আপাত অজানা তথ্য হল কলকাতায় সুর্দীর্ঘ ঐতিহ্যশালী YMCA ১৬৬ বছর পেরিয়ে গেছে। YMCA র বিবেকানন্দ রোড শাখার ওভারটুন হলে রবীন্দ্রনাথ,নজরুল বক্তব্য রেখেছেন।বাংলা তথা ভারতের টেবিল টেনিসে এমন কোনও চ্যাম্পিয়ন নেই যে ওভারটুন হলে টেবিল টেনিস খেলেননি।এছাড়া বিশ্ব বিলিয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন মনোজ কোঠারির খেলা শুরু এখানকার বিলিয়ার্ড রুমে।
গত ১৫০ বছরের ওপরে কলকাতার বুকে YMCA র বিবেকানন্দ রোড,চৌরঙ্গী,ওয়েলিংটন বিভিন্ন ব্রাঞ্চে অজস্র খেলোয়াড়,শিল্প সংস্কৃতি ভালোবাসা, সুস্থ রুচি তৈরীতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে চলেছে।
সম্প্রতি ২৮শে মে সক্রিয় উদ্যমী মেম্বার শুভ্র রঞ্জন মল্লিক (এস আর এম) আর কৌশিক রায়ের (ভুট্টো)উদ্যোগে পূর্ণমিলন উৎসবে চাঁদের হাট বসেছিল।১৯৬৮/৭০ থেকে এখনকার মেম্বারদের একত্র হওয়াতে পুরানো সে দিনের কথাই শুধু নয়,বেশ কিছু মেম্বারদের একে অপরের সঙ্গে প্রায় ১০/২০/২৫ বছরের পরে দেখা হওয়ার প্রাণোচ্ছল আনন্দে আসর জমে উঠেছিল।
অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ, প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির চেয়ে বড় হলেও ব্যক্তিই প্রতিষ্ঠান গড়ে।এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথ সবসময়ে মসৃণ থাকেনি,অনেক ঝড় ঝাপ্টা সহ্য করে পথ চলার মধ্যে সম্প্রতি বিশিষ্ট কর্মোদ্যমী ওয়াইএমসিএ কলেজের কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী প্রবাল কান্তি দত্তের প্রবল উদ্যম,আগ্রহের কারণে YMCA কলেজ ব্রাঞ্চ নতুন সাজে সেজে উঠেছে।উনি দীর্ঘদিন লন্ডন YMCA তে যুক্ত ছিলেন।সামনের প্রশস্ত লনে উন্নত মানের বাস্কেটবল কোর্ট ও নতুন টেবিল টেনিস বোর্ডের আগমনে বর্তমান আর অতীতের মেম্বারদের মধ্যে নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে।এই কর্মকান্ডে বর্তমান সেক্রেটারি শ্রী সুরজিৎ স্যামসনের সদর্থক ভূমিকা ও কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়।
সেই দিনের মিলনোৎসবের সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় নতুন,পুরোনো,সিনিয়র জুনিয়রদের কোনও ভেদরেখা ছিলনা,ছিলনা কারুর ভালো নামে ডাকা কারণ অনেকেই এত বছর পরেও অনেকেরই ভালো নাম জানেনা বলে,কুচোদা,সব্যদা,গোলুদা, ঘোষদা, প্রবীরদা, শ্যামলদা,পাপ্পুদা,বুড়োদারা সাবলীল ভাবে রজত, দেবাশীষ, ভিকি,অলোক,তুতাই, হারুদের সঙ্গে দারুণ আড্ডায় মেতে ওঠেছিল।
শুধু আড্ডাই নয় ,সুস্বাদু ডিনারের মেনু ছিল কচুরি,আলুরদম,ফিশ চপ,ফ্রায়েড রাইস,কষা মাংস,চাটনি আর আইসক্রিম।দেখতে দেখতে তিন চার ঘন্টা কোথা থেকে কেটে গেল বোঝা গেলনা। হঠাৎ মুষলধারায় বৃষ্টি আর ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে দশটা ছেড়ে যাচ্ছে বলে এই দারুণ স্মৃতিমেদুর আয়োজনের উদ্যোক্তা এসআরএম আর ভুট্টোকে সবাই অনেক ধন্যবাদ আর অনুরোধ করে গেল আবার এমন সন্ধ্যার আয়োজনের।
ছবি সৌজন্য-শ্রী সব্যসাচী সেন,শ্রী কৌশিক রায়
শেয়ার করুন :