শিলাজিতের আদি দেশের বাড়ি বীরভূমে গড়গড়িয়ায়।দেশের বাড়ি অনেকেরই ছিল বা আছে এবং সেখানে হয়তো নিয়মিত ও অনিয়মিত যাতায়াতও আছে অনেকেরই। কিন্তু বিখ্যাত,স্বপ্রতিষ্ঠিত হয়েও নিজের দেশের বাড়ির কাছের প্রান্তিক ছেলেমেয়েদের জীবনযাপন উন্নত করার জন্য নিরলস প্রয়াস শুধু দৃষ্টান্তমূলক মহৎ কাজ নয় ,এর পেছনে সমাজে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য কাজ করার একটা আন্তরিক মানবিক মনের মানুষ হয়ে উঠেছেন শিলাজিৎ, নিজের হাতে করে তৈরি করেছেন নৌকা এনজিও প্রতিষ্ঠান।
শিলাজিতের এই দুর্দান্ত ভালো কাজে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আর এক এনজিও সুচেতনা সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি মিশন।এই প্রতিষ্ঠানের দুই কন্যা ডঃ অর্পিতা বসু আর শ্রীমতি সৌমিতা ভট্টাচার্য সোম।
আগামী ১৪ই আর ১৫ই ফেব্রুয়ারি যখন বেশিরভাগ মানুষ ভ্যালেন্টাইন ডে সেলিব্রেশনের উৎসবে মেতে উঠবেন সেই সময় লোকচক্ষুর বেশ অনেকটা আড়ালে ওখানকার বাচ্চাদের জন্য নৌকা গড়গড়িয়া,সুচেতনা সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি মিশন ঝাড়গ্রাম আর্ট একাডেমির সহায়তায় ‘আনন্দ আয়োজন’ হাতের কাজের কর্মশালা অনুষ্ঠান উদযাপন করবে।ওঁদের কথায়,’সামান্য উপকরণ ব্যবহার করে অসামান্য শিল্প সৃষ্টির কাজে এই ছোটদের উৎসাহিত করা সুচেতনার একটি বিশেষ প্রকল্প।’
সুচেতনা সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি মিশনের কর্মসচিব সৌমিতা ভট্টাচার্য সোম ও কোষাধ্যক্ষ অর্পিতা বসু বলেন “আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার যাচ্ছি বীরভূমের গড়গড়িয়াতে “নৌকা”য় – বনক্ষতিপুরের ২৩ জন মূলবাসী শিশু-কিশোর ও কিশোরীর কাছে। এই শিশু-কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের জন্য বহুদিন ধরে “নৌকা গড়গড়িয়া” কাজ করে চলেছে। যেহেতু এই মূলবাসী শিশু-কিশোর-কিশোরীরা স্কুলের পরে অনেকটা সময় “নৌকা”য় কাটায় তাই ওদের মিড ইভনিং মিলের দায়িত্ব আমরা “সুচেতনা”র তরফ থেকে নিয়েছিলাম গত ২০২২র এপ্রিল থেকে। এর ফলশ্রুতিতে “নৌকা”র শিক্ষার্থীদের “নৌকা গড়গড়িয়া”য় (সার্বিক বিকাশ কেন্দ্র) উপস্থিতির হার বেড়েছে, পড়াশোনার উন্নতি হয়েছে আর সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটেছে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারি “নৌকা”র কর্ণধারদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি ১০০ কেজি চাল, ৪২০ টি ডিম, ৩০ কেজি মুগ ডাল, ৩০ কেজি মুসুর ডাল, ৫ লিটার সরিষা তেল, ২৫০ গ্রাম গোটা শুকনো লঙ্কা, ৩০০ গ্রাম গোটা জিরা, ৩০০ গ্রাম জিরা গুঁড়া, ১০ কেজি লবণ।
একাজে যারা আমাদের বিশেষ ভাবে আর্থিক সহায়তা করেছেন:
অলকানন্দা ব্যানার্জি,অমলিনা বসু,ঊর্মিলা ব্যানার্জি,শর্মিলা ঘোষ,শ্যামল পালচৌধুরী,সুজাতা পালচৌধুরী, ডাঃ সুনেত্রা মুখার্জি, বন্দনা মুখার্জি,মাল্যশ্রী বসু,অনন্যা রায়,অপর্ণা আচার্য্য,স্তিমিতা দে, দুর্বা ধীমান।
এঁদের কে নতুন করে চিনে রাখুন, শিলাজিৎ,অর্পিতা,সৌমিতা।আজকের ডানা লোকানো দেবদূত আর পরীরা।এদের পাশে দাঁড়াতে ,এই ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু করতে চাইলে নৌকা আর সুচেতনার ফেসবুক পেজে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
শেয়ার করুন :
ঝাড়গ্রাম আর্ট আ্যকাডেমির শ্রীযুক্ত সঞ্জীব মিত্র : ঝাড়গ্রামের একজন প্রবাদপ্রতিম মানুষ: যার কথা না লিখলে এ লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ৬৫ বছরের এই তরুণটি ঝাড়গ্রাম থেকে ভোর ছটায় রওনা হয়েছেন সহশিক্ষকদের নিয়ে এই হাতের কাজের কর্মশালার যাবতীয় উপকরণ সাথে করে”নৌকা গড়গড়িয়া”র জন্য ১৪-১৫ ই ফেব্রুয়ারি ,২০২৩ দুদিনের এই আনন্দ আয়োজনে। সবাই মিলে আনন্দ যাপন করি।
অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও আনন্দদায়ক! অশেষ শুভেচ্ছা এই কল্যাণকাজের জন্য 💕🙏🏻💐
Excellent approach towards upliftment of certain groups of people. We appreciate this kind of positive attitude.
Indeed a Drishtantmulak Prayas!!!! Great works Team Suchetana…. Keep it up!!!!
Good wishes from Durba
Fantastic initiative indeed