিক দুর্ভাবনায়,দুশ্চিন্তার কারণে অসুখের সঙ্গে লড়তে পারেনা কারণ ইমিউনিটি কমে যায় বলে।এই স্ট্রেসের কারণে ঘন ঘন রোগ ভোগ হয় এবং তাই থেকে সেরে উঠতেও অনেক সময় লাগে স্ট্রেসের কারণে এবং অত্যাধিক স্ট্রেস শরীরের হোয়াইট ব্লাড সেলস কাউন্ট কমিয়ে দেয়।যতটা স্ট্রেস ফ্রি থাকা যাবে তত শরীরের ইমিউনিটি শক্তিশালী হবে।

রোজ ব্যায়াম -করতেই হবে ইমিউনিটি বাড়াতে।কঠোর পরিশ্রমের মতন এরও কোনো বিকল্প নেই। রোজের ব্যায়াম শরীরের হোয়াইট ব্লাড সেলস বাড়াতে সাহায্য করে।যে কোনো এক্সারসাইজ করা যেতে পারে,হাঁটা,জগিং,ফ্রি হ্যান্ড,যোগ ব্যায়াম। প্রথাগত হবে সকালে সময় না পেলে সন্ধ্যায় কিন্তু রোজ ব্যায়াম করতেই হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম – আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। ভালো ঘুম আমাদের হার্ট ভালো রাখে যাতে শরীরে হার্ট থেকে পাম্প করা রক্ত চলাচল ভালো হয়,ব্লাড প্রেশারের হঠাৎ ওঠা নামা নিয়ন্ত্রিত রাখে।ঘুম আমাদের লাংসকে পরিষ্কার রাখে মিউকাস থেকে।পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুমের জন্য গাইডলাইন হল – মোবাইল ফোন ঘুমোনোর সময় বিছানায় নেওয়া যাবেনা,একটি নির্দিষ্ট স্লিপ রুটিন মেনে চলা অর্থাৎ রোজ এক সময়ে ঘুমোনো, অ্যালকোহল পরিহার করা।

ভিটামিন সি খাবার- ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। এতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলসের সঙ্গে যুদ্ধ করে হাড়,ত্বক আর মাংসপেশিকে সুস্থ রাখে। সাইট্রাস ফ্রুটস অর্থাৎ লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রকোলি, আঙুরে বেশি পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।

আদা রসুন– এই সময়ে সর্দি কাশিতে অপরিহার্য।আদায় জিনজারোল্স, প্যারাডল্স, সেসকুইটার পেনেস, শোগাওলস,জিঞ্জারোণ উপাদান আছে যা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ইমিউনিটি বাড়ায়। রসুনে আছে অ্যালিসিন যা ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে।এই সময়ে রোজ এক কাপ আদা চা আর খাবার পাতে রসুন কোয়া হেলথ টনিকের কাজ করে।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *