হৃদয় আছে যার সেই তো ভালবাসে যদি প্রতিটি মানুষের হার্ট ভাল থাকে । আজকের ফাস্ট স্ট্রেসফুল জীবনে হার্ট ভালো রাখার উপায় –
১) হেঁটে দেখুন : রোজ ৩০/৪০ মিনিট হাঁটতেই হবে । প্রথমেই জোরে নয় ,শুরু করুন আস্তে আস্তে তারপর গতি বাড়ান । সকালে না হলে বিকেলে, সন্ধ্যে ,পার্কে না হলে বাড়ির পাশের রাস্তায় ,কমপ্লেক্সের রাস্তায় ।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ওবেসিটি হলে তা ঝরিয়ে ফেলুন ,আপনার উচ্চতা অনুযায়ী অর্থাৎ বি এম আই অনুযায়ী যেন ওজন থাকে সে বিষয়ে সাবধান হন । মাপ করবেন কোমরের মাপ ৩৫ হলেই আপনি কিন্তু রিস্ক জোনে খেয়াল রাখবেন ।
৩) লাইফস্টাইল চেঞ্জ : এই নিয়ে বহুবার পড়েছেন,করব করব ভেবেছেন কিন্তু করে উঠতে না পারলে আজ থেকেই শুরু করুন । প্রথমেই স্মোক করা ছেড়ে দিন ,না ছাড়তে পারলে কঠোরভাবে কমিয়ে দিন । দ্বিতীয়ত ইয়ে মানে একটু আধটু চলে তো ? ড্রিঙ্কের কথা বলছি ,মানে মেঘ করলেও আর না করলেও ? নিজেকে সামলান ,খুব ভালো হয় ছেড়ে দিলে নইলে উইকেন্ডে আর অকেশনে একটু আধটু মাত্রা রেখে । তৃতীয়ত স্ট্রেস কমাতেই হবে সে যতই অফিসের আর বাড়ির চাপ আসুক ,এই চাপ কমানোটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে চেষ্টা করুন
৪) মোবাইলের আসক্তি আর হার্টের অসুখ : সম্প্রতি আমেরিকার FCC (ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনস ) স্টাডি অনুযায়ী একজন পূর্ণবয়স্ক স্বাস্থবান পুরুষ কে দিনে ৬ মিনিট ( আজ্ঞে হ্যাঁ ৬ মিনিট) এর বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে । কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার জোএল কাহন জানাচ্ছেন মাত্র এক/দেড় মিনিট মোবাইলে কথা বলার পরেই ব্লাড কোলেস্টরল বেড়ে যায় মোবাইলে টেনশনে কথা বলেও খুব ক্ষতিকর । গত বছরের স্ট্যাটিস্টিক্স বলছে অ্যাভারেজ এ ভারতীয় রা দিনে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ফোনে থাকে যা শুধু হার্ট নয় তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব ক্ষতিকর ।
৫) মনখারাপ হার্ট খারাপ ? আজ্ঞে হ্যাঁ মানসিক চাপ অর্থাৎ বিষন্নতা থেকে হবার রিস্ক থাকে সুতরাং যতই চাপ আসুক টেনশন কে পেনশনে পাঠিয়ে দিন
মনে করিয়ে দেওয়া : হার্টের পরীক্ষায় রক্তে হিমোগ্লোবিন ,ব্লাড সুগার টেস্ট হার্টের অসুখ আটকাতে লিপিড প্রোফাইল ,ই সি জি আর স্ট্রেস টেস্ট ,ইকো কার্ডিওগ্রাফি,হল্টার মনিটরিং জরুরী ।
শেয়ার করুন :