অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক অতিরিক্ত ফ্রি রাডিকেলসের সঙ্গে যুদ্ধ করে।আমাদের দৈনন্দিন অনেক ফল ও শাকসব্জি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।এমনিতে ফ্রি রাডিকেলস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় কিন্তু খুব বেশি ফ্রি রাডিকেলস শরীরের কোষের ক্ষতি করে,বয়সের তুলনায় শরীরকে বয়স্ক করে তোলে এবং হার্টেরও ক্ষতি করে।অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এই ক্ষতিকারক ফ্রি রাডিকেলসকে নিউট্রাল করে নির্মূল করে দেয়।
১)রাজমা-প্রোটিন সমৃদ্ধ রাজমায় আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,সঙ্গে খুব কম পরিমানে ফ্যাট আর জিরো কোলেস্টরল।দিল্লির প্রসিদ্ধ খাবার রাজমা চাউল।
২)টমেটো- এতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে।ভিটামিন এ,সি আর লাইকোপিন আছে টমেটোতে আর রান্নাতেও এর গুণ কমেনা।
৩)ডার্ক চকোলেট -এতে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভক্যানোল উপাদান আছে যাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এবং এটি হার্টের পক্ষেও বেশ ভাল।
৪) বার্লি-আগেকার ছোটবেলায় জ্বর জারিতে বার্লি একেবারে বাঁধা প্রেসক্রিপশন ছিল।বার্লিকে ভিজিয়ে স্প্রাউটের মতো করে নিলে এর গুনাগুন আরো বেড়ে যায়।
৫)বেরিস -স্ট্রবেরি,কালোজাম।এতে কের্সেটিন আর অ্যান্থোসায়ানিন আছে যাতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
৬)শাক- শাকসব্জি শরীরের পক্ষে খুব ভালো এটা আমরা জানি কিন্তু এতে খুব উপকারী লুটেইন থাকায় এর কার্যকারিতা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে যা চোখের পক্ষেও খুব ভালো।
৭)ব্রকোলি -বেটা ক্যারোটিন,জিয়াক্সানথিন,ক্যারোটিনয়েডস,লুটেইন সমৃদ্ধ।
৮) বিনস -এতে ফাইবার বেশি থাকায় খুব উপকারী।এর কায়েমফেরোল উপাদানের জন্য ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন আর ক্যান্সার গ্রোথ রোধে কাজ করে।
৯)বিট-এতে বেটালাইন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় হজমের সমস্যা আর কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১০)গাজর-এতে ফাইটোকেমিক্যালস থাকায় হার্টের অসুখ আর ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শেয়ার করুন :