নেটফ্লিক্স অরিজিনাল। নির্দেশনা:অনুরাগ বসু।অভিনয়:অভিষেক বচ্চন,রাজকুমার রাও,পঙ্কজ ত্রিপাঠি,আদিত্য রয় কাপুর।১২ নভেম্বর।
এক দিনেই সুপারহিট। রেটিংঃ ৪/৫
জগ্গা জাসুসের তিন বছর পর অনুরাগ বসু ফিরছেন ‘লুডো’ ছবিতে যা ১২ নভেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে।৪টে ভিন্নস্বাদের গল্প যার অনুপ্রেরণা লুডো খেলা থেকে,যেখানে ট্রেডমার্ক অনুরাগ বসুর ডার্ক কমেডির স্বাদ পাওয়া যাবে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানালেন তার মনে হয়েছে লুডো খেলার সঙ্গে জীবনের আশ্চর্য মিল আছে যেটা দুই বা তিনটে ভিন্নস্বাদের জঁরে বলা যায়।এর স্বাদ আর ন্যারেটিভ আলাদা।
এটা ছবি তৈরির এমন একটা টেরিটরি যেখানে আগে যাওয়া হয়নি।লুডো যে পরের ফিল্ম হবে সেটা নিয়েও খুব ভাবনা চিন্তা করা হয়নি।তিনটে স্ক্রিপ্ট ছিল,সাধারণত কোনও আইডিয়া স্ত্রী তানি আর সংগীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে আলোচনা হতে ওরাই বলল ‘লুডো’ই পরের ছবি হওয়া উচিত আর তাই হল।প্রীতম সবক্ষেত্রেই বাউন্সিং বোর্ডের ভূমিকা নেয় আর এটা বেশ কাজে দেয় আর সুবিধে হল মিউজিক সিটিংও একসঙ্গে হয়ে যায়।
‘লুডো’ একটা হালকা চালের মজার ছবি যার প্রাথমিক নির্যাস হল মানুষের জীবন আর চরিত্র সব নানা রঙের লুডোর ঘুঁটির মত কিন্তু সবাই একই জায়গায় পৌঁছতে চায়।লুডো এখানে রূপক। চারটে ভিন্নস্বাদের গল্পে একটা ছিটিয়াল ক্রিমিনাল,অ্যামেচার কিডন্যাপার (ট্রেলরে দুর্দান্ত অভিষেক), ইমোশনাল রোহিত নীরবতায় বাঙময়।
চারটে গল্পে চার রকম কালার ট্রিটমেন্ট করা হয়েছে।অভিষেকের গল্পে লাল কারণ রাগ আর ভালোবাসার রং,আদিত্য রায় কাপুরের গল্পে শান্তি,সূর্যের আলোর মত তাই হলুদ রং,রোহিত সরাফের গল্পে প্রত্যাশা তাই নীল আর রাজকুমার রাওয়ের অনিশ্চিয়তার গল্পের রং সবুজ।
আর এইসবের মধ্যে একমেবদ্বিতীয়ম ঘুঁটি হল এখনকার ওটিটি কিং পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
অনুরাগের বড় হয়ে ওঠার শহর ভিলাই এসেছে এখানে এবং পরিচালকের কথায় তিনি সুযোগ খোঁজেন ভিলাই শহরকে কোনওভাবে ছবিতে আনতে,এখানেও এসেছে সুপেলা চক।
অনুরাগের মতে এই প্যানডেমিকে এতসব খারাপ নৈরাশ্য আর হতাশার মধ্যে একটা খুব ভাল দিক হল দর্শকেরা নানা স্বাদের,নানা জঁরের ছবি আর ওয়েব সিরিজ দেখার ফলে নির্দেশকদের কাছে একটা বড় ভাল চ্যালেঞ্জ তাদের ভাল লাগা যেটা সিনেমার পক্ষে খুব ভাল।
ছবির দারুণ ট্রেলরঃ
শেয়ার করুন :