গতবছরের দীর্ঘকাল ধরে চলা লকডাউনের কারণে বাধ্য হয়ে সেডেন্টারি লাইফস্টাইলের জন্য শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।বাড়িতে একঘেয়ে বসে থাকার মুক্তি পেতে ভালোমন্দ খাবার নির্বিচারে খেয়ে এই বিপত্তি আরও বেড়ে গেছে,পছন্দের স্মার্ট আউটফিট ফিট হচ্ছে না।এই নিউ নর্মালে আগের ফিট চেহারায় ফিরতে বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ানদের ডায়েট টিপস।
ওয়েট লস প্রজেক্ট সকাল ৬.৩০ গভীর রাত অবধি ফোন না ঘেঁটে ভোরে দিন শুরু করুন একগ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চিলতে লেবুর রস দিয়ে।(অ্যাসিডিটি থাকলে নয়) এতে হজমের উপকার হবে।এর পরে মর্নিং এক্সারসাইজ,হাঁটুন আর ভুঁড়ির ওপর চাপ পড়ে এমন এক্সারসাইজ করুন।
সকাল ৭ টা এক্সারসাইজ সেরে চান করে ফ্রেশ হয়ে নিন।একমুঠো অংকুরিত ছোলা আর ৩ করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে নিয়ে ১ গ্লাস জল।
সকাল ৮ টা কাজে বেরোনোর প্রস্তুতি।কোনোমতেই সকালের ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না।ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন: ওটস আর মিল্ক,সেদ্ধ ডিম,কলা। ৩ পিস্ বাটার টোস্ট,সেদ্ধ/স্ক্র্যাম্বল্ড ডিম,স্প্রাউট,কলা,আপেল,দুধ,স্যালাড।ধোসা,ইডলি,সাম্বার,কলা,আপেল,স্যালাড।
সকাল ১১ টা একটু ফুড ব্রেক,১ আপেল,বাদাম,ক্রীম ছাড়া বিস্কিট, লিকার চা।
দুপুর ১.৩০-২,০০ লাঞ্চ টাইম ২ কাপ ভাত/৪ আটার রুটি,১ বাটি সব্জি,১ বাটি ডাল,১টুকরো মাছ বা ২ টুকরো চিকেন,২ চামচ টক দই।ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ব্রেক পেলে ভুল করেও ন্যাপ নিতে যাবেন না।
বিকেল ৪টে টি ব্রেক :গ্রিন টি ,লিকার টি,বিস্কিট।
বিকেল ৫.৩০-৬.00 টা স্ন্যাক্স টাইম: মুড়ি,বাদাম,শশা /ইডলি /ধোকলা /চিড়ে ভাজা /স্যুপ/স্যান্ডউইচ।
৭,৩০-৮.০০ টা বাড়ি ফিরে ১ কাপ চা,সঙ্গে বিস্কিট,কড়াইশুঁটি সেদ্ধর মত হাল্কা স্ম্যাক্স,১০/১৫ মিনিট কিছুটা হাঁটাহাঁটি বা অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকা।
১০.৩০ টা ডিনার: ২ কাপ ভাত/৪ রুটি ,১ বাটি সব্জি, ১পিস মাছ/২ পিস্ চিকেন। খিচুড়ি ডিম ভাজা (অল্প তেলে)।
নানা দিনের ব্রেকফাস্ট স্ন্যাক্স ডিনার সাজেশনঃ ব্রেকফাস্ট:ওটস,ধোকলা,ইডলি-ধোসা,বড়া,উপমা,স্যুপ,বয়েল্ড চিকেন,স্প্রাউট,মিক্সড স্যালাড,পরিজ, স্ক্র্যাম্বল্ড এগ, রুটি সব্জি,দুধ,ভেজিটেবল,পনির,চিজ,চিকেন স্যান্ডউইচ,কড়াইশুঁটি সেদ্ধ।
লাঞ্চ /ডিনার:চিকেন,মাছ,স্যালাড,ডাল,সব্জি,খিচুড়ি,চানা ডাল,পনির,ছানার ডালনা,রাজমা,তড়কা।
মনে রাখবেন: দিনে ১০ গ্লাস জল,কলা,লেবু মধু গরম জল,রোজের এক্সারসাইজ,গভীর রাত অবধি না জাগা,টক দই ওজন কমানোর আর হজমের জন্য খুবই উপকারী।
শেয়ার করুন :