হিন্দুধর্মগ্রন্থ বেদ-এ উল্লেখিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদ তথা কবিরাজির উল্লেখ সুপ্রাচীন, অবিভক্ত ভারতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি বলে মনে করা হত।প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসা আমাদের জীবনে মা ঠাকুমার টোটকা আর আগেকার দিনে হেকিম কবিরাজদের প্রাধান্য প্রশ্নাতীত ছিল।আমাদের ছোটবেলায় অনেকের বাড়িতে খল-নুড়ি থাকত যাতে পাতা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস বেটে ব্যবহার করা হত।পাড়ায় পাড়ায় কবিরাজি আর আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্রে এখনও ভিড় কম নয়। বিশিষ্ট কবিরাজ কৃষ্ণানন্দ গুপ্তের পরামর্শঃ
হৃদরোগের ভয় থাকলে :রোজ সকালে খালিপেটে ১চামচ মধুর সঙ্গে ১চামচ অর্জুন ছালের গুঁড়ো অথবা অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে।সঙ্গে টাটকা ফল।কল ওঠা ছোলা-মটর, মুগ ভাজা জিরের গুঁড়ো,রসুন,গাজর কুচি দিয়ে খেতে হবে,সঙ্গে চার-পাঁচটা ভেজানো চিনে বাদাম।
হাম, বসন্ত প্রতিরোধে:কচি নিম পাতা বেগুন দিয়ে,উচ্ছে করলার তরকারি,সজনে ফুল,সজনে ডাঁটা,কলমি শাক দারুণ প্রতিষেধক।
টেনশন রুখতে: ভাতের পাতে হিঞ্চে শাক,পুননর্বা শাক, লাউয়ের,চালকুমড়ো তরকারি খাবেন।এছাড়া ব্রাহ্মীশাক আর শঙ্খপুষ্পী শাক খেতে পারেন।
অম্বল,গলা বুক জ্বালা:রোজ সকালে খালি পেটে ১কাপ লাউয়ের রস অতি অবশ্যই খান।মুড়ি ভেজানো জল,যে কোনও ফল চিবিয়ে খান।শাক-পাতা খাবেন না।
সর্দি-কাশি: ভাতের সঙ্গে পাতিলেবু,আমলকী ভাতে,টম্যাটো,খোসাসুদ্ধ আলু,কাঁচালঙ্কা, আদা,কমলালেবু খাবেন।
হাই ব্লাডপ্রেসার: রোজ হাঁটুন।দিনে একবার থোড়ের তরকারি খান।এছাড়া অশ্বগন্ধা, আমলকী,রসুন,মধু উপকারী।জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।
ডায়াবেটিস:ডাল ও ছোলা খুব ভাল খাবার।কালোজাম ডায়াবেটিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।কালোজামে গ্লিসামিক ইনডেক্স কম থাকার জন্য এটা ডায়াবেটিক প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
কোলেস্টরল : কোলেস্টরল সমস্যা প্রতিদিনের খাবারে কাঁচা পেঁপে রাখুন।এছাড়া স্যালাডেও পেঁপে রাখতে পারেন।এছাড়া হরীতকী,আমলকী ও খুব উপকারী।এক কোয়া রসুন কুচি,আধ চামচ আদা কুচি লেবুর রসে মিশিয়ে খাবার আগে খেতে হবে।
আ্যনিমিয়া:গেঁড়ি-গুগলির ঝোল,কূলেখাড়া পাতার রস,কাঁচকলা,ডাঁসা পেয়ারা,আঙুর, আপেল,মাছ,থানকুনি শাকপাতা।
ক্যানসার প্রতিরোধে:গাজর,পেঁপে, রসুন, তরমুজ, লালশাক, সয়াবিন, রাজমা, লবঙ্গ,দারচিনি, তেজপাতা,বাঁধাকপি,বিন,মাছের তেলের বড়া।
মাইগ্রেন সমস্যায়: ব্রাহ্মী শাক,অশ্বগন্ধা,ত্রিফলা চূর্ণ,নিম, হলুদ,আমলকী।
শেয়ার করুন :