শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর প্রয়াসে ৫০ বছর পর মুকুল ফিরল তার পাড়ায় , সঙ্গে তোপসে আর সন্দীপ রায় । সোনার কেল্লার পঞ্চাশ বছর পূর্তির উদযাপনে এক অভিনব উদ্যোগ -ক্যালেন্ডার প্রকাশ I
১৯৭১ সালে প্রকাশিত গোয়েন্দা গল্প, বড় পর্দায় ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালে ছবি হিসেবে মুক্তি পেল। ফেলুদাকে প্রথম বার বড় পর্দায় দেখা গেল। নিয়ে এলেন সত্যজিৎ রায়।সঙ্গে তোপসে, লালমোহন বাবু, সিধু জ্যাঠা আর ছোট্ট মুকুল। ছবিটি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে অনেক গুলো ক্ষেত্রে পুরষ্কৃত হয়। এর মধ্যে সেরা বাংলা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক , চিত্রনাট্য, সহ সেরা শিশু শিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফি উল্লেখযোগ্য। দেশের বাইরেও তেহরানে সেরা শিশু এবং কিশোরদের ছবি হিসেবে পুরস্কার পায়।
সোনার কেল্লা শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়,এই ছবিকে ‘কাল্ট ফিল্ম’ আখ্যা দেওয়া হয়।কাল্ট ফিল্ম ,অর্থাৎ যে ছবি যুগ যুগ ধরে বাচ্চা থেকে বয়স্ক আপামর জনসাধারণের অপার ভালোবাসা অর্জন করেছে। ‘সোনার কেল্লা’র হাত ধরে তৈরী হয়েছে অগণিত বিপুল ফ্যানবেস, ৫০ বছরের পরেও আজ এর অনেক সংলাপ বহুক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়,লালমোহনবাবুর ‘তং মত করো’,’কাঁটা কি এরা বেছে খায়?’, মন্দার বোসের ‘ভ্যানিশ’, ফেলুদার ‘নিশ্চিন্তে আর থাকা গেলোনা রে তোপসে’ এমন অজস্র সংলাপ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে।
ছবির পঞ্চাশ বছর পর মুকুল আবার ফিরল তার নিজের পাড়ায় একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশের হাত ধরে । ক্যালেন্ডারের বিষয় “সোনার কেল্লা ৫০”। মূল ভাবনায় সুদীপ্ত চন্দ, দ্যা ড্রিমারস, নিবেদনে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। সোনার কেল্লার পঞ্চাশ বছর উপল়ক্ষ্যে ক্যালেন্ডার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ রায়, তোপসে- সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুকুল- কুশল চক্রবর্তী এবং শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা। ভবানীপুরের পদ্মপুকুরের এমন একটা বাড়ি যা সোনার কেল্লায় মুকুলের পাড়ারই একটা বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
ক্যালেন্ডারে বিশিষ্ট সত্যজিৎ বিষয়ক সংগ্রাহক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় এর সংগ্রহ থেকে থাকছে ছবির শুটিং এর ছবি, লবি কার্ড, বুকলেট, সত্যজিৎ রায়ের নিজের হাতে আঁকা ছবির টাইটেল কার্ড, ফেলুদার ঘরের নক্সা, সিনেমার পোস্টার, বইয়ের প্রচ্ছদ সহ আরো অনেক কিছু।
একসঙ্গে সন্দীপ রায়,সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কুশল চক্রবর্তী মেতে উঠেছিলেন নানান স্মৃতিচারণায়,মুকুল রুপী কুশলের বাবাকে সত্যজিৎ রায় সংলাপ দিয়ে তাতে লিখে দিয়েছিলেন সেটা পুত্রকে পড়াতে কিন্তু মুখস্থ না করতে কারণ তাতে স্পন্টেনিটির অভাব হবে বলে এমন অনেক অজানা কথা শোনা গেল এই অনুষ্ঠানে ।
সন্দীপ রায় শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের এই প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেন I তিনি বলেন “সিনেমার লোকেশনে সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের ভাবনাটি খুবই অভিনব” I
সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কুশল চক্রবর্তীও এই প্রয়াসে অভিভূত I
রূপক সাহা বলেন “এই প্রয়াস সোনার কেল্লার স্বর্ণ জয়ন্তী বর্ষে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের শ্রদ্ধার্ঘ্য। সোনার কেল্লা আজ আমাদের যতটা রোমাঞ্চিত করে ১০০ বছর পরেও আমাদের একই ভাবে রোমাঞ্চিত করবে’’।
উপস্থিত সকলের আনন্দঘন স্মৃতিমন্থনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সকলের কাছেই অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।
বাংলা এবং বাংলার বাইরেও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত,স্বর্ণগ্রাম প্রকল্প এমন আরও শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্স তথা শ্রী রূপক সাহার উজ্বল উপস্থিতি ও অবদান অনস্বীকার্য।
শেয়ার করুন :