পৃথিবীর বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে।পক্ষে বিপক্ষে কি বলছেন ?
পক্ষে:
- ইতালির ইনফেকসাস ডিজিজ পলিক্লিনিকো সান মার্টিনোর প্রফেসর মারিও বসেত্তি ব্রিটিশ কাগজ দ্য টেলিগ্রাফ কে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যত দিন যাচ্ছে এই করোনাভাইরাসের মারণ ক্ষমতার তীব্রতা হিংস্র বাঘ থেকে বুনো বেড়ালে পরিণত হচ্ছে।এর স্বপক্ষে কারণ দেখাতে উনি বলেনঃ
১) আগের থেকে অনেক বেশি লোক সুস্থ্য হয়ে উঠছেন
২) অনেক বয়ষ্ক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
৩) আগের মতো আক্রান্তদের ভেন্টিলেটর নির্ভরতা কমছে।
- উনি আরও বলেছেন সম্ভবত ভাইরাসটি তার প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে,ফলে লাংসের ট্র্যাক্টের ওপর কম চাপ ফেলছে এই ভাইরাস এর সম্ভাব্য কারণ জেনেটিক মিউটেশন কিন্তু সেটা পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয় আর তা ছাড়া লকডাউন.মাস্ক পরা আর ফিজিক্যাল ডিস্ট্যানসিং রাখায় সাধারণের মধ্যে ভাইরাল লোড কমেছে।
- ব্রিটিশ ক্যান্সার এক্সপার্ট এবং রাদারফোর্ড হেলথের মেডিকেল হেড প্রফেসর ক্যারল সিকোরা বলেছেন ‘আমরা লক্ষ্য করছি ব্রিটিশ জনসাধারণের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের থেকে বাড়ছে।
- ইতালির মিলানের সান রাফায়েল হসপিটালের প্রধান ডক্টর আলবার্তো জাংগ্রিলো রাই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রফেসর বসেত্তির সঙ্গে একমত হয়ে বলেছেন এই ভাইরাস এখন তার মারণ ক্ষমতা অনেকটা হারিয়েছে।উনি এটাও দাবি করেছেন যে ইতালিতে এখন এই ভাইরাস প্রায় নেই বললেই চলে।
বিপক্ষে :
- ইতালির সরকার এই দাবির এত তাড়াতাড়ি মান্যতা দিতে নারাজ।
- গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর অস্কার ম্যাকলিওন প্রফেসর বসেত্তির আর ডক্টর জাংগ্রিলোর তত্ব মানতে নারাজ কারণ উনি বলছেন এখনও ভাইরাস দুর্বল হওয়ার পক্ষে অকাট্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার প্রমাণ আসেনি আর এই মারণব্যাধিকে এখনই এত কম গুরুত্ব দেওয়া একদম ঠিক নয় কারণ বৃহত্তর সমাজের পক্ষে তা ক্ষতিকর হবে।
- WHO কিন্তু প্রফেসর বসেত্তির যুক্তি যে ইতালি তে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই তার কোনো মান্যতা দেয়নি আর জানিয়েছে এটা এখনও একটা কিলার ভাইরাস।
- কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের ডক্টরেট প্রফেসর মার্ক ক্যামেরন বলেছেন ‘ভাইরোলজির একটা গোল্ডেন রুল হল যে ভাইরাস কমিউনিটিতে সার্কুলেট করে তা চেঞ্জ এবং মিউটেট করলেও তার মানুষের মধ্যে মারণ সংক্রমণতা দুর্বল হতে অনেক সময় লাগে।’
সম্প্রতি গত মাস থেকে খবরে প্রকাশ অপেক্ষাকৃত বয়স্ক মানুষরা করোনা আক্রান্ত হয়েও সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসছেন যার মধ্যে ৮০ বছরের বৃদ্ধাও আছেন,একদিনে সুস্থতার হার সংক্রমণের হারের থেকে বেশির খবরে সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখছেন কিন্তু তা বলে সুরক্ষা,সাবধানতা একদম কমালে চলবে না।
পক্ষে বিপক্ষে সকলে একমত যে মাস্ক,ফেস শিল্ড পরে থাকলে,স্যানিটাইজার, ডিসিনফেক্ট্যান্ট ব্যাবহার,ফিজিক্যাল ডিস্টেন্স রেখে চললে, নিয়মিত সাবান জলে হাত ধুলে আর সুরক্ষা মেনে চললে অনেকাংশে এই রোগ এড়ানো যাচ্ছে এটাই সবচেয়ে স্বস্তির খবর।
তথ্যসূত্র: থমসন রয়টার্স,দ্য টেলিগ্রাফ-ইউ কে, ওয়েবএমডি, WHO
বিশেষ ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা আর সহায়তা পাওয়া যাবে।এছাড়া থাকছে টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২ • টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১ • কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯।
শেয়ার করুন :