অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়ি সাজানোর সময় ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা যেখানে যা জরুরি এমন সব উপাদান ব্যবহার করেন।কিন্তু গুণী,প্রতিষ্ঠিত ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের নন্দনবোধে অভিজাত,রুচিশীল বাড়ির সাজের সঙ্গে একটা আসমান জমিন ফারাক আসে কারণ এনারা নতুন, অপ্রচলিত জায়গা খুঁজে সেখানকার রূপটানে এমন মেটেরিয়াল ব্যবহার করেন যা উৎকর্ষে,সুরুচিপূর্ণতায় আলাদা মাত্রা এনে দেয়।ইন্টেরিয়র ডেকোরের ক্ষেত্রে নানাধরণের কনস্ট্রাকশন মেটিরিয়াল আছে যা প্রচলিতভাবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় কিন্তু সৃজনশীলতার ঔৎকর্ষে এর অপ্রচলিত ব্যবহার দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে।
ল্যামিনেট শিটস এমনই বহুগুণসম্পন্ন উপযোগী উপাদান।নানাভাবে,নানাসাজে এর বিস্ময়কর ব্যবহার অবাক করার মত।প্রচলিতভাবে টেবিল টপস,কিচেন প্ল্যাঙ্কস এবং এইধরণের জায়গায় ব্যাবহার হলেও আজকালকার সৃষ্টিশীল ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে আশ্চর্য সুনিপুণ প্রয়োগ নৈপুণ্য তাক লাগিয়ে দেয়। এছাড়া এই নতুন প্রয়োগ সৃজনশীল,টেকসই আর দামে সাশ্রয়ী।
ল্যামিনেট শিটসের অপ্রতিম অনন্যতার কিছু হদিশ –
ফার্নিচার রিমডেলিং-এক্ষেত্রে দারুণ উপযোগী ল্যামিনেট শিটসের কোনও বিকল্প নেই।দীর্ঘদিন একঘেয়ে,ক্লান্তিকর ফার্নিচার সারফেসকে সৃজনী ল্যামিনেট শিটসে বদলে টোটাল মেকওভারে আশ্চর্য হয়ে যাবেন।আজকের দিনে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যখন আপনি ফার্নিচার বানিয়েছিলেন নিশ্চয় তার প্লাইউডের গুণমান ভাল ছিল তাই তার বেসিক মেটিরিয়াল উৎকৃষ্ট তাই শুধু সারফেসে বদলেই বাজিমাত।এর সম্ভার নানা রং,প্যাটার্ন আর টেক্সচারে সমৃদ্ধ।
স্প্ল্যাশব্যাকস-দেওয়ালের ফাঁকা জায়গার রূপটানে ল্যামিনেটস ব্যবহার করা যায়,একেই স্প্ল্যাশব্যাকস বলে।অভিনব অন্দরসাজের জন্য কেউ কেউ আলাদা এমন স্প্ল্যাশব্যাক ডেকোরেশনের সন্ধান করেন কিন্তু তার পরিবর্তে রংবেরঙের ল্যামিনেটসে স্প্ল্যাশব্যাকসে সাজাতে পারেন এবং বাড়ির শেলভে,ক্যাবিনেটের ফাঁকা অংশে এর ব্যবহার সৌন্দর্য্যের মার্জিত মাধুর্য বাড়িয়ে তোলে।হল এবং ডাইনিং রুমও ল্যামিনেটসের লাবণ্যে সেজে ওঠে। স্প্ল্যাশব্যাকসের ক্ষেত্রে ডিজাইনার টাইলসের ব্যবহার এখন পুরোনো আর সেকেলে,তার জায়গায় ল্যামিনেটসই লেটেস্ট ট্রেন্ড।
সৃজনী-ল্যামিনেশন কাজের শেষে অনেক টুকরো,অংশ বেঁচে যায়।তাকে বাতিল না করে ক্রিয়েটিভ,ইউনিক কোস্টার,ট্রে,ফ্রেম,টেবিল পিস্ বানানো যায়।আর এই সব টুকরো নিয়ে আপনি একটা অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টপিস্ সৃষ্টি করে তা সেলেবল কিনা ট্রাই করে নিতে পারেন।
ওয়াল আর্ট-এখানে কালার পেন্টিংয়ের কথা হচ্ছে না,ল্যামিনেটস দিয়ে সৃষ্টিশীল ওয়াল আর্ট বানানোর পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে।মাল্টিকালার ল্যামিনেটসের মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ সৃষ্টিশীলতায় অনন্য।দেওয়ালের রূপটানে মাল্টিপল ল্যামিনেটস প্যাটার্নের ব্যাবহার সম্ভ্রান্ত রুচিশীলতার পরিচয়।ছোট আকারের ল্যামিনেটস কন্ট্রাস্ট প্যাটার্ন তৈরী করতে অত্যন্ত উপযোগী আবার একই দেওয়ালে মাল্টিপল শেডস ব্যবহার করতে পারেন।
ফিচার ওয়াল আর ক্যাবিনেট- এখানে মূলত কন্ট্রাস্ট ওয়ালের কথা বলা হচ্ছে।ল্যামিনেটসের লেটেস্ট ট্রেন্ড অনুসারে ঘরের রঙের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দেওয়াল আর ক্যাবিনেট।ল্যামিনেটসের উদ্ভাবনী বৈচিত্রের কারণেই দৃষ্টিনন্দন দেওয়াল আর ক্যাবিনেটের প্রজ্বল প্রত্যয়।ল্যামিনেটসের মনোমুগ্ধকর বিপুল প্যাটার্ন আর ডিজাইনের ব্যাপ্তি সৃজনশীলতায় সহায়তা করে যার প্রয়োগ মূলত লিভিং রুম,অফিস,ডাইনিং রুম আর কিচেনে সমাদৃত।
শেষ কথা-প্রধান বিষয় হল ল্যামিনেটসের বিশাল বিপুল বৈচিত্র আর আপনার সৃজনশীল নির্বাচন।এর ব্যবহারের কোনও গাইডবুক নেই,এটা এমন একটা শিল্প যার উদ্ভাবনী প্রয়োগের কোনও নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই।উৎকর্ষে বহুমুখী আর বিভিন্ন ব্যবহার।চাই শুধু অনন্য রুচিমাধুর্য আর সঠিক জায়গা নির্বাচন। এমনও হতে পারে এর ব্যবহারে একটা নতুন বৈশিষ্ট আপনি নিজেই সৃষ্টি করে গেয়ে উঠলেন’ওহে সুন্দর মম গৃহে আজি পরমোৎসব..’।
বিশদে জানতে ক্লিক করুন-
https://www.centuryply.com/eshop/kolkata/laminate
শেয়ার করুন :