সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়
– হতভাগা, যাওয়ার নামগন্ধ নেই।
– হ্যাঁ দেখ কোনও আত্মসম্মান নেই !
– কী নাছোড় রে বাবা ?
– ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারতে হয়।
মিনিট দশেক লেট হয়েছিল আজ বাইরের ঘরে ঢুকতে।আসলে গরম তেলে বেগুনি ছাড়তে পাড়ার অমল ঠিক সাড়ে তেরো সেকেন্ড দেরি করেছিল।আর তাতে আমি লেট।
প্রথম ঢুকে বেশ ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছিলাম।আজকের আলোচনা তো মনে হচ্ছে আমার সিলেবাসের বাইরে।ঠিক যেমন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে অঙ্কের প্রশ্ন দেখে ব্যোমকে গিয়েছিলাম।একে রবিবার,তায় আমাদের বাইরের ঘর।আমার কাছে প্রায় প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।একটু দোনামোনা করেই পাশে বসে থাকা খুড়তুতো বোন টুসকিকে আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম, কী নিয়ে শুরু হল ?
মুখ বেঁকিয়ে টুসকি উত্তর দিল,’কী আবার ওই করোনা। দেখিস দাদা ভাই আমি চিনকে কোনও দিন ক্ষমা করব না।আমি চিনকে বয়কট করবই করব।চাকরি পেলেও আমি ওদের দেশে যাব না।ব্যাটাদের জন্য আমার নতুন লিপস্টিক এখনও ঠোঁটে দেওয়া হয়নি। কত শখ করে কলেজের জন্য ওই লিপস্টিক কিনেছিলাম।আর দেখ,বাড়িতেও নাকের উপর মাস্ক পড়ে ঘুরতে হচ্ছে।’
৩৩/১ সমর সরণি।শরৎস্মৃতি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হল,আর এই বাড়ির ভিত গাঁথার কাজ শুরু হল।পাঁচ ছেলে আর পাঁচ মেয়ের জন্য এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন সদাগরি আপিসের ডাকসাইটের বড় বাবু আমার প্রপিতামহ শরৎ মুখুজ্যে।সেই থেকে এখনও এই বাড়ি মুখ্যুজেদের ইউনাইটেড কিংডম।আর ইউএসপি এই বাইরের ঘর।ছোট থেকে এই ঘর আমার কাছে অন্য রোমান্স।কখনও রাষ্ট্রসংঘ থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।কখনও আবার মোহনবাগান মাঠ থেকে মেলবোর্ন।মেলো ড্রামা থেকে টানটান অ্যাকশন থ্রিলার- সবকিছুই পাওয়া যায় এই ঘরের মধ্যে।
সুনাম যেমন আছে, তেমন সাত রাউন্ড চায়ের পর এই বাড়ির বাইরের ঘর নিয়ে পাড়ায় দুর্নামও পাড়ায় কিছু কম নয়।হাসির রোল উঠলে, গোটা পাড়া কাটলেট হয়ে যায়।সেদিন এই বাড়ির দিকে কাকপক্ষী মাড়ায় না।আর উত্তম না অমিতাভ, মৃণাল না সত্যজিৎ, সানি না সচিন, সুচিত্রা না রেখা-এই নিয়ে তর্কে গলার শিরার যখন রগ ফোলে, তখন সিঁটিয়ে যান পাড়ার দজ্জাল দারোগা গিন্নিও।
বুঝতে পারছি এহেন বাইরের ঘরে আজ মিশন করোনা।বুঝলাম, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই চিনের শ্রাদ্ধ হবে।পাঁচ থেকে দশ মিনিটেই মধ্যেই আমার বামপন্থী ছোটকাকার সঙ্গে লেগে যাবে ডান ও উদার অর্থনীতিতে বিশ্বাসী রাঙা কাকার।এরমধ্যেই পাশের দাসদের বাড়িতে তারস্বরে চলছে আশা ভোঁশলের গলায়- দিল জ্বালোকা দিল জ্বালাকে ক্যায়া মিলেগা দিল রুবা….
‘আর দিল…হাড়মাস সবার কালি হয়ে গেল, এখনও আশা ভোঁশলে দিলেই পড়ে আছেন।’ বেশ খিঁচিয়েই বলল রাঙা পিসি।’আজ একটা হেস্তনেস্ত দেখেই ছাড়ব। ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি। দেশে কী চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে কিছু নেই।’
‘কোথায় রে, কোথায় আছে একটু বলবি।’উত্তর দেয় পিসিমনি,’বলি সকালে এক ওষুধ বললে, বিকেলে আর এক ওষুধের কথা বলছে।তারপর পরের দিন সকালে বলছে না বিকেলের ওষুধ খাবেন না। আবার ওই সকালের ওষুধ খান। এটা কী মসকরা হচ্ছে।আর আমেরিকা থেকে লন্ডন-সবাইকে জিগেস করে দেখ,কোথায় আছেন, সবাই বলছে এই তো ল্যাবটোরিতে কাজ করছি।যেন সবাই এক, একটা অশ্বিনী কুমার।’
পিসিমনির কথায় বুঝতে পারলাম এই ক’দিন হাতিবাগান যাওয়া হয়নি।বাংলা সিনেমার ওপেনিং ডে ওপেনিং শো দেখা হয়নি।তার থেকেও বড় কথা এ সবই মালঞ্চর গরম গরম ফিস কবিরাজি মিস করার হতাশা।
সময় নষ্ট না করে দেরাজের উপর রাখা খবরের কাগজে অমলের তেলেভাজা ঢালতে গিয়ে সবার দিকে একবার চেয়ে নিলাম।দেখলাম বড়ই উদাস সেজ দাদু।তাঁর ভাল নাম সন্তোষ। বাড়িতে সবাই তাঁকে সন্তু বলেই ডাকে।রবিবার মানে আশু বাবুর বাজার তাঁর কাছে ময়দান। ছ’টা থেকে সাতটা, তিনি ডন ব্র্যাডম্যান। ন’টা থেকে দশটা, তিনি চুনী গোস্বামী। আর এগারোটা থেকে বারোটার স্লগ ওভারে সাতাত্তরের সেজ বাবু (আশু বাবুর বাজার এই নামেই ডাকে) এক্কেবারে কিং কোহলি।অন্যদিন যাই হোক না কেন, রবিবার মানে তাঁর তিনবার বাজার যাওয়া চাই-ই। আর বারে বারেই তিনি দোকানিদের কাছে ত্রাস।এহেন মানুষটাকে দেখলাম বাইরের উদাস মনে নিজের গালের দাঁড়ি ছিঁড়তে।
‘সেই বাষট্টি সাল থেকে এই দেশটা আমাদের জ্বালাচ্ছে।’বেশ গম্ভীর মুখে বললেন মেজ দাদু। স্বস্তি দিলে না।’ঠিক বলেছ মেজ জ্যেঠু।’বলে উঠল রাঙা পিসি।’নিজেরা মরবি মর, বাকিদের সঙ্গে নেওয়ার কী ছিল ?’যোগ করল পিসিমনি।
‘আপদ কবে বিদায় নেবে বলত ? আমি বড়ি দিতে পারছি না।আর ভাল লাগে না।’দু’মুঠো মুড়ি তুলে সবাইকে জিগ্যেস করে পিসি দিদা।’ঠিক বলেছো মেজদি, এখন তো লোককে ফোন করতেও ঘেন্না ধরে গিয়েছে।’
‘এই তো ক’দিন আগে বাপের বাড়ির খবর নেব বলে বড়দাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু করোনা নিয়ে মিনিট খানেক এমন বাণী শোনাল, যে বড়দাকে কী জিগেস করব সেটাই ভুলে গেলাম।‘ প্রিয় বেগুনি কামড়ে বলল আমার সেজ দিদা। ‘শুধু ফোনের কথা কেন বলছ সেজ দি।জীবনে যে এতবার হাত ধুতে হবে তা কী কস্মিনকালে ভেবেছিলাম ?এবার তো কর্পোরেশন জল বন্ধ করে দেবে।‘
ছোট দিদার কথা শুনে আমরা সবাই অবাক।আমাদের বাড়িতে পিটপিটানিতে তাঁর কোনও জুড়ি নেই। সকাল থেকে রাত তাঁর পিটপিটানিতে আমাদের বাড়ির বিড়াল সুন্দরী কার্নিশের নীচে নামে না। কবে যেন একবার উঠোনে নেমে কী যেন একটা ছুঁয়ে ছিল। তারপর তাকে নাকি ফিনাইলের জলে স্নান করিয়েছিল ছোট দিদি। আর ব্যস, তাতেই সব লোম ঝরে সুন্দরী এখন কার্নিশেই বসে থাকে। দু’বেলা পিসি দিদা ডাকলে শুধু খেতে নামে। সেই ছোটদিদার হাত ধোঁয়ার অনীহা দেখে আমরা সবাই চুপ। বিষম খেল টুসকি। বুঝলাম করোনা কঠিন জিনিস।
প্রতি রবিবার নিয়ম করে ঝুলপি ঠিক করে ছোট দাদু। নিয়ম করে এসে চাঁচা ঝুলপির উপর ফের চেঁচে দেয় নাপিত কানাই।একদিন কানাই বলেই ফেলল,’ছোটবাবু ঝুলপিটা একটু বড় হতে দিন।তারপর নয়….।’সে কি রাগ ছোটদাদুর।’চোপ, আমার ঝুলপি তুই ঠিক করবি। হতভাগা।’বাইরের ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছোট দাদুর আক্ষেপ,’দেখছো আমার ঝুলপিটা।কি দশা হয়েছে। জানি না কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। ভয় হচ্ছে আমি না ঝুলপিতে পা আটকে পড়ে যাই।’
এতক্ষপ চুপ করেছিল ছোট কাকা। আর পারল না।এরমধ্যে অমলের তেলেভাজা শেষ। মুড়ি উঠে গিয়েছে।দু’রাউন্ড চা হয়ে গিয়েছে।তৃতীয় রাউন্ডের জন্য বলা হয়েছে।কে করবে, অন্দরমহল থেকে গ্রিন সিগন্যাল আসেনি।তবুও ছোটকাকা ছাড়বার পাত্র নন।বন্ধ কর তোমাদের বুর্জোয়া মানসিকতা। দেশ অতিমারির সঙ্গে লড়ছে। আর তোমরা বড়ি-ঝুলপির কথা বলছ। দেখ পরিযায়ী শ্রমিকদের।দেখ চাকরি হারানো বেকার যুবকদের। আজ স্পেন-ইতালির মতো দেশ দিনের পর দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।অন্যদিন হলে উত্তরটা আসত রাঙা কাকার থেকে। কিন্তু আজ টুসকির উত্তরেই ধরাশায়ী ছোট কাকা।কই আমি যে লিপস্টিক কিনে পরতে পারলাম না,তা নিয়ে তোমরা তো মিছিল, অবরোধ করলেন না।বাড়িতে একটা মোমবাতি পর্যন্ত জ্বালালে না।খানিকক্ষণ চমকে যাওয়ার পর এবার ধরল রাঙা কাকা।
‘তোরা কিস্যু জানিস না।পৃথিবী আসলে নিজেকে রিস্টার্ট দিচ্ছে।হার্ডডিক্সে এত ডেটা জমে গিয়েছে। তা পরিস্কার করতে হবে তো। তাই ব্যাক-আপ ভাইরাস হিসেবে করোনা তৈরি করছে। হ্যাঁ, তবে অনেকেই বরাত চেয়েছিল। কিন্তু চিনকে শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছিল।কারণ ওরা কোনও খবর পাঁচকান করে না।নিঃশব্দে অর্ডার সাপ্লাই করে।আমেরিকার পেট পাতলা। রাঙাকাকার এই কথা শুনে বুঝলাম, না অনেকদিন তাঁর রোয়াকে বসা হয়নি।
– ফোঁস করে উঠল ছোট কাকা।
– তা তোমার এই ফান্ডায় উত্তর কোরিয়া, ভারত নেই কেন ?
– তোরা আর উত্তর কোরিয়ার কথা বলিস না। উত্তর দিল রাঙা কাকা। একটা অর্ডার পেলে যারা দশ বছর বাদে দেয়, তাদের কথা না বলাই ভাল। দেখ না, করোনা নিয়ে আজ কত দেশ উত্তাল।উত্তর কোরিয়ার কোনও খবর পাচ্ছিস ? পাবিও না। কারণ, সব দশবছর পরে সামনে আসবে। ওরা শুরু থেকেই দশ বছর পিছিয়ে। তবে হ্যাঁ, ভারতের কথা একবার ভাবতে পারত।নোটবন্দির পর থেকে দেশটা কেমন যেন নেতিয়ে গিয়েছে।
এখন তো আবার আত্মনির্ভর হতে হবে।তাই ভাবছি, পাড়ার ভড়েদের ল্যাবটোরিতে থেকে একটা লোকাল মাল বানিয়েই গ্লোবাল করে দেব।শুধু তোদের একটু ভোকাল হতে হবে।
পৃথিবীতে করোনা আক্রমণে রাঙা কাকার বিশ্লেষণ শুনে বাইরের ঘরে তখন সবাই অজ্ঞান হতে বসেছিল। রাঙাকাকার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝাছিল গত এক সপ্তাহে তাঁর পেটে পটলদার লিকার চা যায়নি।তাই ভীষণ মনকষ্টে রয়েছেন ভদ্রলোক।অনেক কিছু হয়তো বলার আছে, কিন্তু এতদিন শ্রোতা পাচ্ছিলেন না।এই বাইরের ঘরেই তুরুপের তাসটা খেলে দিলেন।অন্যদিন হলে পিসিমনির সার্পোট হয়তো পেতো।কিন্তু পৃথিবী হার্ড ডিস্ক থেকে ডেটা সরাচ্ছে এই ফান্ডায় দেখলাম পিসিমনিও কেমন অবাক হয়ে গিয়েছে।
এবার বাইরের ঘরের ঢুকলেন আমার মা।হাতে তিন রাউন্ড চায়ের ফরমাইস। বউমার করা চায়ে চুমুক দিতেই ফর্মে ফিরলেন সেজ দাদু।আজ বাজার দর কত, ঠিক যেন সচিনের স্ট্রেট ড্রাইভ। আমতা আমতা করে আমি বললাম আলু ওই পনের টাকা,পটল পঞ্চাশ আর ঝিঙে আশি। কিস্যুই জানিস না, উত্তর দিলেন সেজ দাদু। আমি হলে এই সব কুড়ি টাকা। শোনো, সেই রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর দিন থেকে বাজার যাচ্ছি। আর এই করোনা কিস্যু করতে পারবে না। সবাই তাকাল সেজদাদুর দিকে। পিসিমা ওরফে আমার পিসি দিদা জিগ্যেস করল, কী করবি সন্তু ?আমি বাজার যাব। রজারের ফেডেরারের ক্রসকোর্ট ভলির মত সেজ দাদুর উত্তর। করোনা আমার কাছে নস্যি।
ঠিক তখনই নাকে এক টিপ নস্যি দিয়ে বাইরের ঘরে ঢুকলেন আমার বাবা। কে যেন কোথায় যাবে বলছিল ? আমার বাবা বরাবরের ছবি বিশ্বাস। তাঁর বাজখাই গলার প্রশ্ন শুনে পিসি দিদাই প্রথমে উত্তর দিল। দেখ না সন্তু বলছে বাজার বেরুবে।
– হুম। তা যেতে চাইছে যাক। আমি দারোযান ভীম সিংকে বলছি, তোমাকে মাথার উপর ঝাঁকায় বসিয়ে নিয়ে যেতে।
– কেন রাস্তায় কী জল জমেছে ? বাইরে তো বৃষ্টি নেই, জিগেস করল সেজদাদু।
– না বৃষ্টি নেই। তবে তৃপ্তি আছে। এই কদিন বেশ তৃপ্তিতেই আছে পুলিশ। তাই বলছিলাম ঝাঁকার উপর বসে গেলে সেই তৃপ্তি তোমায় স্পর্শ করতে পারবে না।
এই শুনে সেজ দিদা বলল, শোনো তোমায় আজ আর বাজার যেতে হবে না। টুসকি হঠাৎ ব্যাকগ্রাউন্ডে শুরু করল, আমরা কী রাস্তায় যাব না ? আমরা কী লিপস্টিক পরব না ? এরমধ্যেই পাশের পালেদের বাড়িতে তুমুল চিৎকার।
– আজ তোকে মেরেই ফেলব হারামজাদা।
– হতভাগা কোনটা বাড়ির লোক, কোনটা বাইরের লোক চিনতে পারিস না ?
আমরা সবাই বাইরের ঘরের জানলা দিয়ে উঁকি মারলাম। দেখছি পাশের বাড়ির বিল্টুকে মারছে তার বাবা প্রশান্ত বাবু। অঙ্কের মাস্টারমশাই প্রশান্তবাবুর পাড়ায় বেশ নাম আছে। এখনও বিনা পয়সায় দুঃস্থদের পড়াশোনা শেখান। তাঁর ছেলে বিল্টু এই নিয়ে দু’বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।আর দু’বারই আটকেছে অঙ্কতে।পিসি দিদা বলল,’ও প্রশান্ত ছেলেটাকে ছেড়ে দাও বাবা, ও তো মরে যাবে।’ ‘যাক মরে পিসিমা, এমন ছেলের থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল।’ পালটা বললেন প্রশান্তবাবু।
এরমধ্যেই আমাদের পিছনে এসে দাঁড়াল মুখুজ্যেদের জুনিয়র মোস্ট টুকান। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।দু’বছরের বড় হলেও বিল্টু তার প্রাণের বন্ধু। কী দেখছ তোমরা, বিল্টু মার খাচ্ছে ? সবাইকে জিগেস করল টুকান।আমি জিগেস করলাম, কেন মার খাচ্ছে জানিস। টুকান বলল, গতকাল সন্ধে বেলায় ওড়না আর মাস্ক দুটো একসঙ্গে জড়িয়ে বেরিয়েছিল সরমা পিসি। সরমা পিসি যখন ফিরছিল তখন আলো নিভে গিয়েছিল। আর রোয়াকে বসে বিল্টু গেয়েছিল,ও লালদোপাটে ওয়ালি তেরা নাম ক্যায় বাতা। বেচারা বিল্টু মাস্কের জন্য নিজের পিসিকেই চিনতে পারেনি। বেশ বিজ্ঞের মতোই বলল টুকান।
– আমি জিগেস করলাম তুই কোথায় ছিলি ?
– বিল্টুর পাশে। উত্তর দিল টুকাই।
– ছেলের কর্মকাণ্ডে রে-রে করে উঠল রাঙাকাকা।
– জয় মা করুণা। চিৎকার করে উঠলেন আমার চরম বামপন্থী ছোট কাকা।
শেয়ার করুন :