আমরা সবাই নিজেদের ভালো এবং জীবনের মান উন্নত করতে চাই ,কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও রোজকার ব্যস্ততায় সেই বিষয়ে মন দিতে পারিনা।কিন্তু সহজে কিছু বদল আনলে জীবন অনেক প্রাণোচ্ছল মধুর হয়ে ওঠে।
পৃথিবী বিখ্যাত মনোবিদদের এবং রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকার বিশিষ্ট সম্পাদকমন্ডলীর এবং মূল্যবান টিপস:
১) শোয়ার আগে বিছানার পাশে এক গ্লাস জল রাখুন।ভোরে উঠে খাওয়া শুরু করুন।হাইড্রেশন ভালো হবে।
২)প্রত্যেকদিন অন্তত ১০মিনিট আপনার পছন্দের মানুষের সঙ্গে কাটান,স্বামী ,স্ত্রী, বাবা,মা,ছেলে, মেয়ে এমন যে কেউ।
৩) রোজ একটা টু -ডু লিস্ট করে রাখুন ,দিনে হঠাৎ প্রয়োজনীয় কাজ করতেই হলে স্ট্রেস বাড়বে।এই লিস্ট আগে থেকে করা থাকলে অনেক ধীরে সুস্থে কাজ করতে পারবেন।
৪)আজকাল ফোনে এত ফটো থাকে ,তার থেকে পছন্দ মতন ছবি প্রিন্ট করে ফ্রেম করে প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে দেখুন , এই সারপ্রাইজ খুব ভালো লাগবে।
৫)বাবা মাকে হঠাৎ ফোন করে ওনারা কেমন আছেন জিজ্ঞেস করুন।দূরে বা একসঙ্গে থাকলেও, ওনারা খুব খুশি হবেন।
৬) ফ্রিজে কাটা ফল আর সব্জি রেখে দিন।হঠাৎ স্ন্যাকস বা সতে করতে কাজে দেবে।
৭)সপ্তাহে অন্তত ১দিন নিজের যেটা পছন্দ তাই করুন।
৮) প্রদেয় বিলস আসার/পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে দিন।
৯) কেউ আপনার সম্পর্কে কেমন আছেন জানতে চাইলে একতরফা নিজের বিষয় না বলে ভদ্রতা করে তার সম্পর্কেও জানতে চান তিনি কেমন আছেন।
১০)রোজ ১০ মিনিট ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।স্ট্রেস হলে তখন আবার।
১১) ব্যাঙ্কে নিজের একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট রাখুন। ওখানে কিছু টাকা অটোমেটিক ট্রান্সফার করে রাখুন।হঠাৎ প্রয়োজন বা বিপদে আপদে কাজে দেবে।
১২) অফিসে টানা কাজের ফাঁকে ১০ মিনিটের ব্রেক নিন।
১৩) দিনের শুরুতে না পারলে যখন তখন যে কোনো এক্সারসাইজ ভালো (তবে খাবার পরেই করতে যাবেন না )।
১৪) সপ্তাহের মাঝে একদিন ভালো সাজুন,ভালো খান ,সবটাই উইকএন্ডের জন্য জমিয়ে রাখবেন না।
১৫) কাজের টেবিলে ছোট গাছ রাখুন.পটেড প্ল্যান্টস।স্ট্রেস কমাবে,কাজে উৎসাহ বাড়বে ,সতেজ থাকবেন।
১৬) অনলাইন বা অফলাইন যে কোনো মেগা সেলের আগে চিন্তা করুন যে এটা কি আপনার সত্যিই দরকার ?
১৭) যখন খুব বোর লাগছে বা খিদে পেয়েছে এমন সময় শপিংয়ে যাবেন না।
১৮) কাজ এবং পরিবার ছাড়া একটা গোষ্ঠীতে,কমিউনিটি গ্রূপে যোগদান করুন।
১৯) রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না ?ক্যাফিন এবং ফোন ব্যবহার কমিয়ে দিন।
২০) সপ্তাহে ১ দিন ডিজিটাল ডিটক্স করুন। ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,ইন্সটা (এক্স ) বন্ধ করুন।
২১)মাসে অন্তত ২ বার বিকেল উপভোগ করুন ।
২২)ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন।
২৩) নিজের যুদ্ধগুলোকে সনাক্ত করুন যে কোনগুলোতে লড়বেন আর কোনগুলো ছাড়বেন। সব যুদ্ধ,ঝামেলায় জড়ানোর কোনো দরকার নেই।
২৪) এমন কোনো কাছের বন্ধু ,আত্মীয়স্বজন যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ নেই তাঁকে ফোন করুন।
২৫) শান্তিতে নিজের খাবার খান,তাড়াহুড়ো করে বা অন্যমনস্ক না হয়ে।
২৬) ছেলেমেয়েদের মিউজিয়াম,আর্ট একজিবিশন,লিটারারি মিট,সঙ্গীত অনুষ্ঠানে নিয়ে যান। তারা বড় হয়ে গেলেও।
২৭) সপ্তাহে অন্তত ১টা বই পড়ুন ,কাছের লাইব্রেরির মেম্বার হওয়া ভালো।
২৮)অন্য ধরণের রান্না শিখে করে ফেলুন ,যেমন ভুটানের জাতীয় খাবার এমা দাতশি।
২৯)সপ্তাহে ১টি চিঠি লিখুন ,কাগজ কলম পোস্ট অফিস ,করে দেখুন ,দারুণ লাগবে।
৩০)রাতে ফোন বন্ধ করে ঘুমোন ,সাইলেন্ট নয়,বন্ধ।
৩১)সপ্তাহে অন্তত ১টি নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করুন।
৩২)পুরোনো শখ আবার করে শুরু করুন,গান,ছবি আঁকা ,লেখা।
৩৩)মাঝে মাঝে পুরোনো ফটো অ্যালবামে চোখ রাখুন।
৩৪) চিন্তায় ঘুম না এলে বই পড়ুন ,কিছুক্ষন পরেই চোখে ঘুম নেমে আসবে।
৩৫)দিনের শুরুতেই যোগব্যায়াম করার সুফল সারাজীবন ধরে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।
৩৬)অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা মন খুলে করুন,যদি তা আপনার চেয়ে ভালো হয়ে তবুও। আপনার আভিজাত্য,সুমধুর ব্যক্তিত্বের জন্য সমাদৃত হবেন।
৩৭)কবিতা পড়ুন আর যে কবিতা খুব ভালো লাগবে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
৩৮)কোনো রাজনৈতিক আলোচনায় শুধু নিজের মত প্রতিষ্ঠার জন্য চেঁচামেচি না করে অন্যের যুক্তি,বিশ্বাস শান্ত ভাবে শোনার অভ্যাস করুন এবং আপনার বিরুদ্ধ যুক্তির মধ্যে সত্য ও যুক্তি থাকলে সেটা মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখান।
৩৯)সততা অত্যন্ত জরুরি একটা সত্তা ,নিজের জন্য আর নিজের কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪০)শুধু খবরের হেডলাইন নয় ,খবর বিশদে পড়া দরকার।
৪১) যে কোনো বিষয়ে নিজের ভুল হলে নির্দ্বিধায় ভুল স্বীকার করে নিন ,নিজেকে সবসময় ঠিক প্রমাণ করার দরকার নেই।
৪২)হেঁটে দেখতে শিখুন- নিজের আসে পাশে অথবা কিছুটা দূরের অজানা অচেনা জায়গা ঘুরে দেখুন।
৪৩) যে অকেশন বা নিমন্ত্রনে একদম যেতে ইচ্ছে করছে না সেখানে যাবার দরকার নেই,বিনীত ভাবে না বলুন।
৪৪) নিজের পছন্দের নতুন কিছু শিখুন ,গান,গিটার, সেতার, রান্না,ভাষা যা আপনার পছন্দ।
৪৫) সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে অন্তত ৫দিন স্বাস্থকর খাবার খান।
৪৫) পজিটিভ মিডিয়া ফলো করুন,পড়ুন ,যা কিছু ভালো,সদর্থক,ইতিবাচক।
৪৬) সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিন ,মানে ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে ,অন্য কিছু করতে করতে নয়।
৪৭) ধ্যান করা অভ্যাস করুন,দিনের যে কোনো সময়ে মেডিটেট করুন।স্ট্রেস ,দুশ্চিন্তা কমে কাজে মনোযোগ ,ফুর্তি আসবে।
৪৮)নিজের কাজগুলোর একটা প্ল্যান আর এক্জিকিউশন চার্ট বানান ডেডলাইন দিয়ে।এই লিস্ট খুব কাজে দেবে।
৪৯) একটা ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ নিন।যেমন সপ্তাহে একদিন সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ,রাতে ঘুমোনোর সময় ফোন অন্য ঘরে অথবা বন্ধ ,রোজ সকালে উঠে ১০মিনিট ব্যায়াম ,এমন যা কিছু।
৫০) প্রত্যেক দিনের শেষে ঘুমোনোর আগে সেই দিনে বিভিন্ন ঘটনায় আপনার প্রতিক্রিয়া কি ছিল যা মনে করুন এবং ভাবুন যে কোথায়,কোন বিষয়ে আপনি অনেক ভালো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারতেন অথবা কাজটা আরো ভালো করে করতে পারতেন।এতে বিষণ্ণ হওয়ার কিছু নেই ,এটা একটা অভ্যাস যে পরের বারে সেই এক অকেশন আপনি অনেক ভালো করে সামলাতে পারবেন।
শেয়ার করুন :