ডঃ অভিষেক পোদ্দার,MBBS (Hons),MD(Pediatrics) PGPN(Boston,USA)অ্যাপলো হসপিটালস। 9874585045
গত দেড় বছর আমরা করোনা অতিমারিতে আক্রান্ত।এর থেকে সম্পূর্ণ মুক্তিলাভ কবে তা অনিশ্চিত।ফার্স্ট,সেকন্ড,থার্ড আরও যে কত ওয়েভ আসবে স্বয়ং’দেব না জানন্তি’।এ হেন্ সময় পরিত্রাণের একমাত্র উপায় নিজেকে রোগমুক্ত রাখা।শিশুদের ক্ষেত্রে তার গুরুত্ব অনেক বেশি।এই পরিস্থিতিতে শরীরে ইমিউনিটির গুরুত্ব অপরিসীম।শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে বলতে পারি কয়েকটা সহজ উপায় অবলম্বন করলেই শিশুদের রোগমুক্ত রাখা সম্ভব।
- নবজাতকে স্তন্যপান করানো এক অনন্য উপায় যাতে শিশুদের ইমিউনিটির লেভেল সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা যায়।মাতৃদুগ্ধ নানারকম ইমিউনোগ্লোবুলিন,প্রোটিন ও অন্যায্য নিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর যা প্রথম ৬ মাস পান করলে শিশুদের ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে দারুণ উপকারী।
- জাঙ্ক ফুড,মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বল্পতা বজায় রাখা পেটের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরী।
- বেশিরভাগ শিশুদেরই কম করে ৮/১০ ঘন্টার ঘুম ও রোজকার শরীরচর্চা ইমিউন সিস্টেমের চমকপ্রদ উন্নতি ঘটায়।
- আজকাল শিশুরা অতিমাত্রায় মোবাইল,ট্যাব,ল্যাপটপ ও টিভিতে আসক্ত।এই ‘স্ক্রিন টাইম’ কমিয়ে আমরা যদি এই অতিমারি সময়ে ওদের ইন্ডোর গেমসের প্রতি আকর্ষিত করতে পারি তা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
- দিনের বেলায় কিছুক্ষণ ছাদে বা উঠোনে,বা সামনের খোলা ফাঁকা রাস্তায় থাকলে শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি বৃদ্ধি পাবে।
- অতিমারির প্রকোপে ঘরে বেশি সময় কাটানো,মাস্ক,স্যানিটাইজার,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সন্দেহাতীতভাবে শিশুদের রোগ নিরোধক ক্ষমতাকে উন্নত করেছে ও নানা অসুখের প্রাদুর্ভাব রক্ষায় সাহায্য করেছে।
- প্যাসিভ ইমিউনিটি অর্থাৎ ভ্যাক্সিনেশন শিশুরোগ প্রতিরোধের মোক্ষম উপায়।এমন কিছু অসুখ আছে যা জীবন সংশয় অথবা হসপিটাল অ্যাডমিশন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে তাই ভ্যাক্সিনেশনের সাহায্যে আমরা রোগ নিরোধক ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে সমস্ত অসুখ প্রতিরোধ করতে পারি।
- এছাড়া রয়েছে হাসি,ঠাট্টা মানসিক বিকাশের সুস্থ পরিবেশ যা তাদের রোগমুক্ত থাকা নিশ্চিত করতে পারে।
শেয়ার করুন :