চিংড়ি মাছের আম কাসুন্দি -

চিংড়ি মাছের আম কাসুন্দি

বাংলার মা ঠাকুমার ‘জিহ্বায় লালাক্ষরণ’চেটেপুটে খাওয়া সুস্বাদু রেসিপি।

ঘটিরা কি ইলিশ খান না ?নাকি বাঙালরা চিংড়ি মাছ খান না? এখনকার দিনে পেটপুজো করার সময় এই সব ঘটি বাঙাল আম বাঙালির না পসন্দ।সংস্কৃত ভাষায় চিংড়িকে জলবৃশ্চিক বলে আর দেবভাষায় চিঙ্গট আর মহাশুল্ক বলা হয়।চিংড়িও ইলিশের মত ওয়ার্ল্ড ফেমাস।সায়েবি,কন্টিনেন্টালে প্রন, শ্রিম্প, টাইগার, লবস্টার তো আছেই আর এই বাংলাতেই আছে প্রায় ৫৬ প্রজাতির চিংড়ি, গলদা, বাগদা, চাপড়া,মেতি, কুচো আরও কত কি।মনসামঙ্গল কাব্যে আছে ‘ভিতরে মরিচ গুঁড়া,বাহিরে জড়ায়ে সুতা/তৈলে পাক করি রান্ধে চিংড়ির মাথা।’           

এপার ওপার বাংলার মা ঠাকুমার আপাত কত অজানা,জিহ্বায় লালাক্ষরণ চেটেপুটে খাওয়া সুস্বাদু এই রেসিপি।বিজ্ঞাপনের ভাষায় ‘এ স্বাদের ভাগ হবে না’।   

 উপকরণঃ

২৫০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো মাঝারি মাপের চিংড়ি মাছ,১ টেবিল চামচ সাদা ও কালো সর্ষে বাটা,১ চামচ আদা বাটা,আধ কাপ নারকোল কোরা,২ চা চামচ চারমগজ বাটা,৩ চামচ আম কাসুন্দি,আধ চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা (একটু ঝাল ঝাল চাইলে),৩/৪ কাঁচা লঙ্কা চেরা,আধ চামচ হলুদ,৫ চামচ সর্ষের তেল,নুন,চিনি (স্বাদ অনুযায়ী)।

প্রণালী:

দুরকম সর্ষে,আদা বাটা,১ কাঁচালঙ্কা বাটা,নারকোল কোরা আর একটু নিন দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন।আলাদা করে রাখুন।চিংড়ি মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন।এবারে প্যানে/কড়াইতে ৪ চামচ তেল গরম হলে তাতে চিংড়ি মাছ দিয়ে খুব হাল্কা করে ভাজুন,একটু গোলাপি রং এলেই তুলে নিন।

এর পরে ওই তেলে আগের করা পেস্ট দিন তার পর আম কাসুন্দি আর হলুদ দিয়ে মিডিয়াম ফ্লেমে  কষতে থাকুন,তেল বের হলে এতে চিংড়ি মাছ,স্বাদ অনুযায়ী নুন চিনি দিয়ে পরিমাণ মত সামান্য জল দিয়ে লো ফ্লেমে ৬/৭ মিনিট রেখে তেল বেরিয়ে আসছে দেখে গ্যাস বন্ধ করে ওপরে একটু কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে ৪/৫ মিনিট  ঢেকে রাখুন।এর পরে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

রেসিপিঃ অপরুপা (রায়চৌধুরী )মিত্র।        

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *