ভয়ানক গরম শেষে বর্ষায় উইকেন্ডে বেড়িয়ে মন প্রাণ সতেজ সবুজে মিশিয়ে দেওয়ার হদিশ :
মাইথন : পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত লাগোয়া মাইথন ড্যামের অপরূপ সৌন্দর্য্য যে একবার দেখেছে তাকে আবার যাওয়ার জন্য আকর্ষণ করে এই মাইথন ড্যাম। চারিদিকে টিলা পাহাড় ঘেরা এই ড্যামে নৌকাবিহার এক অনন্য অনুপম অভিজ্ঞতা।কাছে আছে ডিয়ার পার্ক আর কল্যাণেশ্বরী মন্দির। আর যারা প্রথমবার যাবেন মজুমদার নিবাস যাওয়ার ঝুলন্ত সাঁকোর আকর্ষণ আর থ্রিল অনুভব করবেন।
পায়ে হেঁটে কিছু দূরেই ওপর থেকে ডিয়ার পার্ক দেখতে পাবেন ।আর কাছে প্রাচীন সিদ্ধপীঠ কল্যাণেশ্বরী মন্দির।ভেতরে ছোট গুহার মধ্যে দেবী থাকেন ,বাইরে অষ্টধাতুর দক্ষিণাকালীর মূর্তি।এই কালীমূর্তিই ম কল্যাণেশ্বরী রূপে পূজিত হন ।
কী ভাবে যাবেন -ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস ধরে কুমারডুবি স্টেশনে নেমে অটো ,গাড়িতে।
কোথায় থাকবেন : ডিভিসির মজুমদার নিবাস -ই মেল – cpro@dvc.gov.in ।মজুমদার নিবাস ডিভিসি – সিপিআরও, ডিভিসি টাওয়ার্স উল্টোডাঙা ক্রসিংয়ের কাছে ।
ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যুরিজমের মুক্তধারা মাইথন ট্যুরিস্ট লজ।ওয়েবসাইট- www.wbtourism.gov.in
টোল ফ্রি ফোন – 1800 2121 655
বগুরান জলপাই – শুধু নির্জন সমুদ্র সৈকত আর ঝাউবনের ঘন অরণ্য। লাল কাঁকড়ার দল,মৎস্যজীবীদের গ্রাম,মাছ ধরার গল্প,রাতে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ। ভিড়ভাট্টা,কোলাহল থেকে দূরে।কলকাতা থেকে ৪ ঘন্টার দূরত্বে এই ট্যুরিস্ট স্পট মন জিতে নিয়েছে পর্যটকদের।নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে,অপরূপ সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্যে মন প্রাণ সতেজ করতে আসতে হবে বগুরান জলপাই। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর নির্জন পরিবেশ।৫ কিলোমিটারের মধ্যে জুনপুট।
কীভাবে যাবেন- ট্রেনে বাসে দিঘা পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে, এছাড়া কাঁথি স্টেশনে নেমে অটো,টোটো,প্রাইভেট গাড়ি।
কোথায় থাকবেন – সাগর নিরালায় গেস্ট হাউস। ফোন- 9434012200
গোপগড়:মেদিনীপুরের কাছে। কিংবদন্তি অনুসারে মহাভারতের রাজা বিরাটের রাজত্বের অংশ ছিল এই গোপগড় ।সামনে কংসাবতী,পেছনে ঘন জঙ্গল,আদ্যন্ত আকাশ আর ঝিম নৈঃশব্দ।জঙ্গলে ঝরাপাতা আর বন বাতাসের মর্মরধ্বনি,শাল,সোনাঝুরি বকুলের সংসার,বনে মহুলের গন্ধ,মৌটুসি, তিতিরের ডাক।এর মাঝে জ্যোৎস্নায় ধোওয়া বাগিচা,চাঁদে ভেজা বন,ওয়াচ টাওয়ার। গাড়িতে ঘুরে আসুন অদূরে ভাদুতলা,রানী শিরোমনির কর্ণগড়,মহামায়ার মন্দির।
কীভাবে যাবেন- মেদিনীপুরের কাছে ।ওখান থেকে সব ধরণের ব্যাবস্থা আছে।
কোথায় থাকবেন: গোপগড় ইকো পার্ক বুকিং – 083370 66882।এছাড়া ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার পূর্ব মেদিনীপুর।ফোন-03222-275869০। অশোক মান্না-8926184005
অচেনা বুরুল-সপ্তাহান্তের ১/২ দিনের অবসরে ঘুরে আসতে পারেন গঙ্গার ধারে নিজের বাড়ির মতো পরিবেশে। একটা দোতলা বাগানবাড়ি, সামনে বাগান, মোট ৩ টে ঘর। ২ টি এসি ঘর দোতলায়, একটি নন এসি ঘর একতলায়। মোটামুটি 10 জন থাকতে পারবেন। বাড়ির সামনে একটা ছোট পাকা রাস্তা, তার পরেই বিশাল গঙ্গা। দোতলার বারান্দা থেকেই দেখতে পাবেন গঙ্গা দিয়ে ভেসেল (মালবাহী জাহাজ) এর আনাগোনা। ছাদে উঠলে ৩৬ ০ ডিগ্রি ভিউ। খাবারের মান অসাধারণ (বিশেষ করে বাসন্তী পোলাও, কচি পাঁঠার ঝোল আর শুক্তো তো এখনো মুখে লেগে আছে)।কলকাতা থেকে মাত্র 45 কিলোমিটার দূরে, রুচিসম্মত ভাবে সাজানো গোছানো ছিমছাম বাড়িটির নাম ‘বুরুল বাড়ী।‘স্থানীয়রা একে ‘হাতিবাড়ি’ নামেও চেনে।
পথনির্দেশ: ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে জোকা ডায়মন্ড পার্কের ঠিক আগে ডানদিকে জোকা ক্যানেল রোড ধরুন। তারপর সোজা রসপুঞ্জ-বাখরাহাট-ডোঙারিয়া হয়ে বুরুল। এছাড়া ট্রেনে এলে, বজবজ স্টেশনে নেমে বুরুলের ম্যাজিক গাড়ি ধরতে হবে।যোগাযোগ:শ্রী উৎপল সরকার 9831488888, 9831588888।সৌজন্য- দীপাঞ্জন হালদার।
বাঁওড় বিতান ইকো রিসোর্ট: ঘোড়ার খুরের মতন অক্স বো লেক আর ইকো রিসোর্ট।
বনগাঁর পাঁচপোতা গ্রামে। এই শান্ত নির্জন উইকেন্ড স্পটে এসে কাটিয়ে গেলে মন তাজা হয়ে উঠবে।এই বাঁওড় কিন্তু মানুষের সৃষ্টি।ইছামতির জল উপচে তৈরি এই ব্যাক ওয়াটার লেক।ভেতরে অনেক আম গাছ আছে আর থাকার ব্যবস্থা সুন্দর কটেজে। নৌকো করে ঘুরতে ,মাছ ধরতে পারেন।
এদের বিশেষ আকর্ষণ সুস্বাদু জিভে জল আনা খাওয়া দাওয়া।কাঁচ ঘেরা খাবার জায়গা দারুণ। প্যাকেজের মেনু :লাঞ্চে দেরাদুন চালের ভাত,ডাল,ভাজা,কাতলা কালিয়া,পাবদা/গলদা,কষা মাংস,চাটনি,পাঁপড়।বিকেলে চা কফির সঙ্গে চিকেন পকোড়া ।রাতে ফ্রায়েড রাইস চিলি চিকেন।
শান্ত নিরালা খোলা হাওয়ার সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশাল লেকের ধারে দু দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার জন্য উইকেন্ড স্পট।
বুকিং : 9830426600/7557055245
লিঙ্ক: www.baorbitan.com
কীভাবে যাবেন : গাড়িতে যশোর রোড,মধ্যমগ্রাম,বারাসাত,অশোকনগর ,হাবড়া ,গোবরডাঙ্গায় পাঁচপোতা।ওখানে বাঁওড় বিতান বললেই দেখিয়ে দেবে।ট্রেনে শিয়ালদাহ থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে গোবরডাঙ্গা লোকালে চেপে গোবরডাঙ্গা পৌঁছে অটোতে পাঁচপোতা।
শেয়ার করুন :