অ্যাপলোয় নবজীবন -

অ্যাপলোয় নবজীবন

অ্যাপলো মাল্টিস্পেশালিটি  হস্পিটালস Apollo Multispeciality Hospitals কলকাতায় বিরল জন্মগত হার্টের কঠিন অসুখ সারিয়ে ৩৫ বছরের রোগীর নবজন্ম।

সম্প্রতি ৩৫ বছর বয়স্ক হাওড়ার শান্তনুবাবুর অনিয়ন্ত্রিত হাই ব্লাডপ্রেসার নিরাময়ের কারণে চেক আপে এসে পরীক্ষার পর জানা যায় উনি এক জটিল ও বিরল অসুখে ভুগছেন।পরীক্ষায় দেখা গেল ওনার হার্টে তিনটির (থ্রি লিফ্লেটস) পরিবর্তে দুটি বাইকাস্পিড (টু লিফ্লেটস) ভাল্ভ আছে।স্বাভাবিক ভাবে আমাদের সবার হার্টে ট্রাইকাস্পিড অ্যাওর্টিক ভাল্ভ থাকে।এছাড়াও CT angiography সিটি অ্যানজিওগ্রাফি করে দেখা গেল যে  অ্যাওর্টায় কন্ট্র্যাকশন contraction (কঞ্জেনিটাল ন্যারোয়িং) congenital narrowing রয়েছে।এত জটিল ও কঠিন অপারেশনের রিস্ক না নিয়ে বহু হস্পিটালস অপারেশন করতে রাজি হয়নি যার পরে উনি অ্যাপলো মাল্টিস্পেশালিটি  হস্পিটালস,কলকাতায় আসেন।

এমন দুরূহ ও জটিল অপারেশনের জন্য ডঃ বিকাশ মজুমদার,ডঃ আফতাব খান,ডঃ তমশিস মুখার্জী ও ডঃ ইয়ামন কালিতার একটি বিশেষজ্ঞ টিমের তত্বাবধানে ওনার অ্যাওর্টায় কোয়ার্কটেশন (coarctation) এর জন্য এন্ডোভাসকুসলার স্টেন্টিং প্রসিজিওরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।প্রসঙ্গত অ্যাওর্টা আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় আর্টারি যা অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তকে হার্ট থেকে পুরো শরীরে সঞ্চালন করে।অ্যাওর্টিক কন্ট্র্যাকশনের (কঞ্জেনিটাল ন্যারোয়িং) কারণে হার্টকে স্বাভাবিকের থেকে জোরে অ্যাওর্টায় রক্ত পাম্প করতে হয়।

 এই বিষয়ে ডঃ বিকাশ মজুমদার জানালেন.’এই কঞ্জেনিটাল কন্ডিশন অ্যাওর্টিক কোয়ার্কটেশন এত বিরল যে ১০,০০০ জনের মধ্যে মাত্র  ৪ জনের এমন রোগ হয়।সব কঞ্জেনিটাল সমস্যার মধ্যে মাত্র ৬% এই রোগে আক্রান্ত হন।আর সাধারণত এটা কৈশোরেই সনাক্ত হয়ে থাকে যাতে এর চিকিৎসা করা সহজ হয় আর এর প্রধান উপসর্গ হল উচ্চ রক্তচাপ।

ডঃ আফতাব খান জানালেন কৈশোরের পরে অ্যাওর্টা কোয়ার্কটেশন অপারেশনের অ্যাওর্টিক রাপচারের রিস্ক অনেক বেশি থাকে।শান্তনুবাবুর কেসে চেটহ্যাম প্ল্যাটিনাম অ্যাওর্টিক স্টেন্ট বসানোর জটিলতার কারণে একটি বেলুন ডায়ালেশন পদ্ধতি এবং আর একটি ৬০ এম এম স্টেন্ট হাতে করে প্লেস করতে হয়েছে যাতে ৪৯ এমএম ন্যারোইং ঢাকতে।বেলুন সরু অ্যাওর্টাকে প্রশস্ত করে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলের সাহায্য করে।এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা স্টেন্ট এক্সপ্যানশনের জন্য অত্যন্ত কঠিন  আর স্টেন্ট মাইগ্রেশনের ঝুঁকি এই বয়েসের কারণে আরও বেশি থাকে।

 গত ফেব্রুয়ারি ২২ এ শান্তনুবাবুর সফল অপারেশনের পর এখন সুস্থ সাধারণ জীবন কাটাচ্ছেন।যদি ঠিক সময়ে এনার চিকিৎসা আর অপারেশন না হত তাহলে এই অসুখ প্রাণঘাতী হতে পারত এছাড়া হাই ব্লাডপ্রেসারের কারণে স্ট্রোক আর কার্ডিয়াক কমপ্লিকেশনের ঝুঁকি থেকে যেত।কার্ডিয়াক ক্যাথিটার ল্যাবরেটরিতে এই দুরূহ অপারেশন জেনারেল অ্যানেস্থাশিয়ার সাহায্যে রাইট ফেমোরাল আর্টারি রুট প্রসিডিওর করা হয়।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *