দু বছরের বিধ্বংসী অতিমারির বিপর্যয় কাটিয়ে সবে সাধারণ জীবন যাপনে আসার সময়ে বেশিরভাগ মানুষের বেপরোয়া,বেহিসেবি অনিয়মের কারণে করোনা আবার বিপজ্জনক ভাবে বাড়ছে। এই সব জেনেও রাস্তায় ঘাটে অফিস কাছারিতে এখনও অসংখ্য মানুষ বেলজিয়াম মাস্ক ছাড়া নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।এদিকে ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে হসপিটালে আক্রান্তের সংখ্যা।দীর্ঘ দু বছর পরে আর বর্ধিত সামার ভেকেশনের পর সবে ছেলে মেয়েরা আকুল কাঙ্খিত স্কুলে যাতায়াতের ,পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে।যেভাবে জিনিসপত্রের দাম উর্দ্ধমুখী আবার লকডাউন হলে দেশের এবং ব্যক্তিবিশেষে অধিকাংশ মানুষ ও তার পরিবার তৃতীয়াবারের জন্য কোভিড যুদ্ধে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না এটা বুঝতে কোনও বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই।
সরকার নয়,ডাক্তার নয়,পুলিশ প্রশাসন নয় শুধু আমাদের নিজেদের ও পরিবারকে বাঁচাতে ফোর্থ ওয়েভ আটকানোর গাইডলাইন-
- অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন নইলে ফল প্রাণঘাতী হতে পারে।
- বাইরে এবং বিশেষত কাজের জায়গায় কঠোরভাবে মাস্ক পরে থাকুন।
- রাস্তায় বেরিয়ে আসার পর স্যানিটাইজার ব্যাবহার না করে কিছুতে হাত দেবেন না
- অফিসে ও বাড়িতে মিনি স্ট্রিমার অবশ্যই রাখুন ও ব্যবহার করুন।
- বয়স্ক আর শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ভিড়ে মেলামেশা করা এড়িয়ে চলুন।
- সর্দি কাশিতে হাত না ব্যবহার করে কনুই ব্যবহার করুন।
- পৃথিবী সম্পূর্ণ কোভিড মুক্ত নয় তাই যতটা সম্ভব সামাজিক মেলামেশা,পার্টি থেকে বিরত থাকুন কারণ হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী অফিস আর কাজের জায়গায় সাবধানতা মেনেও সপ্তাহান্তে পার্টিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
- প্রত্যেকবার বাইরে থেকে এসে অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নিন।
- বাইরে একসঙ্গে খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
- জ্বর,সর্দি কাশি হলেই ডাক্তার ডেকে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিন। কিছু না হলে নিশ্চিন্তে থাকুন কিন্তু এড়িয়ে যাবেন না।
- এখন নতুন সিম্পটম হল মাথার যন্ত্রণা,গায়ে ব্যাথা,স্কিন ইনফেকশন,হাতের আঙ্গুল ও পায়ের চেটোর রং বদল।
তথ্য- হু,সি ডি সি, আই সি এম আর
শেয়ার করুন :