করোনা কালে পুজোর বাজারে কী করবেন?কী করবেন না ? -

ছবি: Shutterstock

করোনা কালে পুজোর বাজারে কী করবেন?কী করবেন না ?

করোনাকালে পুজোর বাজার করার ১৬ সেফটি টিপস।

গত সাত মাসের দুর্বিষহ করোনাকালে আসন্ন পুজোর আগমনীতে যেন সবাই এই বন্দিদশা কাটাতে  বাঁধ ভাঙা জলোচ্ছাসের মত বাজারে বেরিয়ে পড়েছেন সাধ্যমত কেনাকাটায়।প্রশ্ন হচ্ছে তাতে কতটা সেফ আপনি ও আপনার পরিবার ? বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের আগে করোনা থেকে বাঁচতে কী সেফটি প্রিকশন নেওয়া উচিত জেনে নিন :

১) হেড ক্যাপ,মাস্ক,ফেস শিল্ড আর গ্লাভস ছাড়া কোথাও বাজারে বেরোবেন না।

২) দরকার হলে ছুটি নিয়ে উইকডে সকালে দুপুরে ,মানে যখন ভীড় কম সেই সময় পুজোর বাজার করুন।অর্থাৎ শনি রবি ও ছুটির দিন এড়ানো শ্রেয় ।

৩)দোকানে প্রপার স্যানিটেজেশন আর আর অন্যান্য সেফটি নিয়ম মেনে চলছে কিনা লক্ষ্য রাখুন। অধিকাংশ বড় দোকান সব সতর্কতা মেনেই দোকান খুলেছেন ।

৪)শপিংমল হোক বা দোকানে কখনো নিজের মাস্ক খুলবেন না আর চোখে মুখে হাত দেবেন না।

৫) দোকানের কোনও কর্মচারী,সেলসম্যান মাস্ক খুলে অর্থাৎ থুতনিকুমার/কুমারী হলে তাকে মাস্ক পরে কথা বলতে বলুন।দয়া করে এই বিষয়ে কঠোর হন।

৬) মিনিমাম ছ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখুন ,স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সবেতে হাত দিন।

৭) এবছর পারলে ট্রায়াল রুমে পোশাক পরে ফিট হচ্ছে কিনা দেখা থেকে বিরত থাকুন,কারণ ওই ড্রেস আগে কতজন ট্রাই করেছেন আর তাদের কেউ অ্যাসিম্পটোম্যাটিক কিনা আপনি জানেন না।

৮) কেনাকাটির পর বাড়িতে এসে সব প্যাকেট একটা ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে একদিন ফেলে রাখুন।

৯) যতই আকর্ষণীয় হোক খুব ভীড় আছে এমন দোকানে পা দেওয়ার আগে ভেবে নিন,পরে ফাঁকায় বাজার সারুন।গত মহালয়ার দিনে অনেক দোকানে লোকে সুরক্ষাবিধি উড়িয়ে বাজার করেছেন।

১০) পুজোর এখন অনেক দেরি তাই ধীরে সুস্থ্যে ট্রান্সপোর্ট আর দোকানপাট অপেক্ষাকৃত ফাঁকা আছে এই সময় বাজার করুন।

১১ ) এ বছর অন্তত বাচ্চা আর বৃদ্ধদের বাজারে নিয়ে যাবেন না।

১২) পুজোর বাজার আর বাইরে খাওয়া হাত ধরাধরি করে আসে।এ বছর খাবার প্যাক করে বাড়িতে নিয়ে এসে খাওয়া ভাল।

১৩) অনলাইন শপিং তুলনামূলক ভাবে অনেক সেফ সেটা মনে রাখবেন।

১৪) বার বার পুজোর বাজারে না বেরিয়ে পারলে এক বার বেরিয়ে আর বাকিটা অনলাইনে সেরে নেওয়া শ্রেয়।

১৫) নামি ব্র্যান্ড তো অনেক হল,ফেসবুকে খোঁজ নিয়ে দেখুন অনেক বুটিক তাদের আশ্চর্য দারুণ সম্ভার নিয়ে পসরা খুলে আছে। তাদের কাছ থেকে পছন্দসই কেনাও হল আবার ভিড়ের হাত থেকে বাঁচাও হল। বুটিকের সুবিধে হল এর এক্সক্লসিভ কালেকশন। এখন অনেকে ফেসবুক লাইভ করছে,সেখান থেকে পছন্দ করে কিনুন আর বাড়ি বসে পান আপনার পছন্দের পোশাক।                         

১৬) বহুবার বলা স্বত্তেও আবার মনে করিয়ে দেয়াও হচ্ছে বাজারে থেকে ফিরেই সাবান জলে হাত মুখ ধুয়ে নিন।সবচেয়ে ভাল হয় সাবান দিয়ে স্নান আর দিনে তিনবার নুন জলে গার্গল।                           

আগামী পুজোর দিনগুলোয় হাসিমুখে কাটানোর জন্য এমন চরম দুঃসময়ে অসুবিধে হলেও এই কঠোর সুরক্ষারীতি মেনে পুজোর বাজার করুন।         

বিশেষ ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা আর সহায়তা পাওয়া যাবে।এছাড়া থাকছে টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২ • টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১ • কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *