Diet Plan in Covid Time: করোনাকালে শরীর আর মনের ডায়েট প্ল্যান -

ফটো-শাটারস্টক

Diet Plan in Covid Time: করোনাকালে শরীর আর মনের ডায়েট প্ল্যান

হু,আইসিএমআর,সিডিসি,বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান আর সাইকোলজিস্টদের জরুরি পরামর্শ।

এই ভয়ঙ্কর ভয়াবহ অতিমারির সময়ে আমাদের শরীর ও মন সুস্থ্য রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।হু,আইসিএমআর,সিডিসি,বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান আর সাইকোলজিস্টদের জরুরি পরামর্শ-

শরীরের ডায়েট প্ল্যান

নিউট্রিশন করোনা রুখতে আর আক্রান্তদের জন্য খুব জরুরি তাই রোজকার ডায়েটে নিউট্রিশনাল খাবার রাখা উচিত। হোল গ্রেন ফুড যেমন রাগি, ওটস, চিকেন, ডিম, মাছ,মাংস,পনির, বাদাম, অলিভ, সর্ষের তেল,লেবু,আমলকি, দুধে একটু হলুদ খাওয়া ভাল।ভিটামিন আর মিনারেলসের জন্য সব ধরণের ফল, শাকসব্জি,ডার্ক চকোলেট ইমিউনিটি বুস্টারে সাহায্য করবে।

ব্রেকফাস্ট -পোহা/ইডলি-সম্বর/পিনাট বাটার টোস্ট/ডিম/চিল্লা/উপমা/দুধে একটু হলুদ,আদা কুচি/কলা।               

লাঞ্চ-অমরনাথ রাইস/মাল্টিগ্রেন চাপাটি,খিচুড়ি/ টফু/ডাল,সব্জি,হাল্কা মাছের ঝোল/চিকেন,টক দই।           

বিকেলের স্ন্যাক্স- গ্রিন টি,ভেজ/চিকেন স্যুপ/স্প্রাউটস চাট।

ডিনার-ভাত/রুটি,সোয়া বিন/পনির/ছানা/চিকেন/স্যালাড।

  • দিনে অন্তত ৭/৮ গ্লাস জল,স্টিম ভেপার (বাইরে থেকে এলে অবশ্যই আর বাড়িতে দিনে দুবার,নাক দিয়ে বেশিবার),তুলসী পাতা,ষ্টার অ্যানিস,আদা,রসুন থেঁতো করে গরম জলে ফুটিয়ে সেই ড্রিঙ্ক।   
  • দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরে রোদ লাগান।রান্নায় বেশি তেলমশলা এড়িয়ে চলুন।
  • এই সময়ে প্রসেসড,প্যাকেজড ফুড এড়িয়ে চলা ভাল।
  • নুন,চিনির মাত্রা কম থাকা শ্রেয়।       

মনের ডায়েট প্ল্যান

  • রোজ করোনা মৃত্যুর খবরে,পরিসংখ্যানে নজর দেবেন না।এটা ক্রিকেটের স্কোর নয়।
  • যে কোনও আতঙ্ক ছড়ানো,অবসাদ,হতাশার আলোচনা আপনার ধারেকাছে কাউকে করতে দেবেন না।
  • ফেসবুক,হোয়াটস্যাপে ফেকনিউজ,হতাশা,আতঙ্ক সৃষ্টি পোস্ট,মেসেজ এড়িয়ে চলুন,ব্লক করে দিন।
  • সর্বক্ষণ আতঙ্ক,হতাশা,অবসাদ নিয়ে কথা বলা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন নয়তো তাদের স্পষ্ট করে দিন এই নিয়ে কোনও আলোচনা না করতে।
  • দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শান্ত হয়ে মেডিটেশন করুন।পছন্দের গান শুনুন,বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।
  • বই পড়ুন।
  • পুরোনো ফেলে আসা অভ্যেস আবার শুরু করুন।ছবি আঁকা,ইন্ডোর গেম্স্,সঙ্গীত।
  • কথা বলায় সতর্ক থাকুন। সারাদিনে বাড়িতে, অফিসে,বাইরে কথা বলার সময় শান্ত ও মৃদুস্বরে কথা বলার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।চিৎকার করে,কর্কশ শব্দ প্রয়োগ কখনই নয়। রিসার্চে প্রমাণিত এতে মেন্টাল স্ট্রেস বেড়ে যায়।মুড লিফটার্স প্রতিষ্ঠানের সি ই ও ডঃ ডেলডিন জানালেন কথা বলার ভাষা ও শব্দের ব্যবহার আপনার অনুভূতি আর আশেপাশের সবাইকে শান্ত ও প্রভাবিত করে।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *