সম্প্রতি নিউ ইয়ার ,ভ্যালেন্টাইন আর সরস্বতী পুজোর সময় লাগামছাড়া ভিড়,মাস্ক ছাড়া ভিক্টরিয়া,মেট্রোতে,জনবহুল জায়গায় বেপরোয়া জমায়েতে অত্যন্ত চিন্তিত ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী আর প্রশাসনের সবাই।এদিকে মহারাষ্ট্রে এবং কেরলে নতুন করে বেড়ে চলেছে কোভিড সংক্রমণ,ব্রাজিল আর দক্ষিণ অ্যাফ্রিকা থেকে আসা নতুন স্ট্রেন উদ্বেগ আর আশঙ্কা বহুগুন বাড়িয়েছে। এই সময়ের আইসিএমআর,হু,সিডিসির জরুরি গাইডলাইন:
১) কঠোর ভাবে মাস্ক ছাড়া কোথাও বেরোবেন না।
২)অন্তত ১ মিটার দূরত্ব মেনে চলুন। অফিসে,কাজে বেরোতে হলে ভিড় হওয়ার আগে বেরোন,তাতে ১ ঘন্টা আগে পৌঁছলেও ক্ষতি নেই।
৩)সঙ্গে অবশ্যই স্যানিটাইজার রাখুন।অফিসে,কাজের জায়গায় পৌঁছে আগে সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।সারফেস ডিসিনফেক্ট্যান্ট স্প্রে দিয়ে চারপাশ পরিষ্কার করে নিন।
৪)নিজের চায়ের কাপ,খাবার প্লেট ব্যবহার করুন।
৫) বাইরে থেকে ফিরে সোজা স্নান করে ব্যবহৃত জামা কাপড় জলে ভিজিয়ে দিন কাচার জন্য।
৬)এখন প্রচুর ইলেকট্রিক ভেপার স্বল্পমূল্যে (৩০০/৪০০ টাকায়)পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে/বাড়ি ফিরে অবশ্যই ৩/৪ মিনিট ভেপার নিন কারণ করোনা সংক্রমণ মূলত নাক মুখ দিয়ে শরীরে ঢোকে।
৭) বাইরে থেকে অফিসে গিয়ে কাজের সময় নিশ্চিন্তে মাস্ক খুলে রাখবেন না।মিটিংয়ের সময়েও মাস্ক পরে থাকা উচিত।
৮)হাঁচি কাশির সময় মুখে হাত দেবে না।কনুই ব্যবহার করুন।
৯)যে জমায়েত এড়ানো যায় সেগুলো এড়িয়ে চলুন।এখন নিজের পরিবারের সুরক্ষায় একটু অসামাজিক আর অতিরিক্ত সাবধানতায় আপনার মঙ্গল হবে।
১০)বিশেষত ইয়াং জেন এতদিনের নির্বাসনে অতিষ্ঠ হয়ে বেপোরোয়া আর বেলাগাম তাই ওদের বকাঝকা না করে বুঝিয়ে বলুন,চারপাশের খবর.বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করুন।
১১)আপনার পরিচিত,বন্ধু,আত্মীয়রাও অ্যাসিম্পটোম্যাটিক হতে পারে অতএব তাদের সঙ্গেও প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলুন আর তাতে ঠাট্টা তামাশা হলে কঠোর ভাবে প্রতিবাদ করুন।
১২)স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন বলেই হ্যান্ড শেক,শরীর স্পর্শ করা বিপদমুক্ত নয়।
হ্যাঁ এর অনেক নিয়মই আপনার জানা কিন্তু ছোটবেলা থেকে এখনও আপনার মা,গুরুজনরা বাইরে বেরোবার সময় বলেন ‘সাবধানে যেও’ এগুলোও তেমন সাবধান বাণী।
শেয়ার করুন :