বাড়ি অথবা কাজের বাড়ি সুদৃশ্য সাজাতে আজকালকার লেটেস্ট ট্রেন্ড হল ভিনিয়ের্স ডেকর।বিশেষ করে ডেকোরেটিভ ভিনিয়ের্স আবির্ভাব হওয়ার পর গৃহকর্তারা এর সাহায্যে তাদের বাড়ি ঘরদোর খুব সহজে এবং অনায়াসে মনোহরণ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
বাজারে বহু রকম আর তাদের শতাধিক বৈচিত্রের উড ভিনিয়ের্স উপলব্ধ।কেবল এর অজস্র বৈচিত্র আর সম্ভারের কারণে রুচিসম্মত শৌখিন ক্রেতারা তার আকর্ষণে এই ভিনিয়ের্স দিয়েই বাড়ি সাজাতে পছন্দ করেন।
যদিও এটা একটা চিন্তার বিষয় যে ভিনিয়ের আপনি কিনছেন সেটা আপনার বাড়ির জন্য এবং দামের জন্যও সঠিক কিনা।যেহেতু এই বিষয়টা সে অর্থে কিছুটা কম আলোচিত গৃহকর্তাদের জ্ঞানগম্মি সীমিত থাকার কারণে পেশাদার অভিজ্ঞ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের শরণাপন্ন হতে হয় যদিও তার আগে এই বিষয়ে একটু জেনে বুঝে নেওয়া ভালো।
এইজন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানার বিষয় যে কত রকম ভিনিয়ের্স আর ভালো আর খারাপ মানের ভিনিয়ের্স চিনবেন কি করে ?আজকাল যেহেতু নকল আসলের মতন দেখতে হয়ে উঠছে তাই কিছু বিশেষত্ব দিয়েই আসল না নকল তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়।
ভিনিয়ের্স কিনতে কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন ?
ভিনিয়ের্স কেনার সময় প্রাথমিক যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন।আর এই বিষয়গুলি পরখ করে দেখে নেওয়ার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
১) গ্রেন প্যাটার্ন – এটিই আসল আর নকল ভিনিয়ের্স চেনার ক্ষেত্রে মূল পার্থক্য নির্ণয়।যেহেতু ন্যাচারাল ভিনিয়ের্স কাঠের একটি পাতলা স্তর যা গাছ থেকে কেটে তৈরি,তাই ভালো মানের ভিনিয়েরে সেই গাছের ন্যাচারাল গ্রেন প্যাটার্নের ছাপ থাকে,যদি দেখেন সেই প্যাটার্ন নিখুঁত তাহলে সেটি সিনথেটিক এছাড়া প্যাটার্ন যদি একরকম না হয় তাহলে ভিনিয়ের্স আসল না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) গন্ধ -ন্যাচারাল ভিনিয়ের্সে একটা আলাদা কড়া গন্ধ থাকে।যদিও এই ন্যাচারাল ভিনিয়ের্সে আলাদা ,কড়া গন্ধ থাকে তাই অনভিজ্ঞ কারুর তা চেনা মুশকিল।।তাই আসল গন্ধ থেকে চিনতে গেলে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে যিনি এই বিষয়ে জানেন তাঁকে সঙ্গে রাখা শ্রেয়।এটি জরুরি কারণ নকল ভিনিয়ের্স বিক্রেতারা ন্যাচারাল ভিনিয়ের্সের গন্ধ নকল করতেও সক্ষম,তাই যদি আপনি এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল না থাকেন তাহলে সেই গন্ধের পার্থক্য করা মুশকিল।
৩) কাঠিন্য – ন্যাচারাল ভেনিয়ের্স বেশ শক্ত হয়।তাই ভিনিয়ের ফার্ণিচার কিনতে যাওয়ার সময় তাতে ঠোকা দিয়ে তার কাঠিন্য পরখ করে তার গুণমান সম্পর্কে জেনে নিন।এখানে উল্লেখ করা উচিত বিভিন্ন ধরণের ভিনিয়েরের কাঠিন্য ভিন্ন।যেমন টিক ভিনিয়ের অন্যান্য ভিনিয়েরের থেকে বেশি কঠিন।তাই ভিনিয়ের কিনতে যাওয়ার আগে বিভিন্ন ভিনিয়েরের কাঠিন্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি।
৪) প্রয়োজনীয় দৃশ্যমানতা – যেহেতু কিছু ভিনিয়ের্স অন্যদের তুলনায় দৃশ্যত বেশি আকর্ষণীয় হয়,তাই কেনার সময় বিক্রেতাকে কোন জায়গার জন্য দরকার সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে হবে।যখন কিনছেন তখন পরিষ্কার করে জানাবেন যে কোথায় ব্যবহার করবেন তাহলে উনি সেইমতো সঠিক ভিনিয়ের্স দেখাবেন।এইভাবে বিক্রেতা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক মানানসই ভিনিয়ের্স দেবেন।আপনাকে স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে আপনার প্রয়োজনের কথা জানাবেন যাতে পরে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
৪) ময়েশ্চার – আপনার কাঠের গুণমানের ওপর ভিনিয়ার্সের ময়েশ্চারের লেভেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এক্ষেত্রে ৪% থেকে ৫% ময়েশ্চার আদর্শ।যদি ময়েশ্চার কন্টেন্ট ৮% এর বেশি হয় তাহলে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
পরিশেষে
নকল বিক্রেতারা এমন ভালো বিশ্বাসযোগ্য ডুপ্লিকেট তৈরি করে চলেছে যে আসলে সঙ্গে তার তফাৎ করা মুশকিল হয়ে উঠছে।যদিও অন্য জিনিসের মতন এক্ষেত্রেও আসল না নকল তা পরখ করার কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।এই বিষয়ে আপনি ওয়াকিবহাল থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে আসল ভিনিয়ের্স কিনতে পারবেন।
শেয়ার করুন :