‘… মণিমালিকা সমস্ত রাত ধরিয়া একটি একটি করিয়া তাহার সমস্ত গহনা সর্বাঙ্গ ভরিয়া পরিয়াছে। মাথা হইতে পা পর্যন্ত আর স্থান ছিল না। বাক্সে করিয়া গহনা লইলে সে বাক্স হাতছাড়া হইয়া যাইতে পারে, এ আশঙ্কা তাহার ছিল। কিন্তু গায়ে পরিয়া গেলে তাহাকে না বধ করিয়া সে গহনা কেহ লইতে পারিবে না।… গহনার ঝমঝম শব্দ শোনা গেল। ঠিক মনে হইল শব্দটা নদীর ঘাটের উপর হইতে উঠিয়া আসিতেছে।‘-মণিহারা-রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে’গয়নার বাক্স’ ছবিতে খাণ্ডারনী পিসিমা রাসমণির নিজের গয়নার আকর্ষণে আর মোহে কি তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছিলেন মনে আছে নিশ্চয়।সোনার গয়নার প্রতি আকর্ষণ আবহমান।বিয়ে,পার্টি, উৎসবে, পুজোয় সোনার গয়নার বৈচিত্রময় অলঙ্কারে আগ্রহী ৮-৮০ সবাই।
সোনার গয়না পরার সময় খেয়াল রাখা উচিত:
১) গরমকালে আর শীতকালে আবহাওয়া অনুযায়ী গয়না পরা ভাল।
২)গয়না যেন আপনার পোশাক আর সৌন্দর্যের চেয়ে বাড়তি না হয়।
৩)গয়না,পোশাক আর আপনার ব্যক্তিত্বর সমন্বয় আভিজাত্য আর রুচির প্রকাশ বৃদ্ধি করে।
৪)পুরোনো গয়না মানেই আউটডেটেড নয় ,তারও ঐতিহ্য আর মর্যাদা আছে।
৫)একটু আধটু এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে, যেমন ঝুমকো দলের সঙ্গে হাল্কা ব্রেসলেট।
৬)কখনও গয়না পরে সুগন্ধি বা পারফিউম মাখবেন না। এতে গয়নার উজ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।পারফিউম লাগানোর পর গয়না পরুন।
গয়নার যত্নে:
১)সোনার গয়না সাদা কাগজে মুড়ে রাখতে হয় আর একসঙ্গে সোনার আর রুপোর গয়না রাখা ঠিক নয়।
২) দু তিন বছর অন্তর গয়নাগুলি জুয়েলারি দোকান থেকে পালিশ করে নিতে পারেন।
৩)বাড়িতে ৪/৫ মাস অন্তর সাবানজলে ব্রাশ দিয়ে হাল্কা ঘষে গয়না পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এর পরে হলুদ দেওয়া জলে ধুয়ে নিন তাতে গয়নার সোনালিভাব বাড়বে।
৪) সোনার গয়নার উজ্বলতা ফিরিয়ে আনতে গরম জলে গুঁড়ো সাবান আর অ্যামোনিয়া দিয়ে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।এরপর নরম ব্রাশ দিয়ে গয়না ঘষে নিয়ে শুকনো কাপড়ে মুছে দেখবেন নতুন গয়নার মত ঝকঝক করছে।
শেয়ার করুন :