পুজোয় বেড়াতে ১৫টি অফ বিট ট্যুরিস্ট স্পট -

পুজোয় বেড়াতে ১৫টি অফ বিট ট্যুরিস্ট স্পট

শান্ত নির্জন পাহাড়,নিবিড় অরণ্য,প্রাচ্যের ভেনিস,অভয়ারণ্য….

ভিড় কোলাহল ছেড়ে অচেনা অজানা অপার্থিব নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। 

জিরো – নিরালা,নির্জন,শান্ত সুন্দর জিরো। যদিও সারা পৃথিবীর কাছে এই দুর্দান্ত সুন্দর স্পটের আকর্ষণ জিরো ফেস্টিভ্যাল তবুও এই অসামান্য ট্যুরিস্ট স্পট অনেকেরই অজানা। সবুজ ধানক্ষেত ঘিরে কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য্যের জন্য জিরোতে যেতেই হবে আপনাকে ।

কী দেখবেন – ট্যালি ভ্যালি, ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি,কিলে পাখো, তারিন ফিশ ফার্ম,শিবলিঙ্গ,পেন গ্রোভ,মেঘনা কেভ টেম্পল,ডোডো মান্ডো।

কোথায় থাকবেন – জিরো ভ্যালি রিসোর্ট ,সিরো রিসোর্ট ,আবাসা হোমস্টে।

কোথায় খাবেন -এ & সি কিচেন,বলিস বিস্ট্রো,জিরো ডিগ্রি।  

কীভাবে যাবেন – জোরহাট এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িতে,নাহারলা গুন ট্রেন স্টেশন,জোরহাট গৌহাটি থেকে গাড়িতে বেস্ট ।

খজ্জর-হিমাচল প্রদেশের একটি অপূর্ব সুন্দর সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৬৫০০ ফুট ওপরে প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা নির্জন পাহাড়ি শহর।নিবিড় অরণ্য,লেক আর সবুজ ভ্যালি।ছবির মতন সুন্দর খজ্জর লেক থেকে এলাকার নামকরণ। ১২শ শতাব্দী প্রাচীন খাজ্জি নাগ মন্দির জনপ্রিয় তীর্থস্থান।

কী দেখবেন – কালাটপ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি, দেবাদিদেব মহেশ্বর মূর্তি , গোল্ডেন দেবী টেম্পল,স্টেট হ্যান্ডিক্রাফটস সেন্টার।

কোথায় থাকবেন – গর্গ উড ভিলা,দেওদার বাংলো,দেবদ্ব।

কোথায় খাবেন – কোয়ালিটি,বন অ্যাপেটাইট,ক্যাফে বাই মঙ্গাস।    

কী ভাবে যাবেন – কাছের রেলওয়ে স্টেশন পাঠানকোট,এয়ারপোর্ট -গগ্গল,শিমলা,মানালি,ধর্মশালা থেকে সহজেই গাড়ি পাওয়া যায়।

ম্যাকলিওডগঞ্জ হিমাচল প্রদেশে ধরমশালার কাছে এই অপরূপ নৈসর্গিক ম্যাকলিওডগঞ্জ।এখন থেকে ধৌলাধার রেঞ্জের পর্বতমালার অপূর্ব সৌন্দর্য্যে বাকরুদ্ধ হয়ে যেতে হয়।এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কাছাকাছি বেশ কিছু অফ বিট অ্যাডভেঞ্চার স্পট যেমন বীর বিলিং,চাম্বা।প্রকৃতির কোলে পাহাড় ঘেরা তারাভরা আকাশের নিচে ক্যাম্প করে থাকার স্বর্গসুখ পেতে পারেন।

কী দেখবেন – কাংড়া ফোর্ট,ভাগসুনাথ মন্দির,ভাগসু ফলস,নামগিয়াল মনাস্ট্রি,কাংড়া ভ্যালি টি প্ল্যান্টেশন,ট্রিউন্ড ট্রেক।

কোথায় থাকবেন -শ্যালোম ব্যাকপ্যাকার্স,হোসটেলার্স,জোস্টেল ম্যাকলিওডগঞ্জ ,অল্ট লাইফ ধর্মাকোট।

কোথায় খাবেন নিক’স ইটালিয়ান রেস্টুরেন্ট,লুঙ টা জাপানিজ,ক্রেপে প্যানকেক হাট।

কী ভাবে যাবেন – দিল্লি,চন্ডিগড়,ধরমশালা থেকে বাস,গগ্গল এয়ারপোর্ট,পাঠানকোট রেল স্টেশন।

বিনসার – উত্তরাখন্ড ট্যুরিজমের বেস্ট স্পট।আলমোড়া ,কুমায়ুন রেঞ্জের শান্ত নির্জন, পাহাড়, জঙ্গল,বন্যপ্রাণ ক্যাম্পিং ও জঙ্গলপ্রেমীরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন।

কী দেখবেন – বিনসার ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি,জিরো পয়েন্ট,পারিয়াদেবা পাষান,মেরি ব্যাডেন এস্টেট।জঙ্গলে -বার্কিং ডিয়ার,হিমালয়ান ভাল্লুক,চিতা,ফ্লাইং স্কুইরেল,চিতল হরিণ,পরকুপাইন।জিপি সাফারি মিস করলে ঠাকুর পাপ দেবেন।

কোথায় থাকবেন বিনসার ইকো ক্যাম্প & কটেজ,ইম্পেরিয়াল হেরিটেজ বিনসার।এছাড়া প্রচুর ক্যাম্প সাইট আছে যা খুব জনপ্রিয় ও আগে থাকতে বুক করতে হয় – সানডাউনার্স ক্যাম্প সাইট,বিনসার ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি।

কোথায় খাবেন– সিম্বা ক্যাফে,কাসার কিচেন,মোহন’স ক্যাফে।

কীভাবে যাবেন -নৈনিতাল,রানীক্ষেত,আলমোড়া থেকে গাড়িতে,পান্টনগর এয়ারপোর্ট,কাঠগোদাম রেল স্টেশন।

ঈশ্বরের আপন দেশ কেরালায়

আলেপ্পি এই ‘ব্যাকওয়াটার ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া’তে বেড়াতে না এলে জীবন বৃথা মনে করেন অনেক ভ্রমণার্থীরা যাকে প্রাচ্যের ভেনিস বলা হয়।হাউসবোটে থাকা,গ্রামের পথ ধরে হাঁটার পরম আনন্দ পেতে আলেপ্পিতে আসতেই হবে।

কী দেখবেন– আলেপ্পি ব্যাকওয়াটার,আলাপ্পুঝা বিচ,আম্বালাপুঝা শ্রীকৃষ্ণ মন্দির,আয়ুর্বেদিক থেরাপি,লাইটহাউস ।

কোথায় থাকবেন কেরালা হাউসবোটস,এটিডিসি হাউসবোট,রামাডা আলেপ্পি।

কোথায় খাবেন -থাফ রেস্টুরেন্ট,হ্যালাইস রেস্টুরেন্ট।   

কীভাবে যাবেন -কালিকট ,কোচি ৭৮কিমি ,ত্রিভান্দ্রাম এয়ারপোর্ট,তিরুভানান্তাপুরাম,এর্নাকুলাম রেল স্টেশন,কেএসআরটিসি র বাস চেন্নাই,ব্যাঙ্গালোর,মাইসোর,কোয়েম্বাটোর থেকে।

ছবি- কেরালা ট্যুরিজম

কুমারাক্কমগড’স ওন কান্ট্রি কেরলের কোট্টায়মের ১৩ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত ভেম্বানান্দ লেকের কাছে নিরালা নির্জন কুমারাকম।হাউসবোট,বিশাল শান্ত লেক আর বার্ড স্যাংচুয়ারির জন্য প্রসিদ্ধ।১৪ একর ঘেরা এই বার্ড স্যাংচুয়ারিতে প্রচুর পরিযায়ী পাখির আস্তানা।হেরোন,এগ্রেট,ওয়াটারফাউলস,সাইবেরিয়ান স্টর্ক আরও অনেক প্রজাতি।

কুমারাক্কমের  অপার্থিব নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন ‘জীবদ্দশায় একবার বেড়িয়ে আসতেই হবে’ আখ্যা দিয়েছে যখন তখন এই অপরূপ প্রকৃতিকে প্রত্যক্ষ্য না করা বোধহয় অপরাধের পর্যায় পড়ে।

কুমারাক্কম  ট্যুরিজমের বিশেষত্ব হল এর হাউসবোট।এই অপরূপ হাউসবোটগুলি ঐতিহ্যশালী ‘কেটু  ভালাম’ স্থাপত্যশৈলীতে তৈরী।নারকেল গাছ ঘেরা অপার্থিব সবুজ প্রকৃতির মধ্যে নীল ব্যাকওয়াটার জলে হাউসবোটে ঘুরে পরিযায়ী ও দেশি পাখিদের অপরূপ সৌন্দর্যে জীবনের ক্লান্তি,হতাশা,স্ট্রেস ভুলে স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দ উপভোগ করতে চলে আসুন এই কুমারাক্কমে। 

কী দেখবেন -হাউসবোট,বার্ড স্যাংচুয়ারি,ভেমবানন্দ লেক,ব্যাকওয়াটার,বে আইল্যান্ড ড্রিফ্টউড মিউজিয়াম,পাথিরামানাল আইল্যান্ড,জটায়ু রক,সেন্ট মেরিস চার্চ।

কোথায় থাকবেন-কুমারাকম লেক রিসোর্ট,ব্যাকওয়াটার ব্রুক,ইল্লিক্কলাম লেকসাইড কটেজ,কেটিডিসি কুমারাকম গেটওয়ে,ব্যাকওয়াটার হেরিটেজ হোমস্টে,বিস্ময়,কোডিয়ান্তরা হেরিটেজ হোম এছাড়া আরও অনেক হোটেল আর হোম স্টে।

কোথায় খাবেন– দ্য ওয়াটারসাইড -কর্মা চক্র,ইন্ডিয়ান কফি হাউস।

কীভাবে যাবেন– প্লেনে-কোচিন এয়ারপোর্ট থেকে ৮৫ কিলোমিটার,ত্রিভান্দ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে ২৫০ কিলোমিটার,ট্রেনে-কোট্টায়াম থেকে ১৬ কিলোমিটার এছাড়া কোট্টায়াম থেকে বাস আর ট্যাক্সির সুবন্দোবস্ত আছে ।

ছবি- ওয়ান ডে ট্র্যাভেল

মুন্নারকেরালার ওয়েস্টার্ন ঘাট পর্বতমালায় আর এক স্বর্গীয় ট্যুরিস্ট স্পট।ব্রিটিশদের তৈরী হিল স্টেশন,মুন্নারকে দক্ষিণ ভারতের কাশ্মীর বলা হয়। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈল শহর। ইরাভিকুলাম ন্যাশানাল পার্কে নীলগিরি টার,সোনালি শেয়াল,বাঘ,লেপার্ড,গাউর,বনবিড়াল।     

কী দেখবেন -ইকো পয়েন্ট,অট্টুকাড় জলপ্রপাত,পোথামেদু ভিউ পয়েন্ট,টাটা টি মিউজিয়াম,ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক,ওয়ান্ডার ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চার পার্ক,কুণ্ডলা লেক,মারায়ুর।

ডলমেন্স-প্রাগৈতিহাসিক নিওলিথিক এজের ১৫ রকমের ডলমেন্স আছে এখানে।চিন্নার ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি,চিন্নাকানাল ওয়াটারফলস,চোকরামুন্ডি পিক। 

কোথায় থাকবেনকেটিডিসি টি কাউন্টি,এলিফ্যান্ট প্যাসেজ,ড্রিমক্যাচার রিসোর্ট,কাছের পাল্লিভাসাল চিথিরাপুরাম।

কোথায় খাবেন- সারাভানা ভবন,রাপসি রেস্টুরেন্ট।

কীভাবে যাবেন– প্লেনে- কোচি এয়ারপোর্ট থেকে ১২৫ কিলোমিটার,ট্রেনে- কোচি স্টেশন থেকে বাস ট্যাক্সিতে মুন্নার এছাড়া কেরালা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকে বাসের টিকিট পেতে পারেন।

ছবি- গ্রিনউড রিসোর্ট

কুমিলিব্রিটিশ কলোনিয়াল ঐতিহ্যশালী গ্রাম।তারও আগে থেক্কামকুর ও পুন্জার রাজাদের অধীনে ছিল ছবির মতন সুন্দর এই গ্রামে,এখানকার যোধা কালচারাল ভিলেজ,মশলা সরণি বা স্পাইস রুট,স্পাইস হার্বাল গার্ডেন ঘুরে ফিরে নৈসর্গিক প্রকৃতি দেখতে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।

কীভাবে যাবেন –মুন্নার থেকে বাসে বা গাড়িতে ৩ ঘন্টা ,মাদুরাই এয়ারপোর্ট থেকে বাসে ও গাড়িতে ৩ ঘন্টার পথ। 

কোথায় থাকবেন গ্রিনউড রিসোর্ট,পেরিয়ার হেরিটেজ হোম স্টে,কফি ইন।

ছবি-বেস্পকইন্ডিয়া ট্র্যাভেল

পেরিয়ার ওয়াল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি-ভারতের অন্যতম সুন্দর হাতি আর বাঘের অভয়ারণ্য।অবিরাম শৈল শিখর এবং মশলার সুগন্ধে ভরা বাগিচায় ঘেরা থেক্কাডী স্বপ্নময় পরিবেশ গড়ে তোলে।থেক্কাডীর পেরিয়ার ফরেস্টটি ভারতে সুন্দরতম যে কয়টি বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। এই জেলা ঘিরে ছড়িয়ে থাকা অপূর্বচিত্রের মত বাগিচা এবং পাহাড়ী শহরগুলি  ট্রেকিং এবং পাহাড়ি পথে চলার জন্য পাখির নীড়ের মত আকর্ষণ করে।এশিয়ান হাতি, বাংলার বাঘ, ভারতীয় বাইসন, সম্বর হরিন, ভারতীয় বুনো কুকুর, লেপারড, বার্কিং ডিয়ার এবং মসৃন-লোম যুক্ত ভোঁদড়। পেরিয়ার লেক-এ ভ্রমণ করার সময় এগুলির দেখা মেলে। নীলগিরি থার উঁচু পাহাড়ী এলাকায় থাকে আর অবলুপ্ত প্রায় লায়ন-টেইল্ড ম্যাকাওকে চিরহরিৎ বনভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে নৌকো নোঙর করে সেখানে এক গাছ থেকে আরেক গাছে নীলগিরি লেঙ্গুড় এবং বনেট ম্যাকাও পাখিদের লাফালাফি দেখতে পাওয়া যায়।

যোগাযোগ ফিল্ড ডিরেক্টর (প্রজেক্ট টাইগার) অফিস অব দয় ফিল্ড ডিরেক্টর এস এইচ মাউন্ট, কোট্টয়ম কেরল, ইন্ডিয়া -686 006 ফোন: +91 481 2311740 ইমেল: fd@periyartigerreserve.org ওয়েবসাইট: www.periyartigerreserve.org ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রজেক্ট টাইগার) পেরিয়ার টিগার রিসার্ভেই, থেক্কাডী কেরল, ইন্ডিয়া -685 536 ফোন: +91 4869 222027 ইমেল: dd@periyartigerreserve.org

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স -উত্তরাঞ্চল

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। মর্ত্যের নন্দনকাননের অপার্থিব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের এই ট্রেকে ঘন জঙ্গল,রং বেরঙের ফুলের বাগিচা,পুষ্পপাতি নদী,ব্রিজ,গ্লেসিয়ার,ঝর্ণার স্তব্ধভাষ নয়নাভিরাম প্রকৃতি।

কীভাবে যাবেন -কাছের রেল স্টেশন ঋষিকেশ,গোবিন্দ ঘাট অবধি রাস্তার পর ১৬ কিমি ট্রেকিং।দেরাদুন থেকে গাড়িতে যোশীমঠ,সেখান থেকে  গোবিন্দ ঘাট।

কোথায় থাকবেন – রাতে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে থাকা যায়না ,কাছে হোটেল হিমালয়ান হলিডেস,ক্যাম্প ভ্যালি ফ্লাওয়ার্স ঘাংরিয়া। 

ধনৌউল্টি– মুসৌরি আর চাম্বার পাশে এখনকার অন্যতম পছন্দের নিরালা অফ বিট হিল স্টেশন।

কী দেখবেন – ইকো পার্ক,থাঙদার ক্যাম্প,সুরকান্দা দেবী মন্দির,তেহারি ড্যাম,অ্যাপল অর্চার্ড রিসোর্ট।

কোথায় থাকবেন -সিলভার ডিউ রিসোর্ট,গ্রিন ভ্যালি।

কোথায় খাবেন -লিটল লামা,এমিলি,কালাসাঙ রেস্টুরেন্ট।   

কীভাবে যাবেন -কাছের রেল স্টেশন দেরাদুন,ঋষিকেশ,জলি গ্রান্ট এয়ারপোর্ট।   

ছবি- শাটারস্টক

হাম্পি – কর্ণাটকের বেলারি জেলায় ইউনেস্কো ওয়ার্ল্স হেরিটেজ সাইট,ষোড়শ শতাব্দীর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বিজয়নগর সাম্রাজ্যের বিখ্যাত স্থাপত্যশৈলীর স্মৃতিসৌধ।

কী দেখবেন -ভিথালা মন্দির,বিরূপাক্ষ মন্দির,মাঙ্কি টেম্পল,উগ্র নরসিংহ,এলিফ্যান্ট স্টেবল,গ্রূপ অফ মনুমেন্টস,মাতঙ্গ টেম্পল।

কোথায় থাকবেন – কেসটিডিসি হোটেল মৌর্য্য,হায়াত প্লেস,হেরিটেজ রিসোর্ট।  

কোথায় খাবেন  ম্যাংগো ট্রি,লাফিং বুদ্ধ,গোপী গেস্ট হাউস।

কীভাবে যাবেন – ব্যাঙ্গালুরু,মাইসোর থেকে ট্রেন আছে।

মহাবালেশ্বর পুনের কাছে ছবির মতন সুন্দর ট্যুরিস্ট স্পট।পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় মেঘ কুয়াশায় আবৃত নিবিড় অরণ্য,ঝর্ণার অপরূপ দৃষ্টিনন্দন নৈসর্গ।

কী দেখবেন এলিফেন্ট’স হেড পয়েন্ট,চিনামান ফলস,ধোবি ওয়াটারফল,আর্থার’স সিট,পঞ্চগনি,ভেন্না লেক,মহাবালেশ্বর মন্দির,উইলসন পয়েন্ট।

কোথায় থাকবেন -এভারশাইন রিসোর্ট,হোটেল মিরায়া,এমটিডিসি রিসর্ট।

কোথায় খাবেন – গ্রেপভাইন রেস্টুরেন্ট,ফার্মহাউস বিস্ট্রো,লিটল ইটালি।

কীভাবে যাবেন – পুনে থেকে কাছে আবার মুম্বাই থেকে বাস আছে।

ওরছা – মধ্যপ্রদেশের টিকামগড় জেলায় অবস্থিত  ১৫০১ সালে বুন্দেলা রাজবংশের প্রথম রাজা রুদ্র প্রতাপ সিংহের নির্মিত।বিখ্যাত চতুর্ভূজ মন্দির তৈরি করেন রানী গনেশ কুয়াঁর।অযোধ্যা ছাড়া এখানে  রামচন্দ্রকে রাজা রূপে পুজো করা করা হয়।হিন্দু এবং মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নির্দর্শন। বেতোয়া নদীর ধারে মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের মন্দির,প্রাসাদ,দুর্গ।

কী দেখবেন – চতুর্ভূজ মন্দির,জাহাঙ্গীর মহল,রাজা মহল,ওরছা ফোর্ট,রাম রাজা মন্দির,ছত্রিশ।

কোথায় থাকবেন – এমপিটি বেতোয়া রিট্রিট,ওরছা রিসোর্ট,বুন্দেলখন্ড রিসোর্ট।

কোথায় খাবেন – ওপেন স্কাই রেস্টুরেন্ট,রামরাজা রেস্টুরেন্ট ।

কীভাবে যাবেন – গোয়ালিয়র এয়ারপোর্ট থেকে ১৪০ কিমি।ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮ কিমি।

ছবি-এক্সপেরিয়েন্স কেরালা

ভায়েনাদকেরালার একটি অপূর্ব প্রাকৃতিক সুন্দর বেড়ানোর স্পট।নিবিড় অরণ্য,প্রাচীন গুহা,ঝর্ণা আর হোম স্টেতে থাকার স্বর্গসুখ।মশলা প্ল্যান্টেশন আর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি।

কী দেখবেনবানাসুরা সাগর ড্যাম,এডাক্কাল কেভস,সেন্টিনেল রক ওয়াটারফল,চেমব্রা পার্ক,পুকোট লেক।

কোথায় থাকবেন – ভায়েথেরি ভিলেজ রিসোর্ট,স্টার্লিং ভায়েনাদ,আরায়াল লাক্সারি রিসোর্ট।

কোথায় খাবেন- উইল্টন রেস্টুরেন্ট,জুবিলী রেস্টুরেন্ট।

কীভাবে যাবেন- কালিকট এয়ারপোর্ট থেকে ৯৩ কিমি,ব্যাঙ্গালুরু,কোঝিগড়,কোয়েম্বাটোর থেকে বাস অথবা গাড়ি।

হ্যালেবাইডুকর্ণাটকের হাসান জেলায়।আগে নাম ছিল দ্বারাসমুদ্র।পৃথিবীবিখ্যাত হয়সা লা স্থাপত্যের অপূর্ব শৈলী,মন্দির ,সৌধের ভাস্কর্য্য দেখে মুগ্ধ হবেন।১২/১৩শ শতাব্দীতে হয়সালা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল হ্যালেবাইডু।হয়সলেশ্বর ও কেদারেশ্বর মন্দিরের স্থাপত্যের অবিস্মরণীয় সৌন্দর্য্যে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়।

কী দেখবেন -বেলুড়,হয়সলেশ্বর ও কেদারেশ্বর মন্দির,ইয়াগাছি ড্যাম,বাসাদি হাল্লি,আর্কিওলজিকাল মিউজিয়াম।

আর কাছেপিঠে ঘুরে আসতে পারেন অনন্য অনুপম চিকমাগুলুর,কুর্গ,সকলেশপুর।  

কোথায় থাকবেন -হয়সালা ভিলেজ রিসোর্ট,গেটওয়ে চিকমাগুলুর।

কোথায় খাবেন -ইতিহাকালা রেস্টুরেন্ট,ইন্ডিয়ান কফি হাউস।

কীভাবে যাবেন– কাছের এয়ারপোর্ট মাইসোর,রেলওয়ে স্টেশন ম্যাঙ্গালোর, মাইসোর, ব্যাঙ্গালুরু,ম্যাঙ্গালোর,কোয়েম্বাটোর,কোচি থেকে বাস ও গাড়ি।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *