শীতের আমেজ এসে গেছে আর গত দু বছরের কঠিন অতিমারি নির্বাসনে ওষ্ঠাগত প্রাণ সতেজ সবুজ করতে আপাত অজানা এই স্পটে ঘুরে আসুন।
বৃন্দাবনপুর -প্রকৃতিপ্রেমী দেবাশিস বনার্জী আয়োজন করেছেন এই ২ দিন ১ রাতের ট্রেইল ট্রিপ।শীতের রাতে শহরের কোলাহল থেকে দূরে নিশুতি রাতে ঝিঁঝি আর রাতজাগা পাখির ডাক,ক্যাম্পফায়ার,ঝলসানো মুরগি,রাতে জঙ্গল টহল।তারিখ ২৬/১১-২৭/১১ ।বিশদে জানতে ফোন করুন – 8447745964
মধুপুর– বাঙালির শীতকালের এককালের সবচেয়ে পছন্দের,আগেকার দিনে চেঞ্জে যাওয়ার অন্যতম প্রসিদ্ধ মধুপুর এখনও সমান আকর্ষণীয়। শিমুল, শাল মহুয়ার জঙ্গল,মিষ্টি জল,স্নিগ্ধ বাতাস, পাতরোলের কষ্টিপাথরের কালীমূর্তি,আশু ঘোষের সোনার বাংলা,শেখপুরা,তপোবন হিল,নন্দন পার্ক,পুরানদাহ ড্যাম, ময়ূরাক্ষী নদী।
মধুপুরের অন্যতম উৎকৃষ্ট শেঠ লজে থাকার তৃপ্তি আর আনন্দ পুরনো জমিদারবাড়িতে থাকার সমতুল্য।এনাদের অতিথিয়তার তুলনা মেলা ভার। যোগাযোগ – 9330116366
পূর্বা এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে সকাল ৮টায় ছেড়ে ১১.৫০ এ মধুপুর পৌঁছয় আর ফেরার সময় দুপুর ১২,১৫ মধুপুর আর ৫টায় হাওড়া।
অচেনা বুরুল-সপ্তাহান্তের ১/২ দিনের অবসরে ঘুরে আসতে পারেন গঙ্গার ধারে নিজের বাড়ির মতো পরিবেশে। একটা দোতলা বাগানবাড়ি, সামনে বাগান, মোট ৩ টে ঘর। ২ টি এসি ঘর দোতলায়, একটি নন এসি ঘর একতলায়। মোটামুটি 10 জন থাকতে পারবেন। বাড়ির সামনে একটা ছোট পাকা রাস্তা, তার পরেই বিশাল গঙ্গা। দোতলার বারান্দা থেকেই দেখতে পাবেন গঙ্গা দিয়ে ভেসেল (মালবাহী জাহাজ) এর আনাগোনা। ছাদে উঠলে ৩৬ ০ ডিগ্রি ভিউ। খাবারের মান অসাধারণ (বিশেষ করে বাসন্তী পোলাও, কচি পাঁঠার ঝোল আর শুক্তো তো এখনো মুখে লেগে আছে)।কলকাতা থেকে মাত্র 45 কিলোমিটার দূরে, রুচিসম্মত ভাবে সাজানো গোছানো ছিমছাম বাড়িটির নাম “বুরুল বাড়ী”।স্থানীয়রা একে হাতিবাড়ি নামেও চেনে।
পথনির্দেশ: ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে জোকা ডায়মন্ড পার্কের ঠিক আগে ডানদিকে জোকা ক্যানেল রোড ধরুন। তারপর সোজা রসপুঞ্জ-বাখরাহাট-ডোঙারিয়া হয়ে বুরুল। এছাড়া ট্রেনে এলে, বজবজ স্টেশনে নেমে বুরুলের ম্যাজিক গাড়ি ধরতে হবে।যোগাযোগ:শ্রী উৎপল সরকার 9831488888, 9831588888।সৌজন্য- দীপাঞ্জন হালদার।
কাটা সাহেবের নীল কুঠিতে এক রাত– গা ছমছমে নিরিবিলি জায়গা,সঙ্গে ইছামতী নদীতে নৌকাবিহার, বনফায়ার,ব্যাম্বু চিকেন, হ্যারিকেন-এর আলোয় নীলকুঠি আর ভুতের গল্প।
কোথায় থাকবেন -মঙ্গলগঞ্জ ব্যাকপ্যাকার্স ভিলা, বুক করবেন – www.izifiso .com
কীভাবে যাবেন – চাকদহ স্টেশন নেমে, ডিরেক্ট অটো বুক করে ক্যাম্প পর্যন্ত। সেটা, বনগাঁ লাইন হয়েও আসা যায়,সেক্ষেত্রে গাংনাপুর স্টেশন হয়ে যাওয়া যায়।7047666145- অটো দাদার নাম্বার।সৌজন্য- জয়ী রয়।
বগুরান জলপাই – শুধু নির্জন সমুদ্র সৈকত আর ঝাউবনের ঘন অরণ্য। লাল কাঁকড়ার দল,মৎস্যজীবীদের গ্রাম,মাছ ধরার গল্প,রাতে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ। ভিড়ভাট্টা,কোলাহল থেকে দূরে।কলকাতা থেকে ৪ ঘন্টার দূরত্বে এই ট্যুরিস্ট স্পট মন জিতে নিয়েছে পর্যটকদের।নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে,অপরূপ সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্যে মন প্রাণ সতেজ করতে আসতে হবে বগুরান জলপাই। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর নির্জন পরিবেশ।৫ কিলোমিটারের মধ্যে জুনপুট।
কীভাবে যাবেন- ট্রেনে বাসে দিঘা পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে, এছাড়া কাঁথি স্টেশনে নেমে অটো,টোটো,প্রাইভেট গাড়ি।
কোথায় থাকবেন – সাগর নিরালায় গেস্ট হাউস। ফোন- 9434012200
শেয়ার করুন :