সেঞ্চুরি ল্যামিনেটসের বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এক্সক্লুসিভ টিপস-
বাড়ির মধ্যে কিচেন হল এমন একটি জায়গা যার ব্যবহার সবচাইতে বেশি (যদি তা না হয়,আমরা তাকে রিমডেলিং ডিজাইন পরামর্শে এমন মনোমুগ্ধ করে তুলব) যাতে সেখানেই আপনার সবচেয়ে বেশি সময় থাকতে ইচ্ছে করবে। এর কার্যকরী প্রয়োগ,কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন ভাবনা ছাড়াও এর প্রয়োজনীয়তার কারণে দীর্ঘকাল আপনার মুগ্ধতা বজায় থাকবে। যদি আপনি কিচেন রিমডেলের কথা ভাবছেন এবং এবিষয়ে দক্ষ সুপরামর্শের প্রত্যাশী,তাহলে আমরা আপনার জন্য ৩৫টি দুর্দান্ত দৃষ্টিনন্দন কিচেন ডিজাইন টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি যা থেকে নিজের কিচেনের জন্য সবচেয়ে ভালো ,কার্যকরী ডিজাইন পছন্দ করে নিতে পারেন,নতুন অন্দরসাজের বিষয় জানতে পারেন।আমরা প্রায় সমস্ত অত্যাধুনিক ,ট্রেন্ডি কিচেন ডিজাইন সমাহার এনেছি যা আপনার পছন্দ হবেই, তৃপ্তিকর থেকে রমণীয়,মডার্ন থেকে জমকালো সবরকম।আমরা নিয়ে এসেছি অসাধারণ কাউন্টারটপস, এক্সক্লুসিভ ব্যাকস্প্ল্যাশেস আর স্টেটমেন্ট লাইটিংয়ের সমাহার।
কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ডেকোরেটিভ ল্যামিনেটস লাগানো যায় কিনা ভাবছেন ?কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই গুরুত্বপূর্ণ নয়,নান্দনিক ও মনোমুগ্ধ অন্দরসাজের ও প্রয়োজন অপরিসীম।জবর খবর হল সেঞ্চুরি ল্যামিনেটসের ডেকোরেটিভ ল্যামিনেটস আর প্যানেলস দিয়ে খুব সহজেই সুরুচিপূর্ণ কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে তুলতে পারেন।
আপনি যদি কিচেন ডিজাইনে নান্দনিক সৌন্দর্য্য আর আরাম একসঙ্গে চান তাহলে এই মূল্যবান প্রবন্ধ আপনার জন্য।ডেকোরেটিভ ল্যামিনেটসের রূপমাধুর্য্যে কিচেন সাজিয়ে তুলতে নিচের তথ্যসমৃদ্ধ রচনায় অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত হয়ে বদলে ফেলুন আপনার কিচেন :
১) কাউন্টার চেয়ার দিয়ে নিজস্ব স্টাইল তৈরী করুন : কাউন্টার স্টুলস হল রেস্টুরেন্ট সিটিংয়ের মতন যেখানে একটা কাউন্টারের ধারে আপনি আরাম করে বসতে পারেন।কাউন্টার স্টুলস বার কাউন্টারে,উঁচু নিচু করে নেওয়া রেস্টুরেন্ট টেবলে,কিচেন কাউন্টারে অথবা ডাইনিংয়ের জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
২) চমকপ্রদ ওয়াল পেপার স্টাইল দিয়ে প্রভাবিত করে তুলুন :কিচেনে এমন ওয়ালপেপার ব্যবহার করা উচিত যা বার বার ধুয়ে ফেলা যায়, দাগ মুছে ফেলা যায়। ব্যাকস্প্ল্যাশের জন্য পিল অ্যান্ড স্লিক ওয়ালপেপার অথবা হেভি ডিউটি কন্ট্যাক্ট পেপার ব্যবহার করা শ্রেয় কারণ খুব টেকসই,সহজে ধুয়ে নেওয়া যায় আর প্রয়োজন পড়লে বদলে ফেলা যায়।
৩) গ্লসি কাউন্টার টপস:এই ল্যামিনেটসে ভাইরাকিল টেকনোলজি থাকায় কাউন্টারটপস আর কিচেন ক্যাবিনেটে কোনো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারেনা।এছাড়া এটি হিট রেসিস্টেন্ট যা একটি বোনাস পয়েন্ট এই কিচেন আবহের জন্য।
৪)অদ্ভুত ওভেন স্পেস : সাধারণত মডিউলার কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে একটি কোণে অথবা মধ্যিখানে থাকে।এই কারণে এই জায়গাটি সাধারণ দেখতে লাগে।যেহেতু ওভেনের কারণে অনেকটা জায়গার প্রয়োজন হয় তাই এর ওয়াল স্পেসে ল্যামিনেট লাগালে খুব সৃজনশীল দেখাবে।
৫) আশ্চর্য্য চমৎকার কিচেন উইন্ডো :আপনি কি তাদের দলে যারা কিচেন ইন্টেরিয়র উইন্ডো ডিজাইনে পটেড প্ল্যান্টস লাগান?নিদেনপক্ষে তাজা ধনে,পুদিনা ভরা পট? তাহলে এবার উইন্ডোতে প্ল্যান্টস আর পট অনুযায়ী ম্যাচিং ডেকোরেটিভ ল্যামিনেট লাগিয়ে কিচেনে স্বাভাবিক আলো আসতে দিন।
৬) বসার জন্য পছন্দের ফেব্রিক ব্যবহার করুন : ডাইনিং চেয়ার আপহোলস্ট্রির জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ন্যাচারাল ফেব্রিক হল কটন,লিনেন আর লেদার।ন্যাচারাল ফেব্রিকের বিশেষত্ব হল এগুলি ব্রিদেবল মেটেরিয়াল বলে এখানকার অসহ্য গরম আবহাওয়াতেও আপনাকে স্বস্তিতে রাখে। ন্যাচারাল ফেব্রিক হওয়ার কারণে এগুলি খুব শক্তিশালী আর ঘষা বা ছড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৭) প্যানেলস দিয়ে রিমডেল: ক্যাবিনেট স্পেস কম হয়ে গেলে একটি পুরোনো ড্রেসার অথবা আলমারিকে রিমডেল করে তাতে প্লেট ,গ্লাস,ক্রোকারি,সার্ভওয়্যার রাখতে পারেন।সেঞ্চুরি প্লাইয়ের স্টোরেজ প্যানেল ব্যবহার করে কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সবচেয়ে ভালো করে স্পেস বাড়িয়ে নিন।
৮) গ্রেসফুল ফ্লোর টাইলিং: কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে পোর্সেলিন আর সিরামিক টাইলস সচেয়ে উপযোগী,যা ইঙ্গিত করে এরা টেকসই আর শক্তিশালী মেটেরিয়াল। বিশেষ করে সিরামিক টাইলস স্টেন আর ওয়াটার রেসিটেন্ট। এই দুই টাইলস বিপুল রেঞ্জের কালার্স আর প্যাটার্নসে পাওয়া যায়।এগুলি আপনার কিচেন ইন্টেরিয়রে ব্যবহার করে সবাইকে চমকে দিন।
৯) রঙের আনন্দে উদ্দীপ্ত :কিচেন হল এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি আপনার পছন্দের রান্না করেন তাই সেই পরিবেশ আনন্দময় হওয়া উচিত।কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে আকর্ষণীয় কন্ট্রাস্টিং ভাবে সাজানো যেমন ক্রিম আর পেল ইয়েলো কালার স্কিম অথবা অন্যান্য হালকা রঙের সঙ্গে উডেন কাউন্টারটপসের উষ্ণতা।এছাড়া আপনি ক্লোসেটে ডায়মন্ড সিল্যুয়েট অথবা রঙের আর আসবাবের সামঞ্জস্য।
১০) নতুন প্যানেল লাগিয়ে স্টোরেজ ইউনিট বদল :প্রাচুর্য্য ও বৈভব সমৃদ্ধ কিচেন সাজাতে নানারকম কিচেন ইউনিট খুঁজে দেখুন যেমন অ্যাক্রেলিক ক্যাবিনেটস, উডেন ক্যাবিনেটস, ক্রকারি ক্যাবিনেটস,প্লাস্টিক ক্যাবিনেট এমন অনেক ধরণ।এই ক্যাবিনেটগুলিতে সমস্ত কিচেন সামগ্রী রাখার পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস আছে।আপনি সেঞ্চুরি প্লাই প্যানেল বোর্ডস ব্যবহার করুন যাতে আপনার মার্জিত রুচি অনুযায়ী কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন সাজাতে পারেন।
১১)পেন্ডেন্ট লাইট আলোকের ঝরনাধারায়:কিচেন ডিজাইন ভাবনায় পেন্ডেন্ট লাইট একটি অসামান্য সংযোজন। আপনার পছন্দের স্টাইল অনুযায়ী আধুনিকতার ছোঁয়া অথবা ঐতিহ্যের আকর্ষণ দু রকমই পাবেন।পেনডেন্ট লাইটসের আর একটি বড় সুবিধা এটি কিচেন ওয়ার্কপ্লেসে টাস্ক লাইটিংয়ের কাজ করে।
১২) বোল্ড ব্যাকস্প্ল্যাশের দীপ্তি :কিচেন ডিজাইনের স্টাইল আর চরিত্রসৃষ্টিতে বোল্ড ব্যাকস্প্ল্যাশের অবদান অপরিসীম। কিচেন ইন্টেরিয়রে আশ্চর্য্য সৌন্দর্য্যবৃদ্ধিতে গ্লাস ,টাইল এমনকি ওয়ালপেপারের মতন নানা ধরণের মেটেরিয়াল থেকে পছন্দ করে নিতে পারেন।
১৩) ওপেন শেল্ভিং :আপনার পছন্দের কিচেন সামগ্রীকে দৃশ্যমান,খোলা হাওয়া বাতাস চলাচল করে রাখতে ওপেন শেল্ফ খুব ভালো ডিজাইন।ওপেন শেল্ফের কারণে সুন্দর ডিশ ,গ্লাস এমনকি কুকবুক ও প্রকাশ্যে দেখতে পাওয়া যায়।
১৪) রাঙিয়ে দিয়ে :কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে আধুনিক আর ট্রেন্ডি করে তোলার একটি সহজ উপায় হল ক্যাবিনেট আর দেওয়ালকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেওয়া।নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী নানা রং দিয়ে কিচেন ডিজাইন করে নিন।
১৫) আন্ডার ক্যাবিনেট লাইটিং:কিচেন ওয়ার্ক এরিয়াতে টাস্ক লাইটিংয়ের জন্য আন্ডার ক্যাবিনেট লাইটিং একটি দুর্দান্ত স্টাইল।এতে কিচেন ডিজাইনে আরামদায়ক উষ্ণতার আবহ আনে।
১৬) বিভিন্ন ক্যাবিনেট হার্ডওয়্যার পরখ করা :কিচেন ইন্টেরিয়রে ক্যাবিনেট হার্ডওয়্যার একটি উপেক্ষিত বিষয় হলেও কিচেন ডিজাইনে এর প্রভাব অনস্বীকার্য।বিভিন্ন ধরণের মেটেরিয়াল আর স্টাইল থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্যাবিনেট হার্ডওয়্যার দিয়ে কিচেন ক্যাবিনেটকে অনুপম সাজে সাজিয়ে তুলুন।
১৭)সুখী গৃহকোণ :কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে, কিচেনে একটু জায়গা থাকলে সেখানে একটি কোণে আরামে বসার ব্যবস্থা করতে পারেন।এখানে প্রিয়জনের সঙ্গে আয়েশ করে সকালের কফি খাওয়ার মজাই আলাদা।
১৮)মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ মেটেরিয়ালস: মিক্সিং আর ম্যাচিং মেটেরিয়ালস ,যেমন উড আর মেটাল কিচেনে ডিজাইনে ডেপ্থ আর টেকশ্চার বাড়িয়ে তোলে।এই টেকনিক আপনি ক্যাবিনেট ,কাউন্টারটপস অথবা সমস্ত কিচেনে ব্যবহার করে ব্যাপ্তি আর বৈভব বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
১৯) ফার্মহাউস সিঙ্ক: কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ফার্মহাউস সিঙ্ক একটা সাদাসিধে কমনীয়তা যোগ করে।বড় আর বেশি পটস আর প্যানের জন্য আদর্শ।
২০) চকবোর্ড ওয়াল :কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে চকবোর্ড ওয়াল একটা কাজের,মজার জিনিস। আপনি এতে গ্রসারি লিস্ট,খাবার মেনু প্ল্যান,অথবা খাবার তৈরির অপেক্ষার সময় শুধুই আঁকিবুকি কাটতে ব্যবহার করতে পারেন।
২১) ওপেন কনসেপ্ট ডিজাইন :এখনকার লেটেস্ট ট্রেন্ড অনুযায়ী ওপেন কনসেপ্ট ডিজাইনের চাহিদা খুব বেশি।এই ডিজাইন স্টাইলে সব দেওয়াল সরিয়ে একটা খোলা ,হাওয়া বাতাস যাতায়াত করা কিচেন স্পেস তৈরি হয় যা মনোরম আর উন্মুক্ত।
২২) বিল্ট ইন অ্যাপ্লায়েনসেন্স:বিল্ট ইন অ্যাপ্লায়েনসেন্স মানে ওভেন,মাইক্রোওয়েভ,রেফ্রিজারেটর আপনার কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে আধুনিকতার ছোঁয়া আনে।এছাড়া জায়গার সাশ্রয় হয় এবং কিচেন ডিজাইনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটি সংগঠিত চেহারা দেয়।
২৩) সবুজের সতেজ ছোঁয়া :কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সবুজ গাছ একটা তাজা পরিবেশ তৈরি করে। আপনি হার্বস,ছোট চারাগাছ অথবা হ্যাংগিং প্ল্যান্টস লাগিয়ে কিচেন সতেজ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
২৪) স্টেটমেন্ট রেঞ্জ হুড:এই স্টেটমেন্ট রেঞ্জ হুড কিচেন চিমনির অনেক আধুনিক উন্নত সংস্করণ যাতে কিচেন ডিজাইনে সপ্রতিভ ,জমকালো বাহার আনে। আপনি আমাদের কিচেন ডিজাইন থেকে বিভিন্ন মেটেরিয়ালের মধ্যে পছন্দ করে নিজের কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে অনন্য জৌলুশ আনতে পারেন।
২৫) মাল্টি ফাংশনাল ক্যাবিনেটস :কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে নানান কাজে ব্যবহার করা যাওয়া এই ক্যাবিনেটে স্টোরেজ,সিটিং আর ওয়ার্কস্পেসের সুবিধে আছে। এখানে খাবার বানানো .অতিথি আপ্যায়ন এমনকি বাড়ির ওয়ার্কস্টেশন হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের এই কিচেন ডিজাইন টিপস কেমন লাগছে আপনার? এর মধ্যে কোনটি পছন্দ করে ফেলেছেন ?
২৬) গোপনে জিনিসপত্র রাখা :কিচেন ডিজাইনে এক ধরণের ইন্টেরিয়র ডিজাইন হল ক্যাবিনেট প্যানেলের পেছনে প্রয়োজনীয় গ্যাজেটস ,জিনিসপত্র রাখার স্টাইল, যাতে একটা কিচেনে খুব বেশি ঠাসাঠাসি ভিড় না মনে হয়। এই সংযুক্তিতে কিচেন ইন্টেরিয়র খুব গোছানো মনে হয়,যেমন রেফ্রিজারেটর ,বাসনপত্র,ডিশওয়াশার এই সবকে ক্যাবিনেট কভার দিয়ে ঢেকে রাখলে কিচেনে একটা রমণীয় রূপ নেয়।
২৭) ২ টোন ক্যাবিনেটস :টু টোন ক্যাবিনেটস দিয়ে কিচেন ডিজাইন একটি দুর্দান্ত অন্দরসাজ কারণ এতে একইসঙ্গে ডেপ্থ আর কন্ট্রাস্টের সমন্বয় তৈরি হয়। ওপর আর নিচের ক্যাবিনেটে স্পষ্ট রঙের বিন্যাস,ডায়নামিক কন্ট্রাস্ট একটা দৃশ্যত আকর্ষণীয় আর সমন্বয়পূর্ণ মাধুর্য তৈরি করে। এর আর একটি সুবিধে বিশেষ জিনিপত্র অথবা ক্যাবিনেট সেটকে জায়গাকে লক্ষণীয় করে তোলে যাতে কিচেন ডিজাইনে কিছু বিশেষ জায়গা দৃষ্টিগোচর হয়।
২৮) প্যাটার্ন্ড ফ্লোরিং: কিচেন ডিজাইন আইডিয়াতে কিচেন ফ্লোরিংয়ে প্যাটার্ন্ড অথবা জিওমেট্রিক টাইলস সাহসী আর রূপান্তরকারী সিদ্ধান্ত হতে পারে।এই নজরকাড়া প্যাটার্নগুলি স্পেসে তার নিজস্ব চেহারায় উদ্বুদ্ধ আর প্রাণবন্ত করা ছাড়াও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।একটু জটিল কারুকাজ ডিজাইন পছন্দ করলে কিচেনে একটি স্বতন্ত্র চরিত্র আর প্রাণোচ্ছল পরিবেশ সৃষ্টি করবে যাতে এটি একটি আশ্চর্য্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে ওঠে। একঘেয়ে সাধারণ ফ্লোরিং ডিজাইন বদলে সৃজনশীল প্যাটার্ন্ড ফ্লোরিং কিচেনের পরিবেশকে উন্নততর করে তোলে।
২৯) ওয়াটারফল কাউন্টারটপ: ওয়াটারফল কাউন্টারটপ ডিজাইন বৈভব আর আভিজাত্যের প্রতীক/কিচেনকে একটি দ্বীপের মতন কল্পনা করলে তার একধারে আপনার পছন্দের কাউন্টারটপ রাখলে একটি অবিশ্রান্ত ধারা তৈরিতেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা এই আভিজাত্যে কিচেন দ্বীপের মধ্যমণি হয়ে উঠবে।
৩০ ) বার্ন ডোর প্যান্ট্রি :প্যান্ট্রি এন্ট্রেন্সে একটি স্লাইডিং বার্ন ডোর একটা রুক্ষ সৌন্দর্য্য আর জায়গা বাঁচানোর জন্য দারুণ ভাবনা।ডিজাইনে একটি দেশীয় রুক্ষতা আবার প্রচলিত সুইংগিং ডোরসের দরকারি ফ্লোর স্পেসের জায়গা বাঁচানো যায়।এটি একধারে দৃষ্টিনন্দন আবার প্যান্ট্রিতে সহজে আসা যাওয়ার সুবিধে যাতে কিচেনের পরিবেশ ঝামেলা বিহীন থাকে।
৩১) ল্যামিনেটেড সিলিংস:ল্যামিনেটেড সিলিংসকে ল্যামিনেটেড উড সিলিংসও বলা হয় যা ইন্টেরিয়র ডিজাইনে একটি বহুমুখী স্টাইলের ধরণ। একটি ল্যামিনেট অথবা উড ভিনিয়েরের লেয়ারের বেস মেটেরিয়াল যেমন পার্টিকলবোর্ড বা MDF (মিডিয়াম ডেনসিটি ফায়ারবোর্ড) এর ওপর ব্যবহার করা হয়।
৩২) টেকশ্চার্ড গ্লাস :কিচেন আর লিভিং স্পেসের ক্যাবিনেট ডোরসে টেকশ্চার্ড অথবা ফ্রস্টেড গ্লাস লাগানো এমন একটি ডিজাইন ভাবনা যাতে দুটো সুবিধে আছে। প্রথমত ক্যাবিনেটসের জিনিসপত্র আড়াল করে প্রাইভেসি রক্ষা করে যাতে একটি পরিষ্কার আর গোছানো সৌন্দর্য্য বজায় থাকে বিশেষত যেখানে জিনিসপত্র অগোছালো হয়ে থাকে।দ্বিতীয়ত টেকশ্চার্ড অথবা ফ্রস্টেড নিজেরাই ডিজাইনের একটি আকর্ষণীয় অঙ্গ হয়ে ওঠে।
৩৩) পট ফিলার :কিচেন ডিজাইনে একটি পট ফিলার ফসেট যা স্টোভের ওপরে আর চিমনির নিচের জায়গায় লাগালে রান্না সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের সমাধানের পাশাপাশি প্রাচুর্য্যের ছোঁয়া আনে। স্টোভের ওপরে লাগানো থাকে বলে রান্নার জন্য সিঙ্ক থেকে জলের ভারী পাত্র বয়ে আনতে হয়না বলে অনেক সুবিধে হয়।
৩৪ )ট্রে সিলিং :এটি এমন একটি ডিএজিন যা আপনার কিচেনের রূপসজ্জা আমূল বদলে দিতে পারে।মাল্টি লেভেল ট্রে সিলিং কিচেনে জমকালো আড়ম্বর এবং ডেকোরে বৈভব সৃষ্টি করে। এর আশ্চর্য লাইটিং ফিক্সচারের দৌলতে স্বভাবতই দৃষ্টি ওপরে চলে যাওয়ার কারণে প্রাচুর্য্যের ছোঁয়া আর জায়গাকে অনেক বড় দেখায়।
৩৫)ভিন্টেজ অ্যাপোথেকারি ক্যাবিনেট:কিচেন ডিজাইনে এই ভিন্টেজ অ্যাপোথেকারি ক্যাবিনেট রন্ধনশালায় ইতিহাসের ছোঁয়া আর অদ্ভুত সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করে।এই ক্যাবিনেটগুলিকে দেখতে অতীতের ওষুধ রাখার তাকের মতন হওয়াতে একটা নস্টালজিক স্টোরেজ সলিউশনের মাধুর্য আনে যা একইসঙ্গে কাজের আবার দৃষ্টি আকর্ষণকারী।
ডেকোরেটিভ সেঞ্চুরি ল্যামিনেটসের বৈশিষ্ট :
৭ বছরের ওয়ারেন্টি: ওয়ারেন্টি ছাড়া কোয়ালিটি কোনো কাজের কথা নয়।তাই সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস ৭ বছরের ওয়ারেন্টিতে আশ্বস্ত করছে যাতে এই ল্যামিনেটস নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।এগুলি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।
কালার ফাস্টনেস :ল্যামিনেটসের প্রধান বৈশিষ্ট ইন্টেরিয়রে নান্দনিক সৌন্দর্য্য সৃষ্টি ।সেই কারণে রঙের দৃঢ়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস সারফেসে একটি ওভারলেয়িং টিস্যু লেয়ার দিয়ে এই কালার ফাস্টনেস তৈরি করে। এই কারণে দীর্ঘদিন ইন্টেরিয়র ঝকমকে থাকে।
বয়েলিং ওয়াটার রেসিস্টেন্স :এই ল্যামিনেটস জল এবং স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ার থেকে প্রতিরোধী।প্রখর গরমে আকার বেড়ে ওঠেনা বা দুমড়ে যায় না যে কারণেই এটাই ভারতের মতন দেশের পক্ষে শ্রেষ্ঠ ল্যামিনেটস।সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস অত্যন্ত মনোযোগ আর গুরুত্ব দিয়ে ল্যামিনেট তৈরি করে বলে নিশ্চিত করে যেন প্রত্যেক ক্রেতা তাদের স্বপ্নের ইন্টেরিয়রের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ল্যামিনেটস পেতে পারেন।
ইউনিফর্ম থিকনেস: ডেকোরেটিভ ল্যামিনেটস ম্যানুফাকচারিং প্রসেসের সময় এর থিকনেস অতিসতর্কভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেহেতু ল্যামিনেটস একটি পাতলা লেয়ারে তৈরি হলেও টেকসই হতে হয় তাই ইউনিফর্ম থিকনেস হওয়া খুব জরুরি। ডেকোরেটিভ ল্যামিনেটসে সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস লুকবুক রেঞ্জে ১ মিমি ল্যামিনেটেস প্রস্তুত করে আর স্টারলাইন রেঞ্জ ০.৮ মিমি ল্যামিনেটস তৈরি করে।
স্মুথ ফিনিশিং :এই ল্যামিনেটসের ধার আর কোণগুলি অত্যন্ত মসৃণ আর সুক্ষ।সঠিক ব্যাক স্যান্ডিং পদ্ধতি এর গুণমান রক্ষাতে কাজ করে। সেই কারণেই ল্যামিনেটস আপনার স্পেসকে মসৃণ রাখে।
অ্যান্টি ভাইরাল কোটিং: সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস যুগান্তকারি ভাইরোকিল টেকনোলজি সমৃদ্ধ যা ইন্টেরিয়র আর সারফেসকে রক্ষা করে।এতে অ্যান্টি ভাইরাল ,অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল কোটিং থাকার জন্য পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
পরিশেষে
সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ল্যামিনেট প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম যার রেঞ্জে আছে বিপুল স্টাইল আর টেকশ্চারের বৈচিত্র।তাহলে আর দেরি কেন? আপনার কিচেন ডিজাইনের লাবণ্য আর সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতে সেঞ্চুরি প্লাই ই- শপে চোখ রাখুন –
https://www.centuryply.com/eshop/
শেয়ার করুন :