ভাল থাকার ১০টি সহজ পাঠ -

ভাল থাকার ১০টি সহজ পাঠ

বি বি সি নিউজ -হেলথ,আর্ট অফ হেলদি লিভিং,ইউ ওয়েলনেস এক্সপার্ট টিপস

নিজের প্রতি সৎ থাকা 

আমরা সবাই আলাদা। এর অর্থ আমরা কী ভাবি, কীভাবে অনুভব করি, আমরা কী চাই এবং কীভাবে আমরা আমাদের এখন এই অস্থির সঙ্কটকালে নিজেকে ঠিক রাখি ! আপনি সব ছেড়ে শুধু নিজের কথা ভাবুন। আপনার শক্তি এবং আপনার স্ট্রেংথ আর উইকনেস গুলো আইডেন্টিফাই করুন এবং যাতে আপনার আর আপনার পরিবারের ভালর দিকে মন দিন। 

সময় উপভোগ করুন

আপনার যা করতে ভাল লাগে  এমন কিছু  আপনার হবির জন্য সময় আলাদা করুন। নিজেকে যখন মনে হয় নিজেকে স্বতঃস্ফূর্ত এবং সৃজনশীল হতে দিন , বই পড়া,গান শোনা ,পছন্দের সিনেমা, জানলার ধারে চায়ের কাপ নিয়ে বসা,জগিং, একটি নতুন (এবং সুস্বাদু!) রান্না শিখুন; আপনার পোষ্যর  সাথে খেলুন।  

এখানে এবং এখন 

কিছুক্ষণ সময় নিন এবং এই মুহুর্তে ‘হওয়ার’ চেষ্টা করুন – আপনার মুখের উপর সূর্যর রশ্মি এবং বাতাস অনুভব করুন এবং আপনি যে শ্বাস নিচ্ছেন তা লক্ষ্য করুন। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার পরিবর্তে বা অতীতের কথা ভাবার পরিবর্তে এখনকার সময়ে থাকুন । বর্তমান সময়ে মনোনিবেশ করুন, সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।

আপনার শরীরের যত্ন নিন

ভিতরে এবং বাইরে ফিল গুড অনুভব করার জন্য আপনার শরীর এবং মনকে সতেজ রাখুন । সক্রিয় থাকুন, ভাল খান এবং ঠিক সময়ে ঘুমোতে যান। ঘুম আসছে  না বলে  গভীর রাত অবধি ফোন ঘাঁটবেন না । প্রতিদিন ঘুমাতে এবং নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন কারণ  এটি আপনাকে সতেজ রাখতে এবং আরও পরিষ্কারভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করবে।

দিবাস্বপ্ন – হ্যাঁ ডে ড্রিমিং !

আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং নিজেকে একটি শান্ত,নির্জন স্থানে কল্পনা করুন – একটি সি সাইড, একটি পাহাড়ের কাছে, একটি শান্ত নিভৃত বনছায়াস্থল অথবা আপনার অতীত থেকে একটি প্রিয় ঘর; ধীরে ধীরে এবং গভীরভাবে শ্বাস নিন।দিনে একবারে নিজেকে কয়েক মিনিট ফোকাসের সময় দিন।

কাছের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন

আপনাকে যারা ভালোবাসে এবং আপনার জীবনে আনন্দ দেয় এমন লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। শেয়ার করুন, হাসুন এবং একসাথে জীবন উপভোগ করুন। যখন আপনার সাপোর্ট  প্রয়োজন তখন বন্ধুদের এবং পরিবারের কাছে পৌঁছান। অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন আমাদের অন্তর্ভুক্তির বোধ বাড়ায় এবং আমাদের অনুভব করতে সহায়তা করতে পারে যে আমরা জীবনের চ্যালেঞ্জগুলি সামলানোর ক্ষেত্রে একা নই।

পার্টিসিপেট করুন, সোশ্যালাইজিং করুন

ফোনে বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যালাইজিং করুন । এটা এই সময়ে একটু কঠিন হলেও এমন গ্রূপে থাকুন যেখানে পরনিন্দা আর পরচর্চা নেই । যে গ্রূপে পজিটিভ আলোচনা হাসি ঠাট্টা হয় এমন সার্কেলে মিশুন ।  

ফিটনেস

 আপনি যখন ভাল বোধ করছেন না তখন আপনি যে কাজটা এড়িয়ে যান সেটা হল এক্সসারসাইজ ,এতে শুধু শরীর নয় আপনার মেন্টাল হেলথ ও ইম্প্রুভ করে। অবশ্য জিম খুললেও এখন ডাক্তারবাবু যেতে বারণ করছেন,তাই বাড়িতে এক্সারসাইজ করুন।

স্ট্রেস আইডেন্টিফাই করুন 

স্ট্রেস জীবনের একটি অনিবার্য অংশ যা প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদাভাবে প্রভাবিত করে। আপনার জন্য কী চাপ সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে সচেতন হন। একবার আপনি এই ট্রিগারগুলি সনাক্ত করতে সক্ষম হলে আপনি সেগুলির কয়েকটি এড়াতে সক্ষম হতে পারেন বা যখন তারা আপনার সামনে এসে দাঁড়ায়  তখন তাকে না এড়িয়ে তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আরও ভাল প্রস্তুত হতে পারেন। আপনি কীভাবে আপনার চাপকে সামলান সে সম্পর্কেও সচেতন হন। মানসিক চাপ মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর দুটো রাস্তায় খোলা আছে –  তাতেও যদি আপনি যদি অস্বস্তি বোধ করেন তবে সাহায্য করতে পারে এমন লোকদের কাছে পৌঁছান। ফোনে প্রতিনিয়ত করোনা খবর আপডেট এড়িয়ে চলুন ।

১০ আপনার হেল্পের জন্য সঠিক লোকজন কে জিজ্ঞাসা

আপনি সুপারম্যান নন।এখন এই পরিস্থিতিতে  প্রত্যেকের জীবনযাপন একটা প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ আর সেই সব আপনি নিজে একা সামলে নেবেন এটা ভাবাটা একটু বাড়াবাড়ি হবে তাই আপনার আশেপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলুন বা আপনাকে হেল্প করতে পারে এমন কোনও সার্কেলের মধ্যে থাকুন ।

তথ্য সুত্র – বি বি সি নিউজ -হেলথ,আর্ট অফ হেলদি লিভিং, ইউ ওয়েলনেস,

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *