ব্ল্যাকলেটার্স প্রকাশিত সুদেষ্ণা বসুর নক্ষত্রকথা বইটিকে ঘিরে বিশ শতক কেন্দ্রিক আড্ডা বসেছিল উইসডম ট্রি ক্যাফেতে। আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়, স্মিতা সিংহ, তপতী সেনগুপ্ত,অনির্বাণ ভট্টাচার্য-রা।
স্মিতা সিংহ এই আড্ডার সবচেয়ে প্রবীণ বক্তা, তিনি নিজেই এক আশ্চর্যময়ী। স্পষ্ট মনে করে বললেন রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত স্মৃতিগুলির কথা। উঠে এল সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা, শ্যাম বেনেগালদের সঙ্গে কাজের কথা।
তপতী সেনগুপ্তর কথায় উঠে এল বিশ শতকের অকথিত মেয়েরা। কামিনী রায়, যামিনী সেনগুপ্তদের কথা।
একুশ শতকের কি কোনো স্থায়ী পছন্দ আছে? তাহলে সে নক্ষত্র প্রসব করবে কী করে? প্রশ্ন তুললেন জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে অভীক মজুমদার সুদেষ্ণা বসুর বইটির সূত্রে বিশ এবং একুশ শতকের সাংস্কৃতিক অভিমুখ বিষয়ে তার মতামত জানান।একুশ শতকে সংস্কৃতিতে বহুস্বর এবং শরিকিয়ানার খোঁজ,মহা -আখ্যান বা গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের বদলে ছোটো ছোটো প্রান্তিক সংস্কৃতিকে মান্যতা দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।
আর অনির্বাণ? অনির্বাণের ক্ষিপ্র বাক্যবন্ধ চ্যালেঞ্জ করে ‘কলকাতা’ ধারণাটিকেই। কলকাতার নেওয়ার প্রবণতাকে, ধার করা সংস্কৃতিকে, অপরায়ণের অভ্যেসকে। অনির্বাণ বললেন,’এই আমরা দেখলাম সাম্প্রতিক একটি আন্দোলন,যা কলকাতার বুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ৪মাস পর এই আন্দোলনের দিকে ফিরে দেখলে দেখব আমরা বেশিরভাগ জুকেরবার্গের প্রদর্শিত পথেই আন্দোলন করতে উদগ্রীব।কিন্তু মধ্যপ্রদেশে একটা জঙ্গল কাটা হলে সেখানে বিরাট আন্দোলন গড়ে উঠছে যেখানে সমাজমাধ্যমের কোনো ভূমিকা নেই।আর একটি বিষয় হল আমরা অনেক কিছু বেশ ফলো করতে করতে চলি,সেটা সিনেমা,রাজনীতি এমনকি আন্দোলনের ক্ষেত্রেও । আমাদের ভেবে দেখার সময় এসেছে যে গ্রামের লোককে নিয়ে আমরা কি করেছি ।
যে বই ঘিরে এত কথা, এত বলাকাওয়া, এত চিন্তাভাবনার বিস্তার, সুদেষ্ণা বসুর নক্ষত্রকথা, পাওয়া যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিটের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও।
সারা দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে পোস্টে বইটি পেতে যোগাযোগ করুন ±918018412290 নম্বরে।
শেয়ার করুন :