গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে এক দিনে প্রায় ৪৫০০ আক্রান্ত।পশ্চিমবাংলায় রেকর্ড সংক্রমণ হওয়া সত্ত্বেও এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনও করোনা সতর্কতা ও সুরক্ষা বিধিনিষেধ নিয়ে ভয়ঙ্কর বেপরোয়া ও উদাসীন এবং বিশেষজ্ঞদের মতে সেই কারণেই পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন হাসপাতালে বেড বাড়ানো এবং সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।এদিকে রাজ্যে ভ্যাকসিনের চাহিদা বাড়লেও কমছে যোগান।আগের সময় সংক্রমণের হার ৩০/৪০% থেকে বেড়ে এখন ৭০/৮০% হয়ে গেছে। এমস অধিকর্তা জানাচ্ছেন বাচ্চাদের এবং তরুণদের ভ্যাকসিনের সেফ এফেক্টিভ ডোজ নিয়ে অস্ট্রোজেনকা এবং ভারত বায়োটেক কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
হু,এমস,সিডিসির পরামর্শ-
- আপনার বয়স ৪৫ হলে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নিন।
- কাজ কর্ম ছাড়া বাইরে ভিড়ে বেরোনো বন্ধ করুন।
- বাচ্চা এবং বয়স্কদের এই সময় একদম ভিড়ে বেরোতে দেবেন না।
- নিজের এবং আপনার পরিবারের জন্য সমস্ত কোভিড সুরক্ষা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলুন। মাস্ক,স্যানিটাইজার,ভেপার,প্রোটিন,ভিটামিন সি,বাইরের জিনিসপত্র ডিসিনফেক্টর স্প্রে দেওয়া।
- বাইরে কখনো চোখে মুখে হাত দেবেন না।
- বাড়ি ফিরে সাবান জলে হাত মুখ ধুয়ে নিন।ব্যবহৃত জামাকাপড় কাচতে দিন।
- খুব গরম জলে চান করলে করোনা চলে যায়,মশা থেকে করোনা সংক্রমিত হয়,নিয়মিত রসুন খেলে করোনা হবে না এগুলো ভ্রান্ত ধারণা।
- সম্প্রতি বয়স্কদের পাশাপাশি ইয়াং জেনরাও করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
- অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই করোনা হবে না এই ভুল ধারণায় থাকবেন না।করোনা একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া নয়।
- দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে অক্সিজেন ডেফিসিয়েন্সি হয় না। অস্বস্তি হলে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষন মাস্ক খুলে আবার পরে নিন।
- এখন যে কোনও নিমন্ত্রণ,অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলাই ভাল।
শেয়ার করুন :