স্মার্টার লিভিংয়ের সম্পাদক টিম হেরেরা,স্ট্রেস বিশেষজ্ঞ অ্যারিয়ানা হাফিংটন বলছেন :
গত সাতমাসে এই অতিমারিতে সবাই মনমরা,হতোদ্যম।,কাজকর্ম,চাকরি,ব্যবসা,স্কুল-কলেজ,বাইরে বেরোনো,প্রিয়জনের মৃত্যুসংবাদে আমাদের মন নিরাশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে।এই সময়ে নিজেকে মোটিভেট করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতেই হবে।মনে রাখতে হবে এই ভালো থাকার কাজটা সহজ নয়,কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।নিজের আউটলুক,চিন্তাধারা,দৈনন্দিন রুটিনের কিছু পরিবর্তন আপনাকে ভাল থাকতে সাহায্য করবে।
১) নিজেকে মোটিভেট করুন : নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে বলুন এখন নিজের আর পরিবারের জন্য আপনাকে ভাল থাকতেই হবে। মনে রাখুন গত ১০০ বছরে এমন ভয়ানক প্যানডেমিক এসে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত করেনি সুতরাং এর সঙ্গে যুদ্ধও কঠিন।কোনও নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করবেন না ,তাই কাগজ ,টেলিভিশনে নৈরাশ্যজনক খবর দেখা কিছুদিন বন্ধ থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না।‘ছেড়েছ তো অনেক কিছু পুরনো অভ্যেস’ আবার ঝালিয়ে নিন।
২) শিডিউল মেন্টেন করুন :অর্থাৎ প্যানডেমিকের আগের মত রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুন আর সারা দিন সেই টাইম শিডিউল মেনে চলুন ,সময়ে লাঞ্চ,স্ন্যাক্স কাজের সময় কাজ ইত্যাদি।সবচেয়ে ভাল হয় এটি বিষয়টা যদি আপনার ফ্যামিলির.কলিগদের সঙ্গে করে ফেলতে পারেন তাতেই কেল্লা ফতে।
৩)রোজকার একঘেয়ে রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনুন। আশে পাশের ছোট ছোট বিষয়ে মন তাজা রাখুন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হলে কাজের জায়গা শিফ্ট করুন, বাইরে থেকে ফিরে টিভির সামনে না বসে পরিবারের সঙ্গে একটু আড্ডা দিন।
পড়ুন: করোনাকালে মেন্টাল হেলথ ভালো রাখতে এই এক্সপার্ট টিপস জানেন ?
৪) নতুন কিছু করুন,শিখুন : এই সময়ে এমন নতুন কিছু করুন যা আগে আপনি করেন নি।রান্না করতে শিখুন,ছেলেমেয়েকে গল্প বলুন,ফোনে আপনার বয়স্ক আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলুন,এমন কিছু যেটা আপনি সাধারণত সময় নেই বলে করে উঠতে পারেন না। এতে মন ভাল থাকবে।রান্না করা কিন্ত দারুণ স্ত্রেস বাস্টার।
৫) নিজেকে রিফ্রেশ করুন :কাজের মধ্যে ঠিক যেমন আপনার কম্পিউটার ,ফোন কে রিফ্রেশ করেন তেমন। কাজের মধ্যে একটু ব্রেক নিয়ে ৩/৪ মিনিট ডিপ ব্রিথিং,পছন্দের সিনারি,প্রিয়জনের ছবি দেখা।
৬) বাস্তবে থাকুন : এই নিরাশা আর হতাশাকালে মনের একটা এস্কেপ রুট তৈরি হয় যাতে বেপরোয়া,বেহিসেবি হয়ে স্ট্রেস ফ্রি হওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। সেটা ভিড়ের মধ্যে বেরিয়ে পড়া,একগাদা তেল মশলা দেওয়া রান্না,অপরিমিত মদ্যপান করে ফ্রি হওয়া,মাস্ক না পরে বেরনোর চেষ্টা করেন। এখন একদম করবেন না ,হিতে বিপরীত হতে পারে।
৭) রোজকার ছোট্ট টার্গেট:যেমন সিস্টেম থেকে ডাটা ক্লিন করুন,পেন্ডিং কাজের একটা করে ফেলুন,নিজের ওয়ার্ক স্টেশনে কিছু বদল আনুন,বাড়ির ফেলে রাখা কোনও কাজ থাকলে করে ফেলুন।
৮) ড্রেস চেঞ্জ করুন : বাড়িতে থাকলেও একঘেয়ে রোজকার ড্রেস ছেড়ে কম্ফোর্টেবল কিন্তু স্মার্ট ড্রেস পরুন,মন ভাল থাকবে।
৯)বাড়ি পরিষ্কার করুন : এতে ডবল বেনিফিট। প্রথমত এই নিরাশাকালে একটু কিছু বদল,সেটা ফার্নিচারের এদিক ওদিক,কার্টেন,বেডকভারের ব্রাইট কালারে বদল,কাজের জায়গায় মন ভালো করা কিছু ফটো ফ্রেমে ছবি আর এতে বেশ খানিকটা এক্সসারসাইজ হয়ে শরীর ফিট থাকবে।
১০) প্রোডাক্টিভ থাকুন :অর্থাৎ কর্মতৎপর। বাড়ির কাজ,বাইরের কাজ যেমন ইচ্ছে তেমন শুধু এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে ফোন ঘাঁটবেন না ,যাকে সেডেন্টারি লাইফস্টাইল বলে তা থেকে সাবধানে থাকুন।
সাতদিন করে দেখুন। লাইফ চেঞ্জিং এফেক্ট হবে। ‘হাল ছেড়োনা বন্ধু…’
শেয়ার করুন :