করোনা আবহে আপনার হার্ট কি করে ভাল রাখবেন ? -

করোনা আবহে আপনার হার্ট কি করে ভাল রাখবেন ?

কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর শুভ্র ব্যানার্জি ও ডক্টর শুভাশিস গাঙ্গুলির জরুরি অ্যাডভাইস।

ডক্টর শুভ্র  ব্যানার্জি– (অ্যাপেলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস) MD, MRCP(UK), FRCP(London), FRCP(Edin), FICC, FCSI, FESC, FACC, FSCAIফোনঃ 9748816407

করোনা আবহে নানা কারণে প্রত্যেকেই আমরা নানা চাপের সন্মুখীন । এতে টেনশন বাড়ছে, একঘেয়েমি লাগছে, বাড়ীতে দীর্ঘ সময় বন্দী জীবন শরীরে মনে প্রভাব ফেলছে। ভয় ও আতঙ্ক রয়েছে। মনের ও শরীরের ওপর এই চাপ বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে হৃদযন্ত্রের ওপরও। তাই সাবধান হোন ।  

কি কি করতে পারেন চাপ কমাতে?

বাড়ীতে ব্যায়াম করুন– যে কোনো রকম। যদি অভ্যাস না থাকে তাও। বাড়ীর ছাদে বা নীচে জায়গা থাকলে হাঁটুন, সিঁড়ি থাকলে ব্যবহার করুন, বাড়ীর কাজ মানে বাড়ী পরিষ্কার, নিজের কাজ নিজে করা ও বাগান করুন! তবে সবই আপনার বয়স ও শরীর অনুযায়ী। শারীরিক পরিশ্রম শরীরে ভালো এনডরফিন তৈরী করে যা মন ও শরীর ভালো রাখে, বিরক্তি দূর করে।

খাবারে ফল ও শাকসবজি এর পরিমাণ বাড়ান।চা কফি মদ অন্যান্য উত্তেজক পানীয় ও ধূমপান কমিয়ে ফেলুন। যদি খেতেই হয় গ্রীণ টি পান করুন।

বেশী করে জল খান।

যে কোনো ধ্যান যা কিনা বাড়ীতে, অফিসে বা কর্মস্থলে এমনকি হাঁটতে হাঁটতেও করা যায় শুরু করুন বা শিখে নিন- নিজের জন্য সময় বের করুন।

হাসুন – বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ফোনে বা অ্যাপের মাধ্যমে আড্ডা দিন, আনন্দ করুন। হাসলে শুধু মন নয় শরীরে কিছু ইতিবাচক বদল হয় যা থেকে মানসিক চাপ কমে

বাড়ীতে বসেই ভালো বই পড়া ভালো সিনেমা দেখার অভ্যাস তৈরী করুন

কিছু সমাজসেবার কাজ করুন- এতে মন অন্যমনস্ক থাকবে, সময় ভালো কাটবে -চাপ কমবে।


পড়ুন: তিনচুলে ঘুরে আসুন – তিনচুলে,বক্সা টাইগার রিসার্ভ, দার্জিলিং,কালিম্পঙ ৪ রাত্রি/৫ দিনের বেড়ানোর হদিশ।


না বলতে শিখুন– যা পারছেন না অতিরিক্ত চাপ হয়ে যাচ্ছে তা করবেন না । জোর করে অতিরিক্ত কাজ নিয়ে মানসিক দ্বন্দ্বে ভুগে মানসিক চাপ বাড়াবেন না।

যোগা (yoga) করুন – নিজে না পারলে শিখে নিন ও প্র্যাকটিস করুন ,মনে শান্তি আসবে

রাত জাগবেন না- সঠিক মাত্রায় পর্যাপ্ত রোজ ঘুমোতে হবে। ঘুমের অসুবিধে হলে চেষ্টা করুন গান শোনা বই পড়া বা রিল্যাকসিং কিছু করতে যাতে ঘুম আসে। ছোটো করে ১০-৩০ মিনিট সুযোগ পেলে ঘুমিয়ে নিতে শিখুন।

লেখা শুরু করুন – যা মনে আসে কাগজে বা কম্পুটার এ। কারো এ লেখা পড়বার দরকার নেই তাই মন খুলে লিখুন এতে মানসিক চাপ বেরিয়ে যাবে। রাগ বা অভিমান পুষে রাখবেন না।

সৃষ্টিশীল কিছু করুন – কোনো নতুন কিছু যা ভালো লাগে, পুরোনো কোনো ভালো লাগার কাজ যা আগে করতেন – নতুন করে আবার শুরু করুন যেমন বই পড়া বাগান করা গান গাওয়া বা অন্য কিছু ।

বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন– যদি মনে করেন কোনো ভাবেই দুশচিনতা ও চাপ থেকে বেরোনো যাচ্ছে না তো কাউন্সেলিং করান- আপনাকে টেনশন মুক্ত করার উপায় তিনি বলে দেবেন – পথ দেখাবেন।


পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় মেডিক্যাল এক্সপার্টরা কী বলছেন ?


ডক্টর শুভাশিস গাঙ্গুলি ,MD,Cardiologist  ফোনঃ 9831081811

প্রথম কথা যারা হার্টের রুগী,হাই ব্লাড প্রেসার, ইস্কিমিক হার্ট, ডায়াবেটিস,থাইরয়েড এমন তাদের প্রথম কাজ হলো সেগুলোকে কন্ট্রোলে রাখার জন্য যা করা সেগুলো করতে হবে ,যেমন নিয়মিত ওষুধ খাওয়া,ওজন বাড়তে না দেওয়া,সঠিক ডায়েট মেন্টেন করা,ডায়েটের মধ্যে যার ব্লাড সুগার আছে তাকে ঠিক খাওয়া দাওয়া করে সেই সুগার কন্ট্রোলে রাখা,হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের ডায়েট কন্ট্রোল করা উচিত,নুন এবং চর্বি জাতীয় খাবার একদম না খাওয়া।

এর সঙ্গে প্রপার রেস্ট অর্থাৎ ঘুম যাতে ঠিক মতো হয় সেটা দেখা,মিনিমাম ৬/৭ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে যাতে ঘুমোনো যায়,যাদের রাতে ঘুমোতে অসুবিধে হয় তারা ডাক্তার দেখিয়ে ঘুমের ওষুধও খেতে পারেন।

রেগুলার যোগব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ খুব জরুরি।প্লেন ল্যান্ডে,বাড়িতেও হাত,পা,মাথা,ঘাড় পিঠের ব্যায়াম করতে পারেন।

এর সঙ্গে খুব জরুরি একটি বিষয় হলো আপনার ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা,এখন সশরীরে যদি যাওয়া অসুবিধে হয় তাহলে অবশ্যই টেলি কন্সালটেশনে বা ফোনে যে কোনও অসুবিধে হলে কি করণীয় জেনে নেওয়া।

হঠাৎ বুকে ব্যাথা অথবা শ্বাসকষ্ট হলে কাছেই কোথাও ই সি জি ও কাছের জেনারেল প্রাক্টিশনারের কাছে ব্লাড প্রেসার, হার্ট,পালস রেট দেখিয়ে নেওয়া। এখন এই সময়ে সবচেয়ে চিন্তার কারণ হলো লাংসে প্যাচ বা নিউমোনিয়া যেটা পালস অক্সিমিটার থাকলে আর্লি ধরা যায় আর অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপা যায় তাই যাদের হার্টের,লাংসের  অসুখ আছে তাদের একটা পালস অক্সিমিটার,গ্লুকোমিটার, ব্লাড প্রেসার যন্ত্র কিনে রাখা খুব জরুরি

মন ভালো রাখতে যার যা ভালো লাগে,গান শোনা,বই পড়া,সিনেমা দেখা এইসব করলেই এই অতিমারিতে আপনি ভালো থাকবেন।                     

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *