এই ৫টি কারণে ইন্টেরিয়রে ছোট জায়গাকে আরো বড় দেখায় -

এই ৫টি কারণে ইন্টেরিয়রে ছোট জায়গাকে আরো বড় দেখায়

বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার টিপস।

শহুরে জীবনযাপনে বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হয় ,স্পেস আর বাজেট।বেশিরভাগ মানুষকেই কাজের প্রয়োজনে  শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকতে হয় কিন্তু কিছুটা আপস করে।যত দিন যাচ্ছে  আর্বান স্পেসে ততই ভিড় বাড়ছে আর আরো মানুষ এই ভিড়ের মধ্যে হয় আকর্ষিত অথবা বাধ্য হয়ে থাকছেন যেখানে ফাঁকা জায়গা পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে পড়ছে।  

ওয়ার্কিং প্রফেশনালসরা বেশিরভাগই ফ্ল্যাটে থাকেন কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের আয়তন নির্ভর করে কত টাকার ফ্ল্যাট তার ওপরে।হামেশাই দেখা যায় বড় ফ্ল্যাট তরুনদের কাছে বেশ ব্যয়সাধ্য।সেই কারণে বেশি দামে বড় ফ্ল্যাটের সামর্থ্য না থাকলে এমন অনেক ছোটোখাটো বদল আনলে সেই ছোট ফ্ল্যাটকে বড় দেখায়।এই প্রাথমিক বিষয়গুলি ঠিক করে নিলে দীর্ঘদিন এখানে আরামে আর শান্তিতে থাকা যায়।

বাড়িতে এমন কিছু প্রয়োজনীয় অদল বদল করে নিলে ছোট স্পেসকে বেশ বড় দেখতে লাগবে:

কালার কন্ট্রাস্টস

বাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনে রঙ একটি দারুণ উপাদান যা দিয়ে বাড়ি আর ফার্নিশিং দুর্দান্ত সুন্দর করে তোলা যায়।এর সাহায্যে স্পেসের একটা ইলিউশন অর্থাৎ মনোরম বিভ্রম তৈরি করা যায় যাতে আমাদের মন মেজাজ চাঙ্গা হয়ে ওঠে আর নিশ্চিত করে যাতে গুমোট ভাব কেটে আরাম হয়।হালকা রঙের ডিজাইন কৌশলের সাহায্যে ঘরের আয়তন আর উজ্বলতা আসলের থেকে বেশি বড় আর ভালো দেখায়।হালকা রঙের রিফ্লেকশনের কারণে ঘরকে আরও খোলামেলা দেখায় আর প্রাকৃতিক আলোর ছটাকে বেশি উজ্বল আর প্রাণবন্ত করে তোলে।ডার্ক শেড আলো শুষে নেয় আর যে কারণে ঘরকে আরও ছোট দেখায়।এক্ষেত্রে ঘরের দেওয়াল ঘরকে বড় দেখতে লাগার বিষয়ে সাহায্য করে কিন্তু দেখতে হবে সেটা যেন পুরো ঘরকে বশীভূত না করে তোলে।   

তুলনামূলকভাবে নরম টোনের রঙ ঘরকে বড় দেখায় এবং মনের আরাম দেয় আর এই রঙে ঘরকে দেখতেও আকর্ষণীয় লাগে।এর মধ্যে একটু ছোট খাটো জিনিসের কন্ট্রাস্ট দৃশ্যত আরও ঝকমকে সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি করে।

ক্রিয়েটিভ লাইটিং

আলোকসজ্জা ঘরকে খোলামেলা আর ভালো ভাবে ব্যবহার করতে অত্যন্ত জরুরি। প্রাকৃতিক আলো হাওয়া ঘরের ইন্টেরিয়রকে ভালো রাখে এবং এই কারণে ঘরকে আরও বড় দেখতে লাগে।কিন্তু শহুরে জীবনে খোলামেলা প্রাকৃতিক আলো পাওয়া সীমিত হলেও সঠিক আলোকসজ্জার ফিটিংস এবং নানান আলোর সমাহারে বিভিন্ন রঙকে আরও উজ্বল করে তোলা যায়।ঘরে আলো আসার ক্ষেত্রে উইন্ডো কভারিং একটা ভালো উপায়।ছোট ছোট জিনিস যেমন ফুল ,গাছপালা সেই জায়গাকে অনেক প্রাণোচ্ছল আর সজীব করে তোলে।

জিনিসপত্রের ভিড় সরান

বাড়িতে কি আছে আর তার মধ্যে কি কি দেখা যাচ্ছে তার ওপরে একটি বাড়ির বাসযোগ্যতা আর সৌন্দর্য্য নির্ভর করে।জিনিসপত্র রাখতে অনেক জায়গা লাগে আর অতিরিক্ত ডেকোরে সেই স্পেসকে আসলে তুলনায় ছোট দেখায়।একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর ছিমছাম অন্দরসাজের বাহারে ঘরকে প্রশস্ত ,সুবিন্যস্ত আর মুক্ত রাখে।

‘অল্প লইয়া থাকি ‘,অর্থাৎ ঘরের দেওয়ালে আর অন্যান্য আসবাবপত্র যত কম থাকে তত ভালো। প্রয়োজনীয় সঠিক জিনিস ব্যবহার করা স্পেসকে ওভারলোডিং থেকে রক্ষা করে যে কারণে বেশি জিনিসপত্রের কারণে ঘিঞ্জি আর ভিড়ে ঠাসা দেখতে লাগে।

আয়না

আয়নার সাহায্যে ঘরকে বড় দেখতে লাগা একটি প্রাচীন প্রমাণিত পদ্ধতি।আয়নার প্রতিফলনের কারণে দূরত্বের অনুভব বাড়িয়ে তোলে এবং আয়নার সাহায্যে প্রাকৃতিক আর কৃত্রিম দু ধরণের আলোতেই ঘরকে উজ্বল আর প্রাণবন্ত দেখায়।বাইরে থেকে আলো আসে এমন জায়গায় আয়না থাকলে ঘর বেশি আলোকিত হয়।গ্লাস টেবিলটপেও এই সুবিধে আছে। 

অনন্য অনুপম ফার্ণিচার

আপনার লিভিং স্পেসকে মডিউলার আর অন্যান্য আকর্ষণীয় আর কার্যকরী ফর্মের ফার্ণিচার দিয়ে ডিজাইন করে ঘরকে আরও তৃপ্তিকর আর সুদৃশ্য বাসযোগ্য করে তুলতে পারেন।

ছোট জায়গাকে অনেক সুন্দর আর আরামদায়ক করে সাজানো যায় আর এই জিনিসগুলোর ওপর নজর রেখে তাকে শহুরে অন্দরসাজের উপযোগী করে ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়। সাশ্রয়ী দামে বাড়িকে রূপান্তর আর উন্নত করে ঘর ডেকোরের জন্য ভারতে ল্যামিনেটসের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে।

বিশদে জানতে ক্লিক করুন – https://www.centuryply.com/centurylaminates/

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *