মাতৃ দিবস উপলক্ষে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ তারিখে কলকাতার আলোর দিশা ও আগরতলায় সান্ধ্যনীড়ে মর্মস্পর্শী ‘শ্রীচরনেষু মা ’অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
‘শ্রীচরনেষু মা‘ এক অন্যরকম মাতৃ দিবস উদযাপন, সেই সব মায়েদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য যারা মাতৃত্বের মর্ম অনুভব করেছেন। এমন এক উদ্যোগ যা সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে মাকে সম্মান জানানোর জন্য তাদের চরণে প্রণাম জানানোর মতো এক ঐতিহ্য।
এই বছরের উদযাপনটি মায়েদের থাকার জায়গা কলকাতার আলোর দিশায় ও আগরতলায় সান্ধ্যনীড়ে আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানটি সেই সব মায়েদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে যারা এখন জীবনের সায়াহ্নে এসে পৌছেছেন, যাদের এই সময়টা অনেক ভালোবাসা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই এই দিনটিতে তাদের জন্য অনেক ভালবাসা, উপহার ও আনন্দ দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছিল।
খ্যাতনামা কীর্তন গায়করা দিনটিতে আনন্দে ভরিয়ে তোলেন।
এই বিশেষ দিন উপলক্ষে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স – কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধ মায়েদের কল্যাণের জন্য ওই ২টি সংস্থার হাতে মোট ১,৩০, ০০০/- টাকার চেক তুলে দিয়েছেন।
এদিন মায়েদের মুখের যে স্নেহছায়া,দীপ্তি ফুটে উঠেছিল তাদের মনের ও হৃদয়ের সমস্ত আনন্দকে প্রতিফলিত করছিল।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “মাতৃ ঋণ কখনোই শোধ করা যায় না, কিন্তু স্বীকার করা যায়। শ্রী চরনেষু মা সেই ঋণ স্বীকার এর প্রচেষ্টা। একই সাথে, আমরা জুয়েলারি শোরুমের চার দেয়ালের বাইরে এমন কিছু করার চেষ্টা করি যাতে সমাজের কাজে লাগতে পারি। সামাজিক কোনো কাজে যখনই কোনো দরকার পড়েছে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছি”।’ তিনি আরো বলেন, ‘ কলকাতার আলোর দিশা’য় ও আগরতলায় সান্ধ্যনীড়’ এ ‘শ্রীচরনেষু মা’ উদযাপন করতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। কারণ এই উদযাপন মায়েদের মুখে যে হাসি ও দীপ্তি ফুটিয়ে তুলেছে তার চেয়ে এই পৃথিবীতে আর মূল্যবান কিছু নেই।’
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর আরেক ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, ‘মায়েরা আমাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসেন। মা সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব। বিশেষ করে এমন বয়সে যখন তিনি নিজেকে সামলাতে পারেন না। শ্রীচরনেষু মা সেদিক থেকে দেখলে এমনই এক পদক্ষেপ যা মায়েদের মুখে এক রৌদ্রোজ্জ্বল হাসি ফোটাতে পারে যারা এখন জীবন সায়াহ্নে এসে পৌঁছেছেন।’
এদিনের কর্মসূচী একসাথে সবাই মিলে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় যা এক মিষ্টি সুরের আবেশ রেখে যায়।
সমাজসেবা,বাংলা তথা ভারতের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা, খেলাধুলো ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য শ্যামসুন্দর জুয়েলার্সের সহমর্মিতা ও অনুপ্রেরণা দৃষ্টান্তমূলক।
শেয়ার করুন :





