২০টি চেনা অচেনা পুজোয় বেড়ানো স্পট -

২০টি চেনা অচেনা পুজোয় বেড়ানো স্পট

শিবাজি দুর্গ,জঙ্গল সাফারি,বুদ্ধগুম্ফা, ব্যাকওয়াটারে হাউসবোট….

প্রতি বছর জুলাই মাসের শুরুতেই ভ্রমণ প্রিয় পায়ের তলায় সর্ষে বাঙালি পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর প্ল্যান কষে ট্রেন প্লেন হোটেল বুকিং করে ফেলে।গত দু বছরের অতিমারীতে সব বন্ধ থাকার কারণে এখন ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির যাকে বলে বুম টাইম।এবারের গরমের ছুটিতে হোটেল নয় প্রায় অনেক জনপ্রিয় স্পট যাকে বলে নো রুম বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে তার সঙ্গে গাড়ির আকাশ ছোঁয়া ভাড়া আর ট্রেনে বুকিং নেই এবং এরই মধ্যে পুজোর ছুটিতে ভ্রমণে অলরেডি রাশ শুরু হয়ে গেছে।

ভিড়,বুকিং সমস্যা এড়িয়ে নির্জনে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সান্নিধ্যে বেড়ানোর এমন ২০ টি স্পটের হদিশ রইল –

গনপতিপুলে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে শিবাজীর ১৭ শতকের বিখ্যাত জয়গড় দুর্গ।এর ওপর থেকে সঙ্গমেশ্বর নদী ও কোঙ্কণ উপকূলের উপত্যকার সঙ্গে ঘন নীল সাগরের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ উপকূলে রত্নগিরি জেলার এক নির্জন সাগরবেলা গনপতিপুলে।মারাঠি শব্দ পুলে মানে বেলাভূমি।মুম্বাই থেকে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬৬ ধরে ৩৩৩ কিমি।যাত্রাপথে পাহাড়টিলা,নীল আকাশ,পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণা।প্রায় ১০০ বাড়িঘর নিয়ে শান্ত নিরালা প্রকৃতি ঘেরা গ্রাম গনপতিপুলে,সোনালী সৈকত আর মন্দির।সমুদ্রসৈকতে ঝলমলে রঙিন চাঁদোয়া টানা এক্কাগাড়ি,হরেকরকম জলকেলী রাইড,ঘুরে দেখার কোঙ্কণ মিউজিয়াম,কাছের মালগুন্দ গ্রাম,২০ কিলোমিটারের মধ্যে জয়গড় দুর্গ।এছাড়া আছে লাইট হাউস।আর একটি মুখ্য আকর্ষণ সঙ্গমেশ্বর জয়গড় খাঁড়ি ধরে নৌকাভ্রমণ।এমটিডিসি পিলগ্রিম ট্যুরে আছে ভগবতী দুর্গ ও মন্দির,পাওয়াস মন্দির,পতিতপাবন মন্দির,হেদাভি দশভূজ মন্দির,কালভৈরব মন্দির,পাণ্ডব মন্দির।

মহারাষ্ট্র সরকারের এমটিডিসি হলিডে রেস্ট হাউসের কোঙ্কণি হাউসের কোঙ্কণি থালি,গাছগাছালি ঘেরা শান্ত রিসোর্ট,বিকেলের কনে দেখা আলোয় সূর্যাস্তর মহিন,রাতের জ্যোৎস্নায় নারকোল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সমুদ্রের প্রশান্ত রূপ।         

কীভাবে যাবেন-গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস,হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস,হাওড়া মুম্বাই মেল,জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস।মুম্বাই থেকে মুম্বাই-মারগাওঁ মাণ্ডবী এক্সপ্রেস,কোঙ্কণ কন্যা এক্সপ্রেস।।

কোথায় থাকবেন-মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের হলিডে রিসোর্ট-এমটিডিটিসি অনলাইন। www.maharastratourism.gov.in

কুমারাক্কম-গড’স ওন কান্ট্রি কেরলের কোট্টায়মের ১৩ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত ভেম্বানান্দ লেকের কাছে নিরালা নির্জন কুমারাকম।হাউসবোট,বিশাল শান্ত লেক আর বার্ড স্যাংচুয়ারির জন্য প্রসিদ্ধ।১৪ একর ঘেরা এই বার্ড স্যাংচুয়ারিতে প্রচুর পরিযায়ী পাখির আস্তানা।হেরোন,এগ্রেট,ওয়াটারফাউলস,সাইবেরিয়ান স্টর্ক আরও অনেক প্রজাতি।

কুমারাক্কমের  অপার্থিব নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনজীবদ্দশায় একবার বেড়িয়ে আসতেই হবে’ আখ্যা দিয়েছে যখন তখন এই অপরূপ প্রকৃতিকে প্রত্যক্ষ্য না করা বোধহয় অপরাধের পর্যায় পড়ে।

কুমারাক্কম  ট্যুরিজমের বিশেষত্ব হল এর হাউসবোট।এই অপরূপ হাউসবোটগুলি ঐতিহ্যশালী ‘কেটু  ভালাম’ স্থাপত্যশৈলীতে তৈরী।নারকেল গাছ ঘেরা অপার্থিব সবুজ প্রকৃতির মধ্যে নীল ব্যাকওয়াটার জলে হাউসবোটে ঘুরে পরিযায়ী ও দেশি পাখিদের অপরূপ সৌন্দর্যে জীবনের ক্লান্তি,হতাশা,স্ট্রেস ভুলে স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দ উপভোগ করতে চলে আসুন এই কুমারাক্কমে।  

বিশেষ আকর্ষণ -হাউসবোট,বার্ড স্যাংচুয়ারি,ভেমবানন্দ লেক,ব্যাকওয়াটার,বে আইল্যান্ড ড্রিফ্টউড মিউজিয়াম,পাথিরামানাল আইল্যান্ড,জটায়ু রক,সেন্ট মেরিস চার্চ।

কোথায় থাকবেন-কুমারাকম লেক রিসোর্ট,ব্যাকওয়াটার ব্রুক,ইল্লিক্কলাম লেকসাইড কটেজ,কেটিডিসি কুমারাকম গেটওয়ে,ব্যাকওয়াটার হেরিটেজ হোমস্টে,বিস্ময়,কোডিয়ান্তরা হেরিটেজ হোম এছাড়া আরও অনেক হোটেল আর হোম স্টে।

কীভাবে যাবেন– প্লেনে-কোচিন এয়ারপোর্ট থেকে ৮৫ কিলোমিটার,ত্রিভান্দ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে ২৫০ কিলোমিটার,ট্রেনে-কোট্টায়াম থেকে ১৬ কিলোমিটার এছাড়া কোট্টায়াম থেকে বাস আর ট্যাক্সির সুবন্দোবস্ত আছে ।          

মুন্নার-কেরালার ওয়েস্টার্ন ঘাট পর্বতমালায় আর এক স্বর্গীয় ট্যুরিস্ট স্পট।ব্রিটিশদের তৈরী হিল স্টেশন,মুন্নারকে দক্ষিণ ভারতের কাশ্মীর বলা হয়। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈল শহর। ইরাভিকুলাম ন্যাশানাল পার্কে নীলগিরি টার,সোনালি শেয়াল,বাঘ,লেপার্ড,গাউর,বনবিড়াল।      

বিশেষ আকর্ষণ -ইকো পয়েন্ট,অট্টুকাড় জলপ্রপাত,পোথামেদু ভিউ পয়েন্ট,টাটা টি মিউজিয়াম,ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক,ওয়ান্ডার ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চার পার্ক,কুণ্ডলা লেক,মারায়ুর

ডলমেন্স-প্রাগৈতিহাসিক নিওলিথিক এজের ১৫ রকমের ডলমেন্স আছে এখানে।চিন্নার ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি,চিন্নাকানাল ওয়াটারফলস,চোকরামুন্ডি পিক।  

কীভাবে যাবেন– প্লেনে- কোচি এয়ারপোর্ট থেকে ১২৫ কিলোমিটার,ট্রেনে- কোচি স্টেশন থেকে বাস ট্যাক্সিতে মুন্নার এছাড়া কেরালা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকে বাসের টিকিট পেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন-কেটিডিসি টি কাউন্টি,এলিফ্যান্ট প্যাসেজ,ড্রিমক্যাচার রিসোর্ট,কাছের পাল্লিভাসাল চিথিরাপুরাম।

কুমিলি -ব্রিটিশ কলোনিয়াল ঐতিহ্যশালী গ্রাম।তারও আগে থেক্কামকুর ও পুন্জার রাজাদের অধীনে ছিল ছবির মতন সুন্দর এই গ্রামে,এখানকার যোধা কালচারাল ভিলেজ,মশলা সরণি বা স্পাইস রুট,স্পাইস হার্বাল গার্ডেন ঘুরে ফিরে নৈসর্গিক প্রকৃতি দেখতে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।

কীভাবে যাবেন –মুন্নার থেকে বাসে বা গাড়িতে ৩ ঘন্টা ,মাদুরাই এয়ারপোর্ট থেকে বাসে ও গাড়িতে ৩ ঘন্টার পথ।  

কোথায় থাকবেন- পেরিয়ার হেরিটেজ হোম স্টে,কফি ইন।

পেরিয়ার ওয়াল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি-ভারতের অন্যতম সুন্দর হাতি আর বাঘের অভয়ারণ্য।অবিরাম শৈল শিখর এবং মশলার সুগন্ধে ভরা বাগিচায় ঘেরা থেক্কাডী স্বপ্নময় পরিবেশ গড়ে তোলে।থেক্কাডীর পেরিয়ার ফরেস্টটি ভারতে সুন্দরতম যে কয়টি বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। এই জেলা ঘিরে ছড়িয়ে থাকা অপূর্বচিত্রের মত বাগিচা এবং পাহাড়ী শহরগুলি  ট্রেকিং এবং পাহাড়ি পথে চলার জন্য পাখির নীড়ের মত আকর্ষণ করে।এশিয়ান হাতি, বাংলার বাঘ, ভারতীয় বাইসন, সম্বর হরিন, ভারতীয় বুনো কুকুর, লেপারড, বার্কিং ডিয়ার এবং মসৃন-লোম যুক্ত ভোঁদড়। পেরিয়ার লেক-এ ভ্রমণ করার সময় এগুলির দেখা মেলে। নীলগিরি থার উঁচু পাহাড়ী এলাকায় থাকে আর অবলুপ্ত প্রায় লায়ন-টেইল্ড ম্যাকাওকে চিরহরিৎ বনভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে নৌকো নোঙর করে সেখানে এক গাছ থেকে আরেক গাছে নীলগিরি লেঙ্গুড় এবং বনেট ম্যাকাও পাখিদের লাফালাফি দেখতে পাওয়া যায়

যোগাযোগ – ফিল্ড ডিরেক্টর (প্রজেক্ট টাইগার) অফিস অব দয় ফিল্ড ডিরেক্টর এস এইচ মাউন্ট, কোট্টয়ম কেরল, ইন্ডিয়া -686 006 ফোন: +91 481 2311740 ইমেল: fd@periyartigerreserve.org ওয়েবসাইট: www.periyartigerreserve.org ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রজেক্ট টাইগার) পেরিয়ার টিগার রিসার্ভেই, থেক্কাডী কেরল, ইন্ডিয়া -685 536 ফোন: +91 4869 222027 ইমেল: dd@periyartigerreserve.org

টুকরে -মিরিক থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার।চা বাগানের গ্রাম।৩০০০ ফুট উচ্চতায় একটুকরো সবুজ স্বর্গোদ্যান।গ্রামের মধ্যেই পাহাড়ের ঢাল জোড়া সাংমা টি এস্টেট।নদীর ওধারে গোপালধারা টি এস্টেট।সকাল হতেই লাইভ রঙিন ছাতা মাথায় দিয়ে দুটি পাতা একটা কুঁড়ি তোলার উৎসব।পাকদন্ডী বেয়ে সবুজ সমারোহে মিশে যাওয়া.নদীর ধারে মনোরম পার্ক,রাস্তার ধারে ফুল আর অর্কিডের মেলা।দারুণ দোলনা সেতু পেরিয়ে প্যাগোডা।কাছেই মিরিক লেক আর ইচ্ছে করলে গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং ঘুরে আসা।

কীভাবে যাবেন– শিলিগুড়ি থেকে মিরিক আর মাত্র ৫ কিলোমিটারেই টুকরে।মিরিক লেক থেকে ৮ কিমি।

কোথায় থাকবেন- খুশিজ ফার্ম-৯৭৩৩৪ ৫৪৭৭৯,টুকরে রাং ভাং ,হোম স্টে।   

আহরবাল-ভূস্বর্গ কাশ্মীর উপত্যকার দক্ষিণ পশ্চিম কোণে আহরবাল।এখানকার জলপ্রপাত কে কাশ্মীরের নায়াগ্রা বলা হয়। ঝিলামের শাখা ভেসু নদীর ধারে নূরাদাবাদের কাছে এই আহরবাল।পাইন আর ফার গাছে ঢাকা অ্যালপাইন উপত্যকার অপার্থিব সৌন্দর্য্য সমৃদ্ধ ছবির মতো গ্রাম আর জলপ্রপাত। একদিকে অতল খাদ,অনেক নীচে ওপর থেকে জল আছড়ে পড়ছে ,সূর্যের আলোয় ঝর্ণার জলের রং বদলে যায় যা এক অনির্বচনীয় দৃশ্য।                  

কীভাবে যাবেন– কলকাতা থেকে ট্রেনে জম্মু তাওয়াই পৌঁছে জম্মু থেকে বসে শ্রীনগর।প্লেনে সোজা শ্রীনগর।শ্রীনগর থেকে তিন চার ঘন্টা।কাছে ৪০/৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পহলগাঁও  আর অনন্তনাগ।   

কোথায় থাকবেন- জম্মু কাশ্মীরের পর্যটন ট্যুরিস্ট বাংলো -ডিরেক্টর জম্মু কাশ্মীর ট্যুরিজম,শ্রীনগর (ফোন-০১৯৪ ২৪৭২৪৪৯ /এছাড়া অনেকে শ্রীনগরে থেকে আহরবাল বেড়াতে আসেন।  

থিম্পু- ছবির মতন দেশ ভুটান।শান্ত ,নিরিবিলি।ভুটান মানেই পারো,থিম্পু।ওয়াংচু নদীর ধারে সুন্দর শহর। শহরের মাথায় ১৬৪ ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তি,তাসিসো জোং রাজবাড়ী,বিবিএস টাওয়ার থেকে পুরো থিম্পু শহর।ওপরে শপিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরণের দারুণ হ্যান্ডিক্রাফটস সম্ভার।কাছের পারো ছাড়া ভুটান ভ্রমণ অসম্পূর্ণ।এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ তাকসাং টাইগার নেস্ট মনাস্ট্রি যা নিয়ে অনেক কিংবদন্তি আছে।একটু দূরে ড্রগিয়েল জং বুদ্ধগুম্ফা।  

বিশেষ দ্রষ্টব্য –ন্যাশনাল ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম,তাসিছ জং বুদ্ধিস্ট মনাস্ট্রি,ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ছোড়তেন, চাঙগ্যাংঙ্কা  লাখাং,দেছেন পদরং মনাস্ট্রি,রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন।  

কীভাবে যাবেন- সড়কপথে অথবা প্লেনে দুভাবেই যাওয়া যায় এনজেপি স্টেশনের বাইরে জয়গাওঁ বা ফুন্টশোলিং যাওয়ার গাড়ি.কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে পারো অথবা বাগডোগরা থেকে গাড়ি।

কোথায় থাকবেন- হেল্প ট্যুরিজম ৬৭/এ কালী টেম্পল রোড,কালীঘাট -২৪৫৪৯৬৮২।খামসুম ইন, লাডরং হোটেল, হোম স্টে। 

টাডোবা আন্ধারি টাইগার রিজার্ভ- মহারাষ্ট্রের প্রাচীন ও বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান।নাগপুর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে ১৭২৭ স্কোয়ার কিলোমিটার ঘেরা টাইগার রিজার্ভ।এই টাইগার রিজার্ভের বেশিরভাগ অঞ্চল পাহাড়ে ঢাকা,গভীর ঘন জঙ্গল,গিরিখাত,সবুজ বনাঞ্চল,খোলা জিপসিতে টাইগার সাফারির রোমাঞ্চ,বাঘ ছাড়াও শ্লথ ভাল্লুক,লেপার্ড,গাউর,নীলগাই,স্ট্রাইপড হায়না,বনবিড়াল,সাম্বার,স্পটেড আর বার্কিং ডিয়ার,কুমির,পাইথন ঘেরা এই অরণ্যর রোমাঞ্চ অনন্য।যোগাযোগ-https://www.tadobanationalpark.in/contact-us.html

কীভাবে যাবেন- নাগপুর থেকে ১৪০ কিমি ,স্টেট্ ট্রান্সপোর্টের বাস ও গাড়ির বন্দোবস্ত আছে।

কোথায় থাকবেন- টাডোবা টাইগার রিসোর্ট www.booking.com ,জাঙ্গল ক্যাম্প – https://www.tadobajunglecamp.com/

খাজুরাহো-এই বিশ্ববিখ্যাত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চান্দেল রাজবংশের অধীনে ৯৫০ ও ১০৫০ ক্রীষ্টাব্দের সময় নির্মিত।ইন্দো আর্য স্থাপত্যের বেলেপাথরের মন্দির।কাণ্ডারিয়া মহাদেবের মন্দিরের মূর্তিগুলি অনন্য অসাধারণ।প্রতি সন্ধ্যায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড আর ২০ কিলোমিটার দূরে পাণ্ডব ওয়াটারফলস। 

কীভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে শিপ্রা এক্সপ্রেস,মুম্বাই মেল।সাতনা স্টেশন থেকে গাড়িভাড়া বা বাস।প্লেনে টু স্টপ ফ্লাইট ,কানপুর এয়ারপোর্ট থেকে ১৮২ কিমি।   

কোথায় থাকবেন– এমপি ট্যুরিজমের হোটেল ঝংকার- jhankar@mptourism.com , এছাড়া হোটেল ক্লার্কস খাজুরাহো- reservation@clarkskhajuraho.com,রামাডা খাজুরাহো,হোটেল চান্দেলা খাজুরাহো।

ওরছা- ১৫৩১ সালে বেতয়া নদীর ধারে এই নগর তৈরী করেছিলেন বুন্দেলা রাজপূত প্রধান রুদ্রপ্রতাপ সিং।আকবরের সময় চতুর্ভূজ মন্দির স্থাপনা করেছিলেন ওরছা রানী গণেশবাই।ওরছা মন্দির ও স্থাপত্যের কাজ অতুলনীয়।প্রতি সন্ধ্যায়  ওরছার রাজমহলে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য– বেতয়া নদীতে রিভার রাফটিং,ওরছা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে জাঙ্গল সাফারি,ওরছা ফোর্ট,লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির,ফুল বাগ,ঝরোকা রেস্টুরেন্টে দারুণ খাবার।

কীভাবে যাবেন- খাজুরাহো থেকে ১৭০ কিমি। গাড়িতে ৪/৫ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন- বেতোয়া রিট্রিট (এমপি ট্যুরিজম),যোগাযোগ-টিকমগড় ওরছা,ফোন-০৭৬৮০২৫২৬১৮,ই মেল- orchha@orchharesort.com

বান্ধবগড়- জঙ্গল দেখতে গেলে খাজুরাহো থেকে ওরছার দিকে না গিয়ে বান্ধবগড় যেতে পারেন।বিন্ধ্য ও সাতপুরা পর্বতমালা জুড়ে এই ন্যাশনাল পার্ক।কিংবদন্তি শ্রীরামচন্দ্র ভাই লক্ষণকে এটি উপহার দিয়েছিলেন ,তাই নাম বান্ধবগড়।অরণ্যের ভেতরে কেল্লার ধ্বংসাবশেষ।দুর্গের নাম শিকারগড়।বাঘই প্রধান আকর্ষণ কারণ সারা পৃথিবীর মধ্যে বাঘের ঘনত্ব এখানে সবচেয়ে বেশি।সঙ্গে নীলগাই,চিতল,সাম্বার,চৌশিঙ্গা,লেপার্ড,বার্কিং ডিয়ার,গাউর,শ্লথ ভাল্লুক,স্ট্রাইপড হায়না।       

কীভাবে যাবেন- শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস বা হাওড়া মুম্বাই মেলে জব্বল্পুর।সেখান থেকে গাড়িতে।

কোথায় থাকবেন- https://mpstdc.com/Properties/edit/QS9JSlNGS0hmMFlpS3laNXlXN1NSdz09/

https://forest.mponline.gov.in/eBrochure/eBrochureDetails.aspx?parkid=1

কিং’স লজ, টাইগার ডেন’স রিসোর্ট।

অপরূপ ডুয়ার্স

মূর্তি –ছবির মতন সুন্দর মূর্তি নদীর ধারে এই স্থান/শহুরে কোলাহল থেকে দূরে নিবিড় প্রকৃতি আর পক্ষীপ্রেমীদের জন্য আদর্শ।পুরো ডুয়ার্স রেঞ্জ ঘোরার সেন্টার পয়েন্ট।কাছেই পানিঝরা ঝর্ণা।

গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক– জঙ্গল সাফারিতে একশৃঙ্গ গন্ডার,গাউর,শ্লথ ভাল্লুক, লেপার্ড,বার্কিং ডিয়ারের দেখা পাওয়া যাবে।         

চিলাপাতা – ঘন গভীর জঙ্গল বলতে যা বোঝায় চিলাপাতা জঙ্গল সেরকমই। ডুয়ার্সের যত গঙ্গল রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে গভীর বন বললে ভুল হবে না চিলাপাতাকে। এই জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড়ও খুব বেশি হয় না। সেকারণেই হয়ত জঙ্গলের আদিমতা আরও বেশি করে অনুভূত হয়। ডুয়ার্স সফরে গিয়ে সকলে সবার আগে ছুটে যান গোরুমারা, জলদাপাড়া, হলং,জয়ন্তীতে। হঠাৎ করে চিলাপাতা ফরেস্টে খুব বেশি মানুষের আনাগোনা হয় না এখানে। ডুয়ার্সের এই জঙ্গলের যাত্রা অতি মনোরম, আদিম আর বন্যতায় ভরা।

বক্সা – বাংলা,ভুটান আর আসামের বর্ডারে এই রিজার্ভের পথচলা শুরু ১৯৮৩ সালে।৭৫৯ স্কোয়ার কিলোমিটার ঘেরা। অনেক নদী নালা ঘেরা এই অপূর্ব নৈসর্গিক ল্যান্ডস্কেপের মধ্যে সিঞ্চুলা রেঞ্জের মধ্যে এখনো এমন কিছু জায়গা আছে দুর্গমতার জন্য সেখানে নাকি আজও মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি।

এই রিসার্ভ এলিফ্যান্ট মাইগ্রেশন  ইন্টারন্যাশনাল করিডোর হওয়ার জন্য এখানে পর্যাপ্ত পরিমানে হাতির দর্শন হয়। এখানে ৬৭ রকম রডেন্টস,৩৬ প্রজাতির সরীসৃপ আর ২৩০ প্রজাতির পাখিদের আস্তানা।

NH 31 হাইওয়ের  রাস্তায় পড়বে দমণপুর ( বক্সা এর জঙ্গল যেখান থেকে শুরু), এখানে একটু দাঁড়িয়ে    ধাবার ধোঁওয়া উঠা চা হাতে নিয়ে একটু মাঝেরদাবি চা বাগান,পাশে বয়ে চলা নোনাই নদী টা ভোরের মিষ্টি আলোয় দেখে নিলে মন্দ হবে না,দেখে পর সোজা রাজাভাতখাওয়া ( বক্সা টাইগার রিজার্ভ এর কোর এরিয়া শুরুর আগের গ্রাম)।

বক্সা ফোর্ট : বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে বক্সা দুর্গ নামে একটি পুরনো দুর্গ আছে। এই দুর্গের আয়তন ২৬০০ বর্গফুট। দুর্গটিতে ব্রিটিশ যুগে একবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এছাড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি শিব মন্দিরও আছে। স্থানীয় মানুষজন শিব মন্দিরটিকে খুব পবিত্র মনে করেন।

জঙ্গলে ট্রেকিং: ৫ কিলোমিটার ট্রেক করে পৌঁছে যান বক্সাদুয়ার বাংলো তে।এখানে থাকার ব্যবস্থাও আছে।নাম না জানা পাখি দেখতে ৪৫০০ ফিট ওপরে পৌঁছে যান ৪ কিলোমিটার কাছের রোভার’স পয়েন্টে।সেখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে রূপম ভ্যালি।এই যাত্রাপথে আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে রোমাঞ্চ আর সাসপেন্স এবং দেখা পেতে পারেন হলদে কালো ডোরার বা হলদে কালো ছোপ ছোপ আর নানা বিশুদ্ধ জংলী প্রাণীর।

ছবি- গেটি ইমেজেস,শাটারস্টক,কেটিডিসি,এমপিটিডিসি।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *