কিছু চেনা পাতায় আছে অত্যন্ত উপকারী ঔষধি গুণ।প্রতিদিন পরিমাণমতো খেলে রোগবালাই থেকে দূরে থাকবেন।
চিরতাপাতা
- চিরতা ১কাপ গরমজলে ভিজিয়ে ছেঁকে মাথা ধুয়ে নিন।এতে চুল পড়া কমে যাবে।
- সর্ষের তেলে ভেজে,ছেঁকে নিয়ে ঐ তেল চুলকানিতে মাখলে গায়েব চুলকানি।
- ডায়েরিয়া আর লিভারের বিভিন্ন রোগে চিরতার জল উপকারী।
- রাতে কিছুটা চিরতা ২ কাপ গরমজলে ভিজিয়ে সকালে ২-৩ বার খান।অ্যালার্জি কমবে।
- হাঁপানিতে চিরতার গুঁড়োয় মধু মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে প্রকোপ কমবে।
- পেটে কৃমি হলে খুব অল্প পরিমাণ চিরতা মধু অথবা চিনি মিশিয়ে খান।
তুলসীপাতা
- এতে ভিটামিন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় মধু মিশিয়ে খেলে কোষের অকাল বার্ধক্য ঠেকায়।
- এতে ভিটামিন থাকায় মধু মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ।
- মেটাবলিক স্ট্রেসের সঙ্গে যুদ্ধ করে ব্লাড গ্লুকোজ,ব্লাড প্রেশার,লিপিড লেভেল ঠিক রাখে।
- এর অ্যাঙ্গজিওলেটিক ও অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট বৈশিষ্টের জন্য মেন্টাল স্ট্রেস,দুঃচিন্তা টেনশন কমায়,স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
- তুলসীপাতা আর মধু কোলেস্টরল মাত্রা কমায়,রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।
- কিডনির বিষাক্ত পদার্থকে সরিয়ে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে ।
কালমেঘপাতা
- লিভার সংক্রান্ত রোগের মোক্ষম ওষুধ মাস খানেক খালিপেটে কালমেঘপাতার রস খাওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে কয়েকটা কালমেঘপাতা বেটে মধু দিয়ে কিছুদিন খান।
- ম্যালেরিয়ায় কালমেঘপাতা বেটে বড়ি তৈরী করে রোজ সকল সন্ধ্যায় একটি করে খান।
- শিশুদের কৃমি হলে কালমেঘপাতার রস তৈরি করে মধু মাখিয়ে খাওয়াতে পারেন।
শিউলি পাতা
- পিত্তজ্বরে সকাল ও সন্ধ্যায় একটু শিউলি পাতার রস খেলে উপকার পাবেন।
- ম্যালেরিয়ায় সামান্য আদা আর কযেকটা শিউলিপাতা বাটার পর ছেঁকে খেতে পারেন।
- বাতের ব্যাথায় কয়েকটি শিউলিপাতার রস ২ কাপ জলে সেদ্ধ করে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় টানা কয়েকদিন খেলে উপকৃত হবেন।
- পেট ঠাণ্ডা রাখতে শিউলিপাতা দিয়ে শুক্ত রান্না করে খেতে পারেন।
বাসক পাতা
- অত্যাধিক কাশি,বুক ব্যাথায় বাসকপাতা,মিছরি,আদা,লবঙ্গ ও গোলমরিচ একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে কয়েকদিন গরম গরম খেতে হবে।
- স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।
- আমবাত ও ফোড়ার প্রাথমিক অবস্থায় বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
- ১০-১২টি বাসকপাতা এক টুকরো হলুদ এক সঙ্গে বেটে চুলকানিতে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
*এই নিবন্ধটি সাধারণ তথ্যের জন্য যা কোনোভাবে ওষুধ আর চিকিৎসার বিকল্প নয়। অসুখ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শেয়ার করুন :