শীতের স্কিন কেয়ার -

শীতের স্কিন কেয়ার

ত্বক,ঠোঁট,গোড়ালি,খুশকি নিরাময়ে এক্সপার্ট টিপস।

শীতের ঠান্ডার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে আসে ড্ৰাই স্কিন, ফাটা ঠোঁট,রুক্ষ চুল।ঠান্ডার সমস্যা আদ্রতার অভাব।তাই শীত পড়ার সময় থেকেই যত্ন নিতে হয়। সেলেব্রিটি কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট ডঃ জয়শ্রী শারাদের পরামর্শ :

স্কিন কেয়ারে :

গরম জল এড়িয়ে – আদ্রতা ধরে রাখার প্রাথমিক শর্ত। শীতকালে গরম জলে স্নান করতে আরাম লাগলেও খুব গরম জল চামড়ার লিপিড ব্যারিয়ার ভেঙে দেয়।তাই কনকনে ঠান্ডা জলে না হলেও সহনীয়,সামান্য গরম জলে স্নান করা উচিত।

শীতের রোদশীতকালে সান ব্লক লাগাতে ভুলবেন না।শরীরের যে অংশে খোলা থাকে সেখানে লাগাতে হবে।ইউভিএ ও ইউভিবি এই দেখেই সানব্লক লোশন কিনবেন।ক্রিমের বটলে ষ্টার চিহ্ন  থাকে।৩টে ষ্টার আছে কিনা দেখে নিতে হবে।আর এসপিএফের মাত্রা ৩০ থাকতে হবে।

ক্রিমে স্বস্তি – শীতকালে শুধু ময়েশ্চারাইজারে কাজ হবে না চাই ঘন মোটা ক্রিম।এই ক্রিম স্কিনের ওপর একটা হালকা লেয়ার তৈরি করে যাতে ঠান্ডা হওয়া সরাসরি স্কিনে লাগতে পারে না।

ডেডসেলস শীতে ডেডসেলস তুলতেই হবে।ত্বকের কোষ প্রতিনিয়ত নষ্ট আর তৈরি হয়।নষ্ট হওয়া কোষ ত্বকের ওপরে জমতে থাকে।বডি ও ফেস স্ক্রাবিং ক্রিম দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়।স্ক্রাব লাগিয়ে বেশি ঘষাঘষি করা উচিত নয়।হালকা মাসাজ করে মরামাস তুলে ফেলতে হবে।

ঠোঁটের জন্য

  • ম্যাজিকের মতো কাজ করে মাখন,গাওয়া ঘি,নারকেল তেল।ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাসাজ করুন।
  • প্রতিদিন বরফের টুকরো ঘষলেও উপকার পাবেন।আদ্রতা বাড়ায়,ফ্রেশ রাখে। 
  • ব্যবহার করা টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে কয়েক মিনিট ঠোঁটে চেপে রাখুন।
  • সপ্তাহে একদিন ঠোঁট ভালো করে স্ক্রাব করুন।মরামাস উঠে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক,ঠোঁট গোলাপি আর নরম থাকে।স্ক্রাবার হিসেবে ৫/৬ ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
  • শীতকালে ঘন ঘন লিপ বাম লাগান।মধু বা শিয়া বাটারও ব্যবহার করতে পারেন।

গোড়ালির যত্নে

  • ১০০ গ্রাম নারকেল তেল,৫ গ্রাম কর্পূর আর ২০ গ্রাম প্যারাফিন মোম একসঙ্গে গলিয়ে কৌটোতে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে পা ভালো করে ধুয়ে মিশ্রণটি লাগান।কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন ।
  • গরম জলে অল্প নুন,গোলাপ জল আর গ্লিসারিন মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন।তারপর পিউমিত স্টোন দিয়ে হালকা করে ঘষে মরামাস তুলে ফেলুন।পরিষ্কার জলে পা ধুয়ে গ্লিসারিন,লেবুর রস,গোলাপ জলের মিশ্রণ লাগান।

খুশকি নিরাময়ে

  • অ্যান্টিড্যানড্রাফ অথবা টি ট্রি অয়েলযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  • লেমন,ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি এসেনশিয়াল অয়েল খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
  • স্ক্যাল্পে নখ লাগাবেন না ।এতে সংক্রমণ বাড়ে।
  • একমুঠো তাজা নিমপাতা দু কাপ জলে ফোটান। জল অর্ধেক হলে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করুন।রোজ রাতে শোয়ার সময়ে চুলের গোড়ায় লাগান।
  • সমান পরিমানে লেবুর রস আর নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন।২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন।তবে কখনো সারারাত রেখে দেবেন না।
  • দু চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার,সময় পরিমাণ জল,আর ২০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *