কমলেন্দু সরকার
সময়টা নভেম্বরের মাঝামাঝি। সেবার কিছুটা তাড়াতাড়ি বরফ এসেছিল পাহাড়ে। ভগতের লজের দোতলায় ছিল আমার ঘর। ঘরের লাগোয়া বারান্দা। আদিখ্যেতা করে ব্যালকনিও বলা যায়। বারান্দা হোক বা ব্যালকনি, সেটা ছিল অনেকটাই উন্মুক্ত। ঘুম চোখে বাঁদিকে দৃষ্টি পড়তেই আনন্দে গড়িয়ে পড়লাম। সেই আনন্দ একেবারে আত্মায় সেঁধিয়ে গেছিল। একেই বলে বোধ করি আত্মার আরাম! বিশাল পাহাড়টি রাজার মতো দাঁড়িয়ে তুষারকিরীট শোভিত হয়ে!
পাহাড় লাগোয়া অত্রি মুনির বাড়ি। অত্রি মুনির আশ্রম। আর আছে তাঁর পত্নী মা অনসূয়ার মন্দির। তাঁর মতো সতী ভূভারতে তো বটেই স্বর্গেও ছিল না। এই খবর স্বর্গে পৌঁছতে খুব দেরি হল না। সেই শুনে দেবতাদের মধ্যে বেধে গেল গৃহঅশান্তি। সবাইয়ের স্ত্রী বললেন, “মর্তে অনসূয়া নামে কে একজন আছে, সে নাকি আমাদের চেয়েও বড় সতী!” তাঁরা ফরমান জারি করলেন স্বামীদের ওপর, “তোমরা এখনই যাও গিয়ে দেখে এসে আমাদের বলো, উনি বড় সতী, না আমরা।”
ঠিক হল, পাঁচজনের স্বামী যাবেন মর্তে অত্রি মুনির বাড়ি। ওঁরা পাঁচজন ভেক ধরলেন পাঁচ ব্রাহ্মণের। মর্তে নেমে সটান হাজির হলেন অত্রি মুনির বাড়ি। তিনি তখন ধ্যানে বসে আছেন তাঁর আশ্রমে। বাড়িতে কেবল স্ত্রী অনসূয়া। ভেকধারী পাঁচ ব্রাহ্মণ এসে মাতা অনসূয়াকে বললেন, “খুব খিদে পেয়েছে কিছু খেতে দেবেন?” মাতা অনসূয়া পাঁচ ব্রাহ্মণের জন্য আসন পেতে দিলেন।” ব্রাহ্মণেরা বসলেন। বললেন, “আমরা স্তন্যপান করব আগে।”
প্রমাদ গুনলেন মা অনসূয়া! মনে মনে স্মরণ করলেন স্বামী অত্রি মুনিকে। তিনি ধ্যানে বসেই পুরো ঘটনা জানতে পারেন। তিনি এক কমণ্ডলু জল নিয়ে বাড়ি এলেন। এসেই অত্রি মুনি তাঁর হাতের কমণ্ডলু থেকে এক আঁজলা জল নিয়ে পাঁচ ব্রাহ্মণের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া মাত্র পাঁচজনই শিশু হয়ে যান। তখন তিনি অনসূয়াকে বললেন, “শিশুদের স্তন্যপান করাতে তো কোনও বাধা নেই। ওরা পাঁচজনই তো এখন সন্তানসম।”
ওদিকে স্বর্গে হুলুস্থুল কাণ্ড! পাঁচজন গেছে তো গেছেই কোনও খোঁজখবর নেই। স্বামী ছাড়া পাঁচ দেবীর দিন কাটে না। একদিন ওঁরা মর্তে নেমে অত্রি মুনির বাড়ি এলেন, দেখা করলেন মাতা অনসূয়ার সঙ্গে। সেদিন বাড়ি ছিলেন অত্রি মুনি। পাঁচ দেবী দেখলেন ফুটফুটে পাঁচ শিশু খেলছেন বাড়ির চারপাশে। স্বর্গের পাঁচ দেবীকে ওঁরা দেখে অবাক! অত্রি মুনি বুঝতে পারলেও, মাতা অনসূয়া বুঝলেন না। পাঁচ দেবী অত্রি মুনিকে জানালেন পুরো ব্যাপারটা। তাঁরা বহু অনুনয়-বিনয় করলে অত্রি মুনি বলেন, “আপনারা যে যাঁর স্বামীকে খুঁজে নিন।” দেবীদের কণ্ঠে উদ্বেগ, “চিনব কী করে! সকলকে তো একইরকম লাগছে!” অত্রি মুনি স্বর্গের পাঁচ দেবীকে আর উৎকণ্ঠায় ন-রেখে ঘরের ভিতর থেকে কমণ্ডলু এনে পাঁচ বাচ্চার ওপর আঁজলা ভর্তি জল ছিটিয়ে দিতেই পাঁচ দেবতা যে যাঁর নিজের শরীর ফিরে ফেলেন। দেবীরা শুনলেন তাঁদের স্বামীদের মুখ সব ঘটনাক্রম। যাওয়ার সময় দেব-দেবীরা স্বীকার করে গেলেন, মা অনসূয়া আমাদের থেকেও অনেক অনেক বড় সতী। একদিন মর্তে উনি পূজিত হবেন।
সেই মাতা অনসূয়ার মন্দির গাড়োয়ালের মণ্ডল গ্রামে। একসময় এই মণ্ডল ছিল কেদার-বদ্রী যাত্রীদের চটি। একসময় হাঁটাপথেই যেতে হত। হাঁটা ছাড়া অন্যকোনও উপায় ছিল না। কেদার-বদ্রীর যাতায়াতের পথে মণ্ডলে পুণ্যার্থীরা বিশ্রাম নিতেন মণ্ডল গ্রামের চটিতে। এ-কথা লিখে গেছেন উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
ভগতের লজের সামনে দিয়েই মা অনসূয়া, অত্রি মুনির আশ্রম যাওয়ার পথ। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। হাঁটাপথে মা অনসূয়ার পাঁচ কিমি। আর অত্রি মুনি আশ্রম সাড়ে ছ’কিমি। অত্রি মুনির আশ্রম যাওয়ার পথটি রীতিমতো ভয়ংকর! খুব সাবধানে যেতে হবে। মাতা অনসূয়া মন্দিরের সামনে দিয়ে চলে রুদ্রনাথ যাওয়ার পাহাড়ি পথ। এ-পথে বাঘ-ভালুক আছে। ভালুক তো প্রচুরই আছে। গাইড নিয়ে যেতে হবে পঞ্চকেদারের এক কেদার রুদ্রনাথ। রুদ্রনাথ যাওয়ার এই ট্রেকিং রুট বেশকিছুটা টাফ। রুদ্রনাথ যাওয়ার অন্য আর একটা রাস্তা আছে মণ্ডলের কাছেই সাগর হয়ে। কিছুটা হলেও সহজ। আসলে পাহাড়ে সোজা, সহজ পথ বলে কিছু হয় না। তবে মণ্ডল ভারী চমৎকার জায়গা। বিশেষ করে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মা অনসূয়া মন্দির যাওয়ার পথটি ভীষণই রোমাঞ্চকর! এই অরণ্যে বাঘ, ভালুক আছে। খুব সচেতন হয়ে, সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
মণ্ডলে দু’টি পাহাড়ি নদী বয়ে অবিরত। একটি বালখিল্য, অন্যটি অমৃতগঙ্গা। দুই নদীতেই প্রচুর মাছ। ট্রাউট মাছও আছে। মণ্ডলে প্রচুর হিমালয়ের পাখি দেখা যায়। বহুরকম পাখি চোখে পড়বে। মণ্ডল থেকে চোপ্তা ভ্যালির দিকে দু’তিন কিমি গেলেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে, গাছে বসে। বহুরকম পাখির ডাক কানে আসে! উড়ে যাওয়া পাখির ডানায় রং ঝলমলে হয়ে ওঠে সূর্যকিরণে! হাঁটাপথে মণ্ডল ঘুরে মজা, মনের আরাম!
মণ্ডল থেকে গোপেশ্বর মিনিট বিশ-পঁচিশ লাগে। গোপেশ্বরে গাড়োয়াল হিমালয়ের অন্যতম বৃহৎ মন্দির ‘গোপীনাথজি’র। নাম গোপীনাথ, মন্দিরে অধিষ্ঠান দেবাদিদেব মহাদেব-এর। এই মন্দিরেই শীতকালে পঞ্চকেদারের এক কেদার রুদ্রনাথ পূজিত। মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই অদ্ভুত এক অনুভূতি হয় যা ভাষায় অবর্ণনীয়! গা-ছমছম করে! এই বুঝি মহাদেব সামনে এসে দাঁড়ালেন। গমগম করে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে!
গোপেশ্বরের বিখ্যাত মোতিচুর। যাঁরা মিষ্টি ভালবাসেন তাঁদের ব্যাপারটা তেমন নয়। কিন্তু যাঁরা মিষ্টি না-ভালবাসলেও অপছন্দ করেন না, তাঁদের কিছুটা চাপের। এক-একটা মোতিচুরের সাইজ ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর মিষ্টির সাইজ। তবে গতবছর গিয়ে দেখলাম সাইজ আর তেমন নেই। মন্দিরের কাছে দু’একটা দোকান এখনও করে।
গোপেশ্বর থেকে রুদ্রপ্রয়াগ ঘণ্টা দুইয়ের জার্নি। এ সেই রুদ্রপ্রয়াগ যেখানে বসে পৌরাণিক কালে শিব সংগীত শিক্ষা দিয়েছিলেন নারদকে। শিব ব্যাখ্যা করে নারদকে বুঝিয়ে ছিলেন প্রতিটি রাগ-রাগিণীর কীভাবে গাইতে হবে। রুদ্রপ্রয়াগে যে শিলার ওপর বসে নারদ তপস্যা করেছিলেন শিবের, সেই নারদশিলা ভেসে চলে গেছে। এখন আর নেই। অলকানন্দা আর মন্দাকিনী এই দুই নদীর সঙ্গমে রুদ্রপ্রয়াগ। রুদ্র অর্থাৎ শিব।
পৌরাণিক কিংবদন্তি হল, শিব এখানে তাণ্ডব নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন। শিবের তাণ্ডব হল সৃষ্টি, স্থিতি এবং লয় চক্রের উৎস। পাশাপাশি শিব তাঁর প্রিয় বাদ্যযন্ত্রটি রুদ্রবীণা বাজিয়েছিলেন। তিনি বীণা বাজিয়েছিলেন বিষ্ণুকে আকৃষ্ট করার জন্য। বহুরকম পৌরাণিক কিংবদন্তি চালু রয়েছে রুদ্রপ্রয়াগ ঘিরে। সেসবে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে মুশকিল। রওনা দিতে কনকচৌড়ি। সেখান থেকে কার্তিক স্বামী।
রুদ্রপ্রয়াগ ছেড়ে ধাঁ করে রওনা দিলাম কনকচৌড়ির দিকে। কনকচৌড়ি নেমে ওখান থেকে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটাপথে তিন-সাড়েতিন কিমি কার্তিক স্বামী। গাড়ি থেকে নেমে হাঁটার আগে চা আর ডাবল ডিমের অমলেট সাঁটিয়ে নিলাম সবাই। জঙ্গলের পথে হাঁটা শুরু।
জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কার্তিক স্বামী যাওয়ার পথে মনে পড়ে গেল সেই বহুল প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনি। যে-কাহিনিতে ছিল, দুই পুত্রের মধ্যে কার্তিক নাকি গণেশ, কে বেশি ভালবাসে বাবা-মাকে! তা পরীক্ষা করার উদ্দেশে পিতা শিব এবং মাতা পার্বতী দুই পুত্রকে বললেন, আমরা একটা পরীক্ষা নেব বলে স্থির করেছি, যে-পুত্র সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আমাদের কাছে ফিরবে, আমরা বুঝব সেই পুত্রই আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। এই কথা শুনে কার্তিক তাঁর বাহন ময়ূরে চেপে বেরিয়ে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণে। ওদিকে গণেশ শিব-পার্বতীর চারিপাশ ঘুরে ওঁদের প্রণাম করে বললেন, পিতা-মাতা হলেন আমার ব্রহ্মাণ্ড। ওঁদের প্রদক্ষিণ করেই আমার সাঙ্গ হয়েছে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ। শিব-পার্বতী পুত্র গণেশের বুদ্ধি এবং পিতা-মাতার প্রতি ভক্তির তারিফ করলেন। কোলে তুলে নিলেন গণেশকে। কার্তিক সারা বিশ্ব ঘুরে এসে দেখেন গণেশ বাবা-মা’র কোলে বসে পা দোলাচ্ছে। প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন কার্তিক। তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়লেন আবার। এবার অন্য কারণে, অন্য স্থানে। কার্তিক নিজের রাগের তেজ শান্ত করতে চললেন ক্রৌঞ্চ পর্বতে। শুরু করলেন ক্রৌঞ্চ পর্বতের চুড়োয় বসে কঠোর তপস্যা। পিতা-মাতার প্রতি কার্তিক তাঁর ভক্তি-শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানাতে কঠিন তপস্যায় ত্যাগ করলেন তাঁর শরীরের অস্থিচর্ম, মাংস ইত্যাদি। কার্তিকের ওই তপস্যা-স্থলেই তৈরি হয় মন্দির। তাই বলা হয়, কার্তিক স্বামীতেই রয়েছে কার্তিকের অস্থি। সেই কারণেই কার্তিক স্বামী অত্যন্ত পবিত্র স্থান।
হঠাৎই ছেদ পড়ল কাহিনিতে। স্থানীয় এক গাইড বললেন, “সকলকেই সাবধান করছি। একটা লেপার্ড আমাদের পিছু নিয়েছে। লক্ষ্য রাখছে আমাদের ওপর। দলবেঁধে চলুন। কেউ একা হবেন না। ঠিক এর মিনিট তিন-চার পর সেই গাইডটি বললেন, “দেখুন, লেপার্ডটা সুবিধা করতে না পেরে রাগে পটি করে পালিয়েছে। আর ভয় নেই তবুও কেউই দলছাড়া হবেন না।” আমরা দেখলাম, লেপার্ডের পটি থেকে তখনও ধোঁয়া বেরুচ্ছে!
একটা জায়গায় এসে সামান্য ভুল হয়েছিল পথ চিনতে। কিছুটা যেতেই আমাদের মনে হল, ভুল পথে ঢুকে পড়েছি। দুই গাইড অবশ্য মুহূর্তেই ভুল শুধরে ঠিক পথ ধরলেন। আমরাও পিছু নিলাম। তবে শেষ আধা কিমি বেশ টাফ। প্রায় দেওয়ালে মতো সোজা উঠেছে পাহাড়। জিভ বার করে হাঁপাতে হাঁপাতে যখন ওপরে উঠলাম তখন বিস্ময়ে জিভ ভিতরে ঢুকে গেছে, হাঁপাতেও ভুলে গেছি! মনে হল, একেই বলে স্বর্গ! স্বপ্নের মতো সুন্দর! তৎক্ষণাৎ মনে হল, কার্তিকের পছন্দ ছিল। এমন জায়গায়ই তো তপস্যা করতে হয়! অপরূপা সুন্দরীর যেমন কোনও সংজ্ঞা হয় না, বিচার করা যায় না সে কতটা রূপসী, ঠিক তেমনই কার্তিক স্বামী।
মনে হল, আমরা সবাই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিশাল বিশাল ঘণ্টা ঝুলছে মন্দিরে প্রবেশ দ্বারে। কার্তিক স্বামীর রূপমাধুরী আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রূপকথার দেশে এসে পড়েছি হঠাৎই। ডানদিকে দৃষ্টি মেলতেই দেখি গাড়োয়াল হিমালয়ের প্রতিটি বরফ পাহাড় দৃশ্যমান। সেই তালিকায় আছে— বান্দরপুঁছ, কেদার ডোম, চৌখাম্বা, নীলকণ্ঠ, দ্রোণাগিরি, নন্দা ঘুন্টি, নন্দা দেবী, ত্রিশূল ইত্যাদি ইত্যাদি। বাঁদিকে কেবলই সবুজ। গাড়োয়ালের বৈশিষ্ট্যই হল তুষারের শুভ্রতা আর অরণ্যানীর সবুজ একসঙ্গে চোখে পড়ে। কার্তিক স্বামী আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয় গাড়োয়ালের রূপসৌন্দর্যর গোপন কথা!
কার্তিক স্বামীর রূপ-মাধুর্যের কথা ভাষায় অবর্ণনীয়! তাই সশরীরে প্রত্যক্ষ না-করলে উপভোগ করা যায় না। যেমন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে না। সুরা পান না-করে প্রকৃতির রূপ-মাধুর্য যে মাতাল করে দেয় তা কার্তিক স্বামী না-গেলে উপলব্ধি করতে পারতাম না! সেদিন অবশ্য প্রকৃতি আমাদের সঙ্গ দিয়েছিল। প্রকৃতি তার মনোলোভা রূপসৌন্দর্য মেলে ধরে আমাদের খুশি রেখেছিল। শীতে শরতের মেজাজ তুলে এনেছিল নীল আকাশ জুড়ে। ফেরার পথে কার্তিক স্বামী মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে দেখা। অত্যন্ত ভাল মানুষ। বললেন, “আবার আসবেন। আমার বাড়িতে থাকবেন। ভোরের কার্তিক স্বামী আরও বেশি সুন্দর, আরও মনোহর! তবে ভীষণ ঠান্ডা।।”
পুরোহিতের কাছে বিদায় নিয়ে জঙ্গলের পথ পেরিয়ে কনকচৌড়ির পথে যাত্রা করলাম। এবার আর লেপার্ড নয়, ভয় ভালুকের। বেলার দিকে শীতকালে নাকি ওপর থেকে ভালুক নামে। না, ভালুকের মুখোমুখি হতে হয়নি। বেশ খিদে লেগেছিল। সামান্য কিছু খেয়ে আবার রওনা দিলাম মণ্ডলের পথে। তবে যাওয়ার পথে উখিমঠ যাওয়ার আছে।
যাওয়ার আগে যোগাযোগ করতে পারেন গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম-এর সঙ্গে। যোগাযোগ:
উত্তরাখন্ড ট্যুরিজম ,৭/২ সি চক্রবেড়িয়া রোড,কলকাতা -২৫ ,ফোন -৯৮৩১১ ১০৯৯৯
মণ্ডলে থাকার জন্য ভগতের লজ। যোগাযোগের জন্য ফোন। ভগত:০৭৫৭৯২ ৫৭৮৮৩,প্রমোদ :০৭৫৯০৪১ ১০৩/০৯৭৫৬৫ ৫৪৩৩২
লেখক পরিচিতি – কমলেন্দু সরকার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সাংবাদিক। বহুদিন সাংবাদিকতা করছেন।একাধিক সর্বজনপ্রিয় পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ‘নষ্টস্বপ্ন’ এবং ‘জানালা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। চলচ্চিত্র সংক্রান্ত ‘সিনেমা নিয়ে নানারকম’,’সত্যজিৎ ঋত্বিক এবং মৃণাল’ দু’টি বইও আছে। ভ্রমণ বিষয়ক বই ‘বেড়ানো’ প্রকাশের পর প্রশংসিত।
শেয়ার করুন :