৩০টি হার্ট সুস্থ রাখার উপায় -

৩০টি হার্ট সুস্থ রাখার উপায়

বিশ্বখ্যাত মেয়ো ক্লিনিক, ক্লিভল্যান্ড ক্নিনিক, অ্যাপোলো হসপিটালস প্রেসক্রিপশন।

১) ডিপ্রেশন অর্থাৎ অবসাদকে দূরে রাখুন।কোনোভাবে কাজের ক্লান্তি,মন খারাপ,অশান্তিকে আপনার ওপর চেপে বসতে দেবেন না।অবসাদ দূর করতে মাঝে মাঝে সবকিছু সরিয়ে রেখে আপনার পছন্দ,মন ভালো থেকে এমন কিছুকে গুরুত্ব দিন।গবেষনায় প্রকাশ অবসাদ দূর করার তৎপরতা হৃদযন্ত্রের সংকট কাটায় ৫৭%।

২)প্রতিদিন অনেকটা আখরোট খান।প্রতিদিন আখরোটজাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সাবলীল হয় কারণ আখরোট জাতীয় ফলে থাকে ওমেগা থ্রি যা বিভিন্ন ধরণের প্রদাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।হার্টের গতিকে স্বাভাবিক রাখে।

৩)ঘুম থেকে ওঠার পরেই অন্যকিছু খোঁজার আগে আপনার প্রয়োজন নিজের নাড়ি মাপা।কারণ ওই সময় শরীর আবারও পুরোমাত্রায় কার্যক্রম হয়ে ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে।পূর্ণবয়স্কদের স্বাভাবিক নাড়ির গতি থাকে ৭০।এক সপ্তাহ রোজ চেক করে যদি দেখেন ক্রমাগত এর ব্যতিক্রম হচ্ছে তাহলে কার্ডিওলজিস্টকে দেখাতে হবে।

৪)আজকের পৃথিবীতে যতটা সম্ভব দূষিত বায়ু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

৫)বেশি করে শিম,বরবটি খান কারণ এরা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৬)মুঠোর ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। হাইপার টেনশন জয়নাল অনুযায়ী টানা ৪ সপ্তাহের মুঠো সঞ্চালন -প্রসারণ ব্যায়ামে ব্লাড প্রেশার কমিয়ে দেয় ১০ %।

৭)ডিম খান।প্রচলিত ধারণা বেশি ডিম খেলে কোলেস্টরল বাড়ার আশঙ্কা অমূলক প্রমাণ হচ্ছে ।ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন ই,বি -১২ এবং ফলেট করোনারি আর্টারিকে পরিষ্কার রাখে।

৮)নিয়মিত ৩ কিলোমিটার হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে এটা প্রমাণিত,প্রায় অনেকেরই জানা কিন্তু এই সু

অভ্যাস নিয়মিত করে হয়ে ওঠে না ।

৯) চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত প্রাণায়াম করলে হার্ট ভালো থাকবে।

১০) প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে হবে।যারা অনিদ্রায় ভোগেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় ৪৫% বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন।

১১) বেশি ঘুমও কিন্তু হার্টের ক্ষতি করে।ঘুমকাতুরেদের সাবধান করেছেন কার্ডিওলজিস্টরা।দিনে ১০ ঘন্টার বেশি ঘুম ওবেসিটি বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

১২) রোজের ডায়েটে যতটা সম্ভব ফ্যাট কমাতে হবে।খাবারে থাকা চর্বি হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর।

১৩)ডায়েটে যেন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থাকে । ডায়েটে থাকুক মুগ,মসুর,রাজমা, চানা,শাক, ব্রকোলি।

১৪)প্রতিদিন ২০ মিনিট সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

১৫) হার্ট ভালো রাখতে নীরবতা ভালো ওষুধ।হার্টের সমস্যার সঙ্গে চেঁচিয়ে, জোরে কথা বলা খুব বেশি আওয়াজে গান শোনার সম্পর্ক আছে ।নির্দিষ্ট থেকে ১০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রায় হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ ১২% বেড়ে যায় ।

১৬) রিসার্চে প্রমাণিত বাড়িতে পোষ্য রাখলে হার্ট ভালো থাকে। কুকুর,বেড়াল,পাখি ,মাছ ইত্যাদি ।

১৭)রোজ সকালে একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করার চেষ্টা করুন ।হাৰ্ভাৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী যারা পারিবারিক ব্রেকফাস্ট টেবিল মিস করেন তাদের হার্টের সমস্যার পরিমাণ অন্যদের তুলনায় ২৭% বেশি।

১৮) এনার্জি ড্রিঙ্কস একদম ছোঁবেন না।শক্তিবর্ধক এইসব পানীয় হার্টের শত্রু ।

১৯) দুধ খান।গরুর দুধে থাকা লো ফ্যাট হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবিরোধী কম ঘনত্বসম্পন্ন লিপোপ্রোটিনের হার কমাতে সাহায্য করে।পাশাপাশি দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরও জমে থাকা পুরু চর্বির স্তর কাটতেও সাহায্য করে।

২০)ব্যায়াম করার সময় উপুড় হয়ে ব্যায়াম করা কমিয়ে দিন।এ ধরণের ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডে চাপ দেয় ।

২১)ইচ্ছেমতো গান গান।হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে গলা ছেড়ে গান গাইতে বলছেন কার্ডিওলজিস্টরা।তাদের মোতে দলবদ্ধ সঙ্গীত আর হাসি ঠাট্টা হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে।

২২)রোজের ডায়েটে দারচিনির পরিমান বাড়ান।দারচিনি হৃৎপিণ্ডকে সতেজ করে তুলতে অনন্য ভূমিকা রাখে।প্রতিবেলার খাবারে দারচিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনে।

২৩)সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান।যারা একা থাকেন তারা অন্যদের তুলনায় বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন।তাই বেশি করে সামাজিক হন।

২৪)বেশি স্যালাড খান।খাবারে বেশি সবুজ স্যালাড থাকলে হার্ট খুশি থাকে ।

২৫)শাকাহারী।যাদের রোজের খাদ্যতালিকায় অন্তত দু একটি শাকপাতা থাকে তাদের হার্ট অন্যদের তুলনায় ১২% বেশি সবল থাকে।

২৬) যতটা সম্ভব মাখনের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।

২৭)খাবারের প্লেটে নুন আর আচার একসঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ আচারেও নুন দেওয়া থাকে  ।

২৮)২/৩ তলা ওঠার জন্য লিফ্ট ব্যবহার না করে হেঁটে উঠলে কাজের সময়তেই কিছুটা এক্সারসাইজ হয়ে যাবে।

২৯)পার্কিং লটে সবচেয়ে দূরে পার্কিং করুন তাতে হাঁটা বাড়বে।

৩০) ধূমপান ছেড়ে দিন।

সৌজন্য-মেয়ো ক্লিনিক, ক্লিভল্যান্ড ক্নিনিক,অ্যাপোলো হসপিটালস।

*এই নিবন্ধটি সাধারণ তথ্যের জন্য যা কোনোভাবে ওষুধ আর চিকিৎসার বিকল্প নয়। অসুখ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *