ইমিউনিটি বাড়াতে পুষ্টি স্পেশাল টিপস -

ইমিউনিটি বাড়াতে পুষ্টি স্পেশাল টিপস

করোনাকালে নিউ নর্মালে সংক্রমণ রুখতে নিউট্রিশনিস্ট পরামর্শ।

আমাদের খ্যাদ্যাভাস স্বাদে বৈচিত্রে বিচিত্র আর এখন ইমিউনিটি বাড়াতে কোন খাবারে কী পুষ্টি জেনে যাতে অপুষ্টিতে না থাকেন তাই ব্যালেন্স ডায়েট খুব প্রয়োজনীয়।  এক ঝলকে জেনে নেওয়া যাক নিউট্রিশনিস্ট ঋতিকা সমাদ্দারের পুষ্টি স্পেশাল টিপস

ভিটামিন A চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।সর্দি কাশি,ইনফ্লুয়েঞ্জা,নিউমোনিয়া রোধ করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিসে:পালং শাক,টোম্যাটো,রাঙা আলু,কড়াইশুঁটি,বাঁধাকপি,পেঁপে,লাউ,পাকা আম,দুধ,ডিম,রুই মাছ।

ভিটামিন B পরিপাক অর্থাৎ হজমে,বাচ্চাদের ওজন ঠিক রাখতে,সাহায্য করে।খিদে বাড়ায়।কিসে:সবুজ শাকসব্জি,বাঁধাকপি,পেঁয়াজ,জবের ছাতু, ছোলা, ভুট্টা, কড়াইশুঁটি, ডাল, আলু, সিম, সোয়াবিন,বাদাম,রুই মাছ,ডিমের কুসুম,মেটে।

ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এর ঘাটতিতে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হয়,হাড় কমজোরি হয়ে যায়। কিসে:সবরকম লেবু,কলা,আখ,পালং শাক,রাঙা আলু,মুগকলাই,অঙ্কুরিত ছোলা,খৈ,ঘোল,রুই মাছ,পেঁয়াজ।

ভিটামিন D  এই ভিটামিন ছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম ঠিকমত শুষে নিতে পারেনা।সূর্যের আলো থেকে শরীর অনেকটা এই ভিটামিন পায়।এখানে উল্লেখ করা দরকার ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবার খেলেও শরীর যতক্ষণ না রোদ পাচ্ছে এই ভিটামিন তৈরী করতে পারে না।তাই ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবার খেলেও অল্প রোদ,সূর্যের আলো শরীরে লাগাতে হবে। কিসে:দুধ,ডিমের কুসুম,মাছের ডিম,ডালের বড়ি,আচার।   

ভিটামিন E এই ভিটামিন বুড়িয়ে যেতে দেয়না।ত্বক ও চুলের জৌলুশ বজায় রাখে।এছাড়া গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন যা গর্ভস্থ শিশুকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।কিসে:কলা,নারকেল,বাদাম,সোয়াবিন,ডিম।

মিনারেলস                         পটাশিয়াম: কোষের ভেতরে থাকে।পটাশিয়াম সোডিয়াম শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখে। কিসে: আলু,কলা,পেঁপে,মিষ্টি আলু, কুমড়ো,টম্যাটো,পালং শাক,দুধ,দই,রাজমা,কাবলি ছোলা, ডিম, চীনাবাদাম।

ফসফরাস:হাড় সুস্থ্য ও মজবুত রাখতে ক্যালসিয়ামকে সাহায্য করে।দাঁত ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে.দৃষ্টিশক্তি জোরালো করে।শরীরে ফসফরাসের ঘাটতি হলে ক্লান্তি লাগে ,অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে আর উল্টোদিকে ফসফরাস বেড়ে গেলে ক্যালসিয়ামের মাত্রা তারতম্য ঘটে। কিসে: মাছ,মাংস,ডিম,বাদাম,দানাশস্য।

ম্যাগনেশিয়াম: ক্যালসিয়ামের মত হাড়েই পাওয়া যায় ৬০% ম্যাগনেশিয়াম।এই খনিজ হাড় মজবুত রেখে অস্টিওপোরেসিস আটকায়,হার্ট সুস্থ্য রাখে।প্রতিদিন পরিমান মতো ম্যাগনেশিয়াম ডায়াবেটিস, হাই ব্লাডপ্রেসার রোধে কাজ দেয়। কিসে:পালং শাক,কুমড়োর বীজ,দই,ডুমুর,কলা,কাজুবাদাম,তিসি বীজ,ভুট্টা,সোয়াবিন।

ফাইবার:মাংসপেশি গঠনের,পেট পরিষ্কার রাখার মূল উপাদান।কিসে:আটা,পেয়ারা,পালং,তিসি বীজ,কাবলি ছোলা,মুগডাল, কুমড়ো,ফুলকপি,মিষ্টি আলু,নারকেল, বাদাম,মোচা,ব্রকোলি।      

 ছবি: আইষ্টক ফটো,শাটারস্টক।                     

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *