ডাউন সিনড্রোম নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় কন্যা -

ছবি- ইন্ডিয়া টাইমস

ডাউন সিনড্রোম নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় কন্যা

বেঙ্গালুরুর ২৩ বছরের রিজা রেজির দিগ্বিজয়ী সাফল্য।

‘বি বিউটিফুল বি ইওরসেল্ফ’ আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাউন সিনড্রোমের ফান্ড রেজার ইভেন্ট বলে আখ্যা দেওয়া হয়। গ্লোবাল ডাউন সিনড্রোম ফাউন্ডেশেন দ্বারা আয়োজিত এই ইভেন্টে এবার এক ভারতীয় কন্যা মঞ্চ আলো করবেন।বেঙ্গালুরুর ২৩ বছরের রিজা রেজি ইতিহাস তৈরী করে এই বর্ণাঢ্য গৌরবময় মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টে র্যাম্পে হাঁটবেন। নর্থ অ্যামেরিকায় অবস্থিত এই সন্মানীয় প্রতিষ্ঠান এবার কলোরাডোর ডেনভারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যেখানে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত ২০ জন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

রিজা ও তার পরিবার স্বাভাবিক ভাবেই এই খবর ও সম্মানে উচ্ছসিত।রিজা একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী।বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে মেয়েদের নিয়ে কাজ করা ডায়না থলুরের কাছে নাচ শিখলেও কোনোদিন মডেলিং করেনি। রিজার বাবা মা সাংস্কৃতিক কাজ কর্মে যুক্ত এবং মার এনজিও তে স্পেশাল চাইল্ডদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়ার কাজ করেন।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিজার মা জানিয়েছেন যে রিজা কখনও ওর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জীবনে চলার পথে বাধা বলে মনে করেনি ।এই আন্তর্জাতিক র্যাম্প ওয়াকে সুযোগের ব্যাপারে দু মাস আগে অনলাইন অডিশন হয় যেখানে অংশগ্রহণকারীদের চলার ভঙ্গি,কস্টিউম আর অন্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলার দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া  হয় আর রিজা তার আত্মবিশ্বাস আর ব্যক্তিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়।

ছবি-গ্লোবাল ডাউন সিনড্রোম ফাউন্ডেশন

ক্রিসালিস পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে থিয়েটার ও মুভমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করা রিজা অ্যামেরিকার এত বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত। রিজা জানিয়েছে যে শিল্প সংস্কৃতির আর থিয়েটারের  জগৎ ওর আবেগ,অনুভূতি ঠিক করতে,নিজের কথা স্পষ্ট ভাবে বলতে অডিশনের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।এই ইভেন্টে যোগ দিতে একইসঙ্গে মনে উচ্ছাস আর সংশয় হচ্ছে ।এখন ইভেন্টের পোশাক নির্বাচন আর কথা বলা প্র্যাকটিস করছে।

রিজার মা বলেন যে যখনই এটা উপলব্ধি হয় যে আপনার সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম তখন সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি যে এই বিষয়টা মেনে নেওয়া আর এটা দেখা যে সে এমন পরিবেশের মধ্যে বড় হতে পারে যেখানে সামাজিক ভাবে সহানুভূতি আছে কিন্তু স্বান্তনা নেই আর ওনার অত্যন্ত শিক্ষণীয় আর  আন্তরিক অনুরোধ যে যেখানেই এমন শিশু,বাচ্চাদের সামনে পাবেন তাদের সঙ্গে মেলামেশা,আলাপচারিতা,কথা বলুন যা ওদের পক্ষে জীবন বদলের অভিজ্ঞতা হতে পারে।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *