বাঙালির আবহমান বর্ষবরণ লাল সাদা ছাড়া অপূর্ণ।কিন্তু এত রং থাকতে লাল সাদা কেন তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট পয়লা বৈশাখের শুরু হালখাতা। আর এই হালখাতার রং লাল আর সাদা যা আজ বাঙালি প্রধান দুই উৎসব পয়লা বৈশাখ আর দূর্গা পুজো এমনকি ২৫শে বৈশাখেও উৎসবের পোশাক হয়ে উঠেছে। চিরায়ত রূপে আজকের সুকন্যারা।
লাল টাঙ্গাইল শাড়িতে ছোট্ট অফ হোয়াইট বর্ডার,সঙ্গে ম্যাচিং কাঁচের চুড়ি আর হাওয়াই চটি আর অসম্পূর্ণ খোঁপা।শহর থেকে দূরে ,গ্রামের মেলায়,নাম না জানা লাল ফুল নিয়ে খোঁপায় লাগিয়ে।
পয়লা বৈশাখের মিলনমেলার অনুষ্ঠানের জন্য ঐন্দ্রিলার পছন্দ তসর আর্ট সিল্ক কাঞ্জিভরামের সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ আর মিনিমাম অ্যাকসেসরি।
এই দিনে আর এর আগে পরে অনেক প্রোগ্রাম বা ইভেন্ট থাকে যার আনফিশিয়াল ড্রেস কোডও লাল সাদা।সোহিনীর পরণে মনমোহিনী বুটিকের লাল পার সাদা কটন শাড়ির সঙ্গে লাল ফুলস্লিভ ব্লাউজ ,সিল এর ঝুমকা আর মেকআপে বোল্ড রেড লিপ্স আর স্মোকি আইস।
এখনও চিরকালীন প্রথা মেনে অনেক বনেদি,ঐতিহ্যশালী বাড়িতে পয়লা বৈশাখে জমকালো অনুষ্ঠান হয়।পুজোর মত এদিনও আত্মীয়স্বজনে ভরে ওঠে বাড়ি।বনেদি মল্লিক বাড়ির অপালার সাজের বাহারে লাল পাড় শাড়ি, ঘটিহাতা ব্লাউজের সঙ্গে সোনার নেকলেস,নাকের নোলক আর হাতে চুড়ের গয়না আভিজাত্য আর ঐতিহ্যের মিশেল।
ঠিক লাল পাড় সাদা শাড়ির স্টাইলের সাযুজ্যে বর্ষার পয়লা বৈশাখ মেকওভার।কাঁথা স্টিচ ব্লাউজের সঙ্গে ম্যাচিং পাড়ের শাড়িতে মোহময়ী সুছন্দা।ঐতিঝ্য আর আধুনিকতার যুগলবন্দী।
শেয়ার করুন :