অসহ্য গরম পেরিয়ে বর্ষাকালে ত্বকের যত্নের অবহেলায় অনেক ক্ষতি হতে পারে কারণ বর্ষাকালে হিউমিডিটি খুব কমে না তার ফলে ড্ৰাই,ন্যাচারাল,অয়েলি বা মিক্সড সব ধরণের স্কিনের, সমস্যা দেখা দেয়।আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের শরীরের নানা অংশের ত্বকের চরিত্র ভিন্ন।কেবল মুখের ত্বকেই কত রকমফের।চোখের চারধারে একরকম আবার ঠোঁটের আর একরকম।
ডার্মাটোলজিস্ট শচীন ভার্মা,কসমেটোলজিস্ট শ্রাবনী ঘোষ জোহা,স্কিন সার্জন ডঃ কৌশিক লাহিড়ী, বিউটিশিয়ান রুবি বিশ্বাসের পরামর্শ-
এক্সফোলিয়েট স্কিন –স্কিনের পোরসকে আনক্লগ করতে আর ডেড স্কিন সেলস বিদায় করতে স্কিন এক্সফলিয়েট করতে হবে।পেঁপে,টকদই,টি ব্যাগ,বেকিং সোডা,কফি দিয়ে এক্সফলিয়েট করুন।
বার বার ক্লিন -বর্ষাকালে বাইরে থেকে এলে এমনকি বাড়িতে হিউমিড ওয়েদারে থাকলেও বার বার নিজেকে পরিষ্কার রাখুন কারণ এই সময়ে শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়,ফাঙ্গাল ইনফেকশনের প্রকোপ বাড়ে।গোলাপ জল,লেবু,অ্যালোভেরা, অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করুন।
স্কিন টোনিং-স্কিন পোরস খোলা থাকলে নানারকম জার্ম্স,ধুলোবালি ঢোকার সুযোগ পায় ফলে অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাই টোনিং খুবই জরুরি।কিছু ন্যাচারাল টোনারস যেমন লেবুর রস,শশা- জল, গ্রিন টি,টমেটো-লেবুর রস-জলের টোনার খুব উপকারী।
প্রচুর জল খান- এই সময়ে বেশি জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় আর ব্রণ আর অ্যাকনের সমস্যা থেকে মুক্তি।
মেক আপ এড়িয়ে চলুন-সম্পূর্ণ না হলেও যথাসম্ভব কারণ এইসময়ে মেকাপ স্কিন পোরসকে ক্লগ করে রাখে।আর একান্ত প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই খেয়াল করে শুতে জাওয়ার আগে মেক আপ তুলে নেবেন।
ওয়াটারপ্রুফ মেটিয়াল দেওয়া জুতো ব্যবহার করুন-এই সময় রাস্তাঘাটে জল জমার কারণে এমন এতে পা ঢাকা জুতো ব্যবহার করুন এতে নোংরা জলের সংস্পর্শে আসবেন না।
অফিসে মেডিকেটেড সোপ/সলিউশন রাখুন-অফিসে ঢুকে সেটা দিয়ে পা ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
এক্সট্রা জুতো ও একসেট জামা-অফিসে রাখুন-কখন কাজে দেবে বলা যায় না।ভেজা শরীর অফিসে দৃশ্যমান হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা আর তাছাড়া ঠাণ্ডা লেগে অসুখে ভুগতে পারেন।
স্নানের জলে নিম আর লবঙ্গ তেল- ইনফেশন থেকে রক্ষা করে।
স্ক্যাল্পের জন্য-বর্ষাকালে আবহাওয়া আর হিউমিডিটির কারণে মাথায় হওয়া চালাচলে বাধা পায়,তাই এই সময়ে ঘন তেল অথবা প্যাক বেশিক্ষণ মেখে রাখবেন না কারণ এতে পোরস বন্ধ হয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকে- অ্যাকনে,ব্ল্যাক হেডস,হোয়াইট হেডস,ডার্ক স্পটসের সমস্যা দেখা দেয় তাই এই সময়ে বেশি তেলের আর বাইরের খাবার কম খাওয়া ভালো।
ক্লিনজিংয়ের সময়ে-ত্বকের প্রাকৃতিক পি এইচ লেভেল বদলে যায় যা টোনার ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
শেয়ার করুন :