কঠিন পরিস্থিতি। তাকে সামলে চলতে ফাইনান্সিয়াল কাউন্সিলর টিপসঃ
১) মাসের অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপ্সনস বন্ধ করে দিন যা আপনি বোঝার আগে এই সময়ের খরচের বোঝা বাড়াচ্ছে আগামী ৬ মাস তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বেনা কিন্তু মান্থলি এক্সপেন্স সাশ্রয় হবে।
২) ইলেক্ট্রিসিটি বিল কন্ট্রোল করুন: এক্সট্রা অ্যালার্ট থাকুন লাইট,ফ্যান,গিজার,ফ্রিজ আর অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটের ক্ষেত্রে। জানেনকি মাত্রা কয়েক ইউনিটের এদিক ওদিকে মাসে আপনার প্রায় ১০০০/১৫০০ টাকার কম বেশি হতে পারে ?
৩) ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টে সতর্ক থাকুন আর কন্ট্রোল করুন:এই ভয়ঙ্কর সময়ে একদিকে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আর অন্যদিকে লাইফস্টাইল মেন্টেন করার যাঁতাকলে পড়ে ভাল থাকতে বেহিসেবি খরচ না করে স্পেশাল প্ল্যান করুন।এখন ইকনমিকালি সংযত হয়ে চললে লোকে কি ভাববে ভুলে নিজের ফ্যামিলির ভাল থাকার কথা ভাবতে হবে।
৪) অনলাইন স্পেন্ডিং লিমিট করুন :যেটা নেসিসিটি তা ছাড়া সব বন্ধ করে রাখুন কিছুদিন।
৫) প্রত্যেক ফ্যামিলিতে নিজের মত ইনকাম আর এক্সপেন্স তাই সবার জন্য একই গাইডলাইন হতে পারেনা কিন্তু কিছু বেসিক বিষয় ঠিক করা যেতে পারে।যদি আমরা মান্থলি এক্সপেন্স কে অ্যানালাইজ করি তাতে দেখা যাবে দুটো ভাগ ফিক্সড আর ভ্যারিয়েবল।ভ্যারিয়েবলের আবার দুটো ভাগ নেসেসারি আর তুলনামূলকভাবে আননেসেসারি।এর পরে আপনি খুঁটিয়ে দেখলে এর থেকে মাসের খরচের একটা অংশ সাশ্রয় হবে।
৬) এমার্জেন্সি ফান্ড: যদি থেকে থাকে তাহলে ভাল আর যদি না থাকে এই ৭ মাসের ট্রান্সপোর্ট এক্সপেন্স যা বেঁচেছে সেটা সরিয়ে রাখা।
৭) ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে ‘গিভ এভরি রুপি এ প্ল্যান’।প্রত্যেকবার খরচ করার আগে ভাবুন এই সময় এটা কতটা জরুরি।
৮)লোন থাকলে কনভার্ট করুন কম ইন্টারেস্টে নিচ্ছে এমন ব্যাংকের কাছে। খুঁটিয়ে খোঁজ নিন।এমন উদাহরণ আছে মাসের ই এম আই ২০০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
৯) মাসিক খরচের একটা ব্যালেন্স রেশিও থাকলে ভালো হয় যার ৫৫% এসেন্সিয়াল এক্সপেন্স,৩০% সেভিংস আর ১৫% এন্টারটেনমেন্ট। এইবার সেই অনুপাতে হিসেবে করে খরচ করলে ম্যানেজ করতে সুবিধে হবে।
১০) ইকোনোমিক টাইমসের একটি সার্ভেতে দেখা গেছে যে গত ৯ মাসে কোভিড কালে লোকজন তাদের খরচ গত বছরের তুলনায় ৪০% কমিয়ে দিয়েছে।এবার আপনি হিসেবে করে দেখুন এই ক্রান্তিকালে আপনি কতটা কমাতে পেরেছেন আর পারবেন।
শেয়ার করুন :