সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল বেথুন কলেজ সম্মিলনী (প্রাক্তনী সমিতি) শতবর্ষ উদযাপন। নারীশিক্ষার প্রচার ও প্রসারে বাঙালির ইতিহাসে অগ্রণী বেথুন কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্ব অমূল্য আর অপরিসীম এ আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকেও অকল্পনীয় ১৮৭৯ সালে পরীক্ষায় পাশ করে কাদম্বিনী বসু উচশিক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তার স্বীকৃতিতে বেথুন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।একজন মাত্র ছাত্রী কাদম্বিনী বসুকে নিয়ে কলেজের শুরু সম্ভবত বিরল।
শতাব্দী প্রাচীন বেথুন কলেজের বর্ণময় প্রাক্তনীদের তালিকায় দীপ্তিময়ী অবলা বোস, সরলাদেবী চৌধুরানী, স্বর্ণকুমারীদেবী,কল্পনা দত্ত, লীলা রায়, অমিয়া ঠাকুর,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এমন অনেক মহীয়সীর নাম সমুজ্জ্বল।
‘বেথুন কলেজ সম্মিলনীর’ (প্রাক্তনী সমিতি) সূচনা হয়েছিল শতবর্ষ আগে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে।গত বছরে ‘প্রণমি তোমারে’ শীর্ষক একটি অনলাইন আনন্দ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল শতবর্ষ সূচনা লগ্নে প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যক্ষা,অধ্যাপিকা,ছাত্রীদের মিলিত প্রয়াসে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হল বেথুন কলেজ সন্মিলনীর(প্রাক্তনী সমিতি) “আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে” শীর্ষক অনুষ্ঠান।কথা, কবিতা,গান, নৃত্য এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদিত হয় এই অনুষ্ঠানে।সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীপর্ণা রায়, দেবলীনা মিশ্র, সভানেত্রীর ভাষণে অধ্যাপিকা মীনাক্ষী সিংহ মনোরম গানে পূর্বা মুখার্জী,ঐশ্বর্য মুখার্জী, সোমালি ভট্টাচার্য,সাবলীল আবৃত্তিতে তিথি দাস,প্রণামী বসাক,পম্পিয়া বসু,নৃত্য পরিবেশনায় সুকন্যা রায়, ফিরদৌসী বসু, শ্রদ্ধাঞ্জলিতে শতাক্ষী কুণ্ডু ও অধ্যাপিকা অনিন্দিতা দত্তর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে এই সুমধুর অনুষ্ঠান পূর্ণতা পায়।
শেয়ার করুন :